| ১ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন  করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

চীনের উপহারের বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাস জমির মধ্যে স্থাপনের দাবি ও মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়কের দাবি জানিয়ে ঐতিহ্যবাহী নলছিটি বাস স্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন এবং বাংলাদেশে চায়না দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল দশটায় নলছিটি বাস স্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে স্থানীয় সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধন আয়োজন করেন।এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল আমীন হাওলাদার,বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান,সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমূখ।এসময় বক্তারা বলেন,বৈষম্যহীন বাংলাদেশের বৃহৎ দক্ষিনাঞ্চলে চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল পাওয়া বরিশালবাসীর ন্যায্য পাওনা।তারা বলেন ভারত চিরদিন আমাদেরকে শুষে নিয়েছে বন্ধু পরিচয়ে,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চীনই আমাদের প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে সব সময়।এবং চীনের সাথে নলছিটির সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছর পুরনো।তাই এই তিনটি না হলেও প্রয়োজনে আরেকটি হাসপাতাল স্পেশালি করে দেয়ারও দাবি জানান তারা।এছাড়াও বক্তারা বলেন,আমরা জেলার নলছিটি এলাকার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি।সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে।
এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।
চীনা সরকারের উপহারে নির্মাণাধীন তিনটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” এর একটি যেন নলছিটি শহরের দপদপিয়াএলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা বরিশাল-পটুয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।
এই অঞ্চলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এবং ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ পুরো বরিশাল বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত। এই এলাকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার একটি আদর্শ স্থান।
নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর (৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের) কাছাকাছি সময় থেকেই চীনা ব্যবসায়ীরা এখানে বাণিজ্য করতে আসতেন। আজও “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” ও “চায়না কবর” নামক স্থানগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে, যা শুধু ঐতিহাসিক স্মৃতিই বহন করে না বরং চীন-বাংলা মৈত্রীর ভিত্তিও তুলে ধরে।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, চীনের তাং রাজবংশের সময় এক চীনা ব্যবসায়ী এই এলাকায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয় জনগণ তাঁকে “চায়না ফিল্ড”-এর নিকটবর্তী এক কবরস্থানে দাফন করে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তা সংরক্ষণ ও সম্মানের সাথে রক্ষা করে আসছে। আজও সেই চীনা ব্যবসায়ীর কবরটি ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত এবং নলছিটির মানুষজন তা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখে থাকেন। এটি প্রমাণ করে যে, নলছিটির মানুষের সঙ্গে চীনা ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও প্রাচীন।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলেও নলছিটি ছিল একটি সক্রিয় আন্তর্জাতিক বন্দর। চীনা ব্যবসায়ীরা এখানে এসে নারকেল, সুপারি, ডাল, সরিষা, তিল, আমলকি এবং মরিচসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের বাণিজ্য করতেন। তাঁরা “চায়না ফিল্ড”-এ এসব পণ্য শুকিয়ে কলকাতা, করাচি ও মুম্বাইয়ে পরিবহন করতেন।
অতএব, আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, চীনা সরকার যেন একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” নলছিটিতে স্থাপন করেন। এটি শুধু সাধারণ জনগণের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে না, বরং চীন-বাংলাদেশ সহস্র বছরের বন্ধুত্বের প্রতীক ও ধারাবাহিকতাও হবে।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি পুরো অঞ্চলবাসীর উপকারে আসবে এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। আমরা হাসপাতাল স্থাপনের স্থান নির্বাচন, জমির ব্যবস্থা ও স্থানীয় সমন্বয়সহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।
প্রায় শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে বেলা এগারোটায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন সমাপ্ত করা হয় মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সাইফের ওপর হা’মলার ভয়াবহতা এখনও তাড়া করে: কারিনা কাপুর

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন  করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

কারিনা কাপুর : ছবি-সংগৃহীত

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় পুরো বি-টাউন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এক দুষ্কৃতকারী গভীর রাতে সাইফের বান্দ্রার বাসায় ঢুকে পড়ে। চুরির চেষ্টা ভেস্তে গেলে গৃহকর্তা সাইফকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় সে। সেই ভয়াবহ রাতের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক বারখা দত্তকে কারিনা বলেন, ‘সেই ঘটনার পর এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারিনি। বিশেষ করে প্রথম দুই-তিন মাস রাতে ঘুমাতেই পারতাম না। মনে হতো, আবার কিছু একটা ঘটে যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি কিছুটা ফিকে হয় ঠিকই, কিন্তু ভেতরে কোথাও সেই ভয় থেকেই যায়। যেন কাছ থেকে কারও মৃত্যু দেখেছি এমন অনুভূতি হয়।’

