| ১ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

 

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের ছয়জন রাজমিস্ত্রি কাজের জন্য কক্সবাজারে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। গত ছয় দিন ধরে তাদের কারো সাথেই পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক।

নিখোঁজরা হলেন- খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) এবং মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।

তারা গত ১৫ এপ্রিল জকিগঞ্জ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন এবং ১৬ এপ্রিল কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করেন। এরপর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ এবং তারা সবাই ‘নিরুদ্দেশ’।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের টেকনাফে পাওয়া গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, “বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ আনেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছিত দুলাল জানান, “১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় এমাদ ফোন করে জানায় তারা কর্মস্থলে পৌঁছেছে। এরপর হঠাৎই সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম মোবাইল সমস্যা। কিন্তু পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।”

খালেদ হাসানের বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সফর উদ্দিন বলেন, “ছেলে ৫–৬ মাস চট্টগ্রামে কাজ করে, মাঝে মাঝে বাড়ি আসে। কিন্তু এবার কক্সবাজারে গিয়ে আর ফেরেনি। ছেলের মা এখনো কাঁদছে, এক মুহূর্ত শান্ত করতে পারছি না।”

রশিদের ভাই আব্দুল বাছিত অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে যে ঠিকাদারের মাধ্যমে ওরা গিয়েছে, সে-ই কোনো ফাঁদে ফেলেছে। যদি জিম্মি করা হতো, তাহলে তো অন্তত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করত।”

পরিবার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে কক্সবাজারে এসেছিলেন তারা। ঠিকাদারের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় বা বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। সেই ঠিকাদার ও তার সহযোগী বাবুল- দুজনের মোবাইল নম্বরও এখন বন্ধ।

জানা গেছে, নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে তিনজনের সঙ্গে পূর্বে কাজের সূত্রে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ছিল, কিন্তু বাকিরা এবারই প্রথম এই পথে আসেন। জকিগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ কক্সবাজারে যোগাযোগ করতে বলেন।

জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, “আমরা পরিবারকে সহায়তা করছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

অপরদিকে, কক্সবাজারে এসে পরিবারের সদস্যরা এখন নিখোঁজদের খোঁজে ছুটছেন এক থানা থেকে আরেক থানায়। এই নিখোঁজ ঘটনা টেকনাফ-উখিয়া অঞ্চলের সাম্প্রতিক অপহরণ চক্র, মানব পাচার এবং শ্রমিকদের কাজে এনে নিপাত করার অভিযোগগুলোর সাথে সম্পৃক্ত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, “কক্সবাজারের শ্রমবাজারে বহিরাগত রাজমিস্ত্রি বা দিনমজুরদের গায়েব হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এর পেছনে একাধিক চক্র সক্রিয়, যাদের কেউ-কেউ ভুয়া কাজের কথা বলে এনে পাচার বা জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে।”

নিখোঁজ ছয়জন শ্রমিক জীবিত না মৃত- তা নিয়ে এখন পরিবারগুলোর দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কেউ জিম্মি করে রাখলে তার কোনো বার্তা নেই, আবার দুর্ঘটনা হলেও এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনা কেবল একটি গ্রাম নয়, দেশের শ্রমজীবী মানুষদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

দীর্ঘ অনুপস্থিতি: পুলিশের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়ে দেশের পুলিশ প্রশাসনের শৃঙ্খলা। বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে দায়িত্বে থাকা অনেক পুলিশ কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরই উধাও হয়ে যান। কেউ ছুটি নিয়ে গিয়েও ফেরেননি, কেউ আবার কোনো ছুটির আবেদন ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন মাসের পর মাস।

এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রহমতুল্লাহ চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা বর্তমানে সারদা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি চাকরি বিধির ১২ ধারায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, যিনি বর্তমানে রেঞ্জ পুলিশ বরিশালে সংযুক্ত, তিনি গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। একই কারণে তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে শিল্প পুলিশে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমতুল্লাহ চৌধুরী, যিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত, তাকেও একই বিধিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সরকারি দায়িত্ব পালনে দীর্ঘ অনুপস্থিতি শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে আপত্তি জাহিদ হাসানের শাকিবকে শুধু অভিনেতা হিসেবেই দেখতে চান

