| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চিটাইংগা পাড়ার বাসিন্দারা ২০২৫ সালের এই আধুনিক সময়ে এসেও বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানির মতো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই এলাকার প্রায় ১২০ জন মানুষের জীবন এখনো নির্ভর করে প্রাচীন কষ্টসাধ্য ব্যবস্থার ওপর।

চিটাইংগা পাড়ার দূরত্ব দীঘিনালা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার, মেরুং থেকে ২ কিলোমিটার এবং মেইন সড়ক থেকে ১ কিলোমিটার। তথ্যসূত্রে এই জনপদে নারী-পুরুষের সংখ্যা সমান — ৩২ জন করে এবং ছেলে মেয়ে মিলিয়ে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২০ জন।

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

গত সোমবার, ২১ এপ্রিল চিটাইংগা পাড়ায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, বিশেষ করে মহিলারা সিরিয়াল ধরে পাহাড়ের নিচে টিউবওয়েলের সামনে অপেক্ষা করে কলসিতে পানি সংগ্রহ করছেন। কলসি মাথায় করে তারা খাড়া পাহাড় বেয়ে পানি বহন করে নিয়ে আসছেন। অনিয়মিত পানি সরবরাহ ও নষ্ট টিউবওয়েলের কারণে এই দুর্ভোগ প্রতিদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরকারি আবাসনের বরাদ্দকৃত গ্রামের একমাত্র টিউবওয়েলটি বহুদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। বাকি যে দুটি চালু টিউবওয়েল আছে, সেগুলোও প্রায়ই অচল হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।

তাদের এই দূরাবস্থার কথা জানতে চাইলে স্থানীয় গৃহবধূ মোছাঃ শারমিন আক্তার বলেন, “আমাদের এলাকায় পাহাড়ের নিচে মাত্র ২টা টিউবওয়েল, সিরিয়াল ধরে পানি নিয়ে পাহাড় বেয়ে উঠতে হয় আমাদের। এই কল দুটোও মাঝে মাঝে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি সংগ্রহ করে আনতে হয়।”

বিদ্যুৎ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত এই এলাকার মানুষ। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা হারিকেনের আলোয় পড়ালেখা করতে বাধ্য। কখনও তেল শেষ হয়ে গেলে পড়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাকিব জানায়, “আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নাই। হারিকেন জ্বালিয়ে পড়তে হয়। হারিকেনের তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া যায় না।”

বয়স্ক বাসিন্দা জজ মিয়া বলেন, “আমরা বহুদিন ধরেই এই গ্রামে বসবাস করছি, কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ ও পানির কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা হয়নি। নলকূপগুলো পাহাড়ের নিচে হওয়ায় বিষেষ করে মহিলাদের পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিদ্যুৎ না থাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ দূরে হওয়ায় ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে।”

চিটাইংগা পাড়ার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ১৭ জন, গণশিক্ষায় যুক্ত ১৮ জন এবং হাইস্কুলে ৭ জন শিক্ষার্থী। তবে ৬-৭ জন অন্য কাজের সাথে যুৃ্ক্ত রয়েছে, কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত নয়। এলাকার সবচেয়ে কাছের প্রাথমিক স্কুল ২ কিলোমিটার এবং হাইস্কুল ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার পথ পাহাড়ি ও কষ্টসাধ্য।

পাঁচ আগষ্টের পর থেকে মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ৬ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য না থাকায় ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা মহিলা ইউপি সদস্য জমিলা হোসেন (লিলি) এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চিটাইংগা পাড়ার এই দূরবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চিটাইংগা পাড়া একটি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা যাচ্ছে না, ফলে পানির সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় কিছু এনজিও বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যার বিষয়ে জরিপ করে গিয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে আর কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব ও পাহাড়ি উচু নিচু রাস্তার কারণে ছেলেমেয়েরা খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। আমরা বারবার এ সকল বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তবুও এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি, বিশেষ করে শিশু ও নারীদের কষ্ট লাঘবের জন্য।”

এই সব সংকটের মাঝে এলাকাবাসী দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ ও পানির স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয়দের মতে, সময়মতো এই সমস্যা সমাধান না হলে শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও জীবনমানও ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় স্থগিত আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় স্থগিত

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় স্থগিত

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ বিষয়ক ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ধারাবাহিকতায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস শৃঙ্খলা বিধিমালা’ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই বিধিমালা অনুমোদন করে আদেশ দেন।

এ বছরের ৮ মে ওই আদেশের পুনর্বিবেচনা চেয়ে শিশির মনিরসহ আটজন আইনজীবী তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ২১ মে চেম্বার আদালত আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে রোববার রায় স্থগিতের আদেশ আসে।

মুরাদনগরে ধ'র্ষণকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ জামায়াত আমিরের প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রে'প্তা'র নারী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার, অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি ডা. শফিকুর রহমানের

মুরাদনগরে ধ’র্ষণকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ জামায়াত আমিরের প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রে’প্তা’র

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

মুরাদনগরে ধ'র্ষণকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ জামায়াত আমিরের প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রে'প্তা'র

রোববার (২৯ জুন) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। লম্পটদের যেকোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অপরাধীর খুঁটির জোর যতই শক্তিশালী হোক, কোনোভাবেই তাকে পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায় সমাজ একটি জংলি সমাজে পরিণত হবে।’

এদিকে এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী (৩৮) কে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, গত ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। তবে আহত অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। ওই সময় উপস্থিত কিছু লোক ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে। নির্যাতিত নারী দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

মেরুং ইউনিয়নের চিটাইংগা পাড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে: উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে শতাধিক মানুষ

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

×