তবে ভয় পেয়েও সন্তানদের সামনে সেই আতঙ্ক প্রকাশ করতে চাননি কারিনা। তার ভাষায়, ‘ভয়ের মধ্যে থাকা যায় না। আর সেটা বাচ্চাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একদমই ঠিক নয়। আমি একদিকে মা, অন্যদিকে স্ত্রী। সাইফের ওপর আক্রমণের পর পুরো পরিবারটাকে আগলে রাখতে হয়েছে। সাইফ সুস্থ আছে, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

কারিনা আরও বলেন, ‘এ ঘটনা আমার ছেলেদের মনেও প্রভাব ফেলেছে। এতদিন ওরা খুব সুরক্ষিত জীবন কাটিয়েছে, এখন জানে জীবন সবসময় নিরাপদ নয়। আমার ছোট ছেলে জেহ এখনো বলে, বাবা আয়রন ম্যান। ওর কিছুই হবে না। সত্যিই, আমাদের কাছে সাইফ আয়রন ম্যান।’

দীর্ঘ অনুপস্থিতি: পুলিশের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন  করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়ে দেশের পুলিশ প্রশাসনের শৃঙ্খলা। বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে দায়িত্বে থাকা অনেক পুলিশ কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরই উধাও হয়ে যান। কেউ ছুটি নিয়ে গিয়েও ফেরেননি, কেউ আবার কোনো ছুটির আবেদন ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন মাসের পর মাস।

এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রহমতুল্লাহ চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা বর্তমানে সারদা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি চাকরি বিধির ১২ ধারায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, যিনি বর্তমানে রেঞ্জ পুলিশ বরিশালে সংযুক্ত, তিনি গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। একই কারণে তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে শিল্প পুলিশে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমতুল্লাহ চৌধুরী, যিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত, তাকেও একই বিধিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সরকারি দায়িত্ব পালনে দীর্ঘ অনুপস্থিতি শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে আপত্তি জাহিদ হাসানের শাকিবকে শুধু অভিনেতা হিসেবেই দেখতে চান

চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল নলছিটিতে স্থাপন  করার দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

জাহিদ হাসান : ছবি-সংগৃহীত

ঢালিউডের রাজপথের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান টানা ২৬ বছর ধরে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন সুপারহিট সিনেমা। দেশ-বিদেশের অগণিত ভক্ত তাকে কখনো ‘কিং খান’, কখনো ‘সুপারস্টার’, আবার কখনো ‘নবাব’ উপাধি দিয়েছেন। সম্প্রতি শাকিবের নামের আগে ‘মেগাস্টার’ শব্দও যুক্ত হয়েছে, যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান।

গত ঈদে শাকিব খানের তাণ্ডব এবং জাহিদ হাসানের উৎসব একসঙ্গে মুক্তি পায়। প্রথমে শাকিবের সিনেমা এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানছে জাহিদ হাসানের উৎসব। মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহে এসে উৎসব–এর প্রদর্শনীও বেড়েছে।

শাকিবের ‘মেগাস্টার’ খেতাব নিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ‘শাকিব খান তো একজন অভিনেতা। আমাদের দেশে তাকে আলাদা করে বলা হয় “মেগাস্টার শাকিব খান”, আর অন্য সবাইকে বলা হয় চিত্রনায়ক। কেন তাকে এই বিশেষ ট্যাগ দেওয়া হয়, বুঝি না। এটা শুনলে ভালো লাগে না।’

এ প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান আরও বলেন, ‘শেক্‌সপিয়ারের একটা কথা আছে, কোনো কিছু হওয়া বড় কথা না, হয়ে থাকাটাই বড় কথা। ঈদে বড় হল সংখ্যা পাওয়াই মুখ্য নয়, সেগুলো ধরে রাখাই আসল। শাকিবের সিনেমা অনেক হলে মুক্তি পেলেও শেষ পর্যন্ত তা থাকছে না, এটা কিন্তু শিল্পীর জন্য অপমানজনক। বিনয়ী থাকাই ভালো।’

তবে শাকিব বা অন্য কোনো শিল্পীর প্রতি তার কোনো বিরূপ মনোভাব নেই জানিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ঈদে মুক্তি পাওয়া প্রতিটি সিনেমাই ইন্ডাস্ট্রির, কোনো একক নায়কের নয়। সব ছবিই ভালো ব্যবসা করুক, এটাই সবার প্রত্যাশা হওয়া উচিত।

×