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

জাহিদ হাসান : ছবি-সংগৃহীত

ঢালিউডের রাজপথের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান টানা ২৬ বছর ধরে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন সুপারহিট সিনেমা। দেশ-বিদেশের অগণিত ভক্ত তাকে কখনো ‘কিং খান’, কখনো ‘সুপারস্টার’, আবার কখনো ‘নবাব’ উপাধি দিয়েছেন। সম্প্রতি শাকিবের নামের আগে ‘মেগাস্টার’ শব্দও যুক্ত হয়েছে, যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান।

গত ঈদে শাকিব খানের তাণ্ডব এবং জাহিদ হাসানের উৎসব একসঙ্গে মুক্তি পায়। প্রথমে শাকিবের সিনেমা এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানছে জাহিদ হাসানের উৎসব। মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহে এসে উৎসব–এর প্রদর্শনীও বেড়েছে।

শাকিবের ‘মেগাস্টার’ খেতাব নিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ‘শাকিব খান তো একজন অভিনেতা। আমাদের দেশে তাকে আলাদা করে বলা হয় “মেগাস্টার শাকিব খান”, আর অন্য সবাইকে বলা হয় চিত্রনায়ক। কেন তাকে এই বিশেষ ট্যাগ দেওয়া হয়, বুঝি না। এটা শুনলে ভালো লাগে না।’

এ প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান আরও বলেন, ‘শেক্‌সপিয়ারের একটা কথা আছে, কোনো কিছু হওয়া বড় কথা না, হয়ে থাকাটাই বড় কথা। ঈদে বড় হল সংখ্যা পাওয়াই মুখ্য নয়, সেগুলো ধরে রাখাই আসল। শাকিবের সিনেমা অনেক হলে মুক্তি পেলেও শেষ পর্যন্ত তা থাকছে না, এটা কিন্তু শিল্পীর জন্য অপমানজনক। বিনয়ী থাকাই ভালো।’

তবে শাকিব বা অন্য কোনো শিল্পীর প্রতি তার কোনো বিরূপ মনোভাব নেই জানিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ঈদে মুক্তি পাওয়া প্রতিটি সিনেমাই ইন্ডাস্ট্রির, কোনো একক নায়কের নয়। সব ছবিই ভালো ব্যবসা করুক, এটাই সবার প্রত্যাশা হওয়া উচিত।

দুই মাসের অভিনয় বিরতিতে জোভান সময় দেবেন পরিবারকে

কাজে এসে নিখোঁজ ৬ জন রাজমিস্ত্রি, আতঙ্কে সিলেটের একটি গ্রাম।

ফারহান আহমেদ জোভান : ছবি-সংগৃহীত

বিশেষ দিবস কিংবা উৎসব মানেই ব্যস্ততা অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের জন্য। গেলো ভালোবাসা দিবস ও ঈদ উপলক্ষে একের পর এক কাজ করে সময় দিয়েছেন শুটিং সেটেই। তবে টানা কাজের কারণে পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য সময় বের করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।

এই ব্যস্ততা সাময়িক বিরতি নিতে বাধ্য করেছে তাকে। তাই দুই মাসের জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নিচ্ছেন জোভান।

জোভান বলেন, ‘গত কয়েক মাস একের পর এক কাজ করেছি। এখন মনে হচ্ছে কিছুদিন পরিবার ও বন্ধুদের জন্য সময় দিতে হবে। বন্ধুবান্ধবেরও অভিযোগ, আমাকে পাওয়া যায় না। তাই এই বিরতি আমার জন্য দরকার।’

তবে দুই মাসের বিরতির পর কবে শুটিং ফ্লোরে ফিরবেন, তা এখনো চূড়ান্ত করেননি। জোভান জানিয়েছেন, কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে নতুন কিছু গল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। ভালো গল্প পেলে আগস্ট থেকে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।

×