হামিদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস. আর. এম. জাহাঙ্গীর আলমের অবিলম্বে মুক্তির দাবি, গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নে হামিদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ধামশ্বর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এস. আর. এম. জাহাঙ্গীর আলমের আকস্মিক গ্রেফতারের ঘটনায় ধামশ্বর ইউনিয়নে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, জাহাঙ্গীর আলম একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক এবং সমাজসেবক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েই তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
বক্তারা বলেন, “রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে কাউকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে গ্রেফতার করা অনুচিত। জাহাঙ্গীর ভাই যখন বিএনপির মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন, তখন আজকের অনেক নেতা রাজনীতিতেও ছিলেন না। তার জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই শত্রুতা করছে, যা ভালো পরিণতি বয়ে আনবে না।”
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার বাবার নামে হামিদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বহু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেননি এবং পরবর্তীতে স্থানীয় কমিটি থেকে পদত্যাগও করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে তার মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়। অথচ আজও আওয়ামী লীগের বহু বিতর্কিত নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
গতকাল ধামশ্বর ইউনিয়নে এস. আর. এম. জাহাঙ্গীর আলমের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, “ধামশ্বর ইউনিয়নে বিএনপি যদি শক্তিশালী করতে হয়, তাহলে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের প্রয়োজন আছে। তার মুক্তি না দিলে আগামী দিনে আরও বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
মানবাধিকার সংগঠন এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও দ্রুত তদন্তপূর্বক নির্দোষ ব্যক্তির মুক্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।