| ২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

 

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সরমহল এলাকার সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সরমহল ফয়জিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ও নূরানী মাদ্রাসা কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ দিন বন্ধ থাকে, পাঠদান কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলছে। সাইনবোর্ডে দেওয়া তিনটি ফোন নম্বরের মধ্যে একটি বন্ধ, একটি ব্যবহৃত হচ্ছে না এবং অপরটি ভুল ১০ সংখ্যার নম্বর। মাদ্রাসার গেইট জুড়ে লতাপাতা জড়িয়ে রয়েছে, দেখে মনে হয় এটি একটি পরিত্যক্ত ভুতুড়ে ভবন।

জানা গেছে, এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে চারজন শিক্ষক রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন নারী। মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং ভাগ্নে-বউ উভয়েই শিক্ষক পদে রয়েছেন এবং নিয়মিত অনুদান থেকে বেতন গ্রহণ করছেন।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “মাদ্রাসায় ক্লাস শুরু হয় সকাল ৯টায়, শেষ হয় ১২টায়। আজ হয়তো কোনো কারণে আগেভাগে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমাদের তো নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই, তাই এভাবেই চলছে।”

অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, “এই মাদ্রাসায় এখন আর পাঠদান হয় না। চারজন শিক্ষকই আত্মীয়-স্বজন, আর প্রধান শিক্ষক তো মাসের পর মাস আসেন না। প্রতিষ্ঠানটি এখন বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে।”
স্থানীয়রা আরও বলেন, “এসব নামমাত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দিনের পর দিন আন্দোলন, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। অথচ ছাত্র-ছাত্রী নেই, নেই কোনো নিয়মিত পাঠদান।”
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন বেহাল অবস্থায় চললে প্রশ্ন উঠছে কারা দেখভাল করছে এসব অনিয়ম? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাওলানা আলী আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল আজীম বলেন,“আজ সরকারি কোনো ছুটি নেই। তাহলে তারা কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে বা কেন উপস্থিত হয়নি এটা খতিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না।”

আমিরাতে ৮০ হাজার বছরের পুরনো মানব সরঞ্জামের সন্ধান

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ আমিরাতের জেবেল ফায়া এলাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা আবিষ্কার করেছেন প্রায় ৮০ হাজার বছর আগের পাথরের তৈরি উন্নত সরঞ্জাম। এই আবিষ্কার আরব উপদ্বীপে প্রাচীন মানব ইতিহাসের প্রচলিত ধারণা পাল্টে দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই নিদর্শন প্রমাণ করছে হোমো স্যাপিয়েন্সরা এ অঞ্চলে শুধু পথচারী ছিল না, বরং দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করেছে ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

খনন কার্যক্রম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেবেল ফায়া এলাকায় মানুষের অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার বছর আগ পর্যন্ত। পুরো গবেষণার ফলাফল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক প্রত্নতাত্ত্বিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

এই আবিষ্কারের গুরুত্ব বিবেচনায় শারজাহর শাসক শেখ ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাসিমি জেবেল ফায়া অঞ্চলকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় যুক্ত করতে মনোনয়ন দিয়েছেন। ইউনেস্কোর ৪৭তম অধিবেশনে (জুলাই ২০২৫) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, জেবেল ফায়ার সরঞ্জামগুলো প্রাচীন মানুষের জটিল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রমাণ বহন করছে। ‘বিডাইরেকশন্যাল রিডাকশন’ পদ্ধতিতে তৈরি এসব হাতিয়ার মানুষের অভিযোজন, উদ্ভাবন ও সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শারজাহ প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষের পরিচালক ঈসা ইউসুফ বলেন, ‘জেবেল ফায়ার আবিষ্কার দেখিয়ে দেয় অভিযোজন, উদ্ভাবন আর স্থিতিস্থাপকতাই মানুষের মূল শক্তি।’

এই আবিষ্কার শুধু আরব উপদ্বীপের নয়, বরং পুরো মানব ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের খাতা খুলছে।

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হাজি

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ জন বাংলাদেশি হাজি। বুধবার (২ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিরে আসা হাজিদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫৮ হাজার ১৮১ জন। হাজিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স মিলিয়ে মোট ১৬৮টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৮ হাজার ৪২৭ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৫ হাজার ৯৮৫ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৮ হাজার ৭৭৬ জন হাজিকে ফিরিয়ে এনেছে। ফিরতি ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।

এ বছর হজ পালনে গিয়ে ৪২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিস জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত জটিলতা ও অসুস্থতাই ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ।

এ বছরের হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল, শেষ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৩১ মে এবং হজ পালিত হয় ৫ জুন।

গোলাম মাওলা রনি: জুলাই-আগস্টে যা ঘটেছে তা বিপ্লব নয় গণবিস্ফোরণ

সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়ে বন্ধ হবার পথে সরমহল ফয়জিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা।

গোলাম মাওলা রনি : ছবি-সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। এক টেলিভিশন আলোচনায় তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাঙালির বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নতুন মাত্রা পেয়েছে, তবে একে বিপ্লব নয়, গণবিস্ফোরণ বলা উচিত।’

রনি বলেন, ‘এই বিস্ফোরণে প্রায় ১০–১২ কোটি মানুষ জড়িত ছিল, তবে কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বা নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বে এখন ক্যারিশমা নেই, ভাষণে মানুষের মন ছোঁয়ার শক্তি নেই।’

আন্দোলনের পর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসায় হতাশা জানিয়ে রনি বলেন, ‘মানবতাবাদী বলে যাদের মনে করা হতো, তারাই আজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।’

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে রনি বলেন, এতে বড় দলগুলোর অস্বস্তি থাকলেও ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুযোগ পাবে। বিএনপির অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এখনো ভাবে ২৮০টি আসন সহজেই পাবে, যা অবাস্তব।’

রনির মতে, ‘ভালো কাজ ও জনকল্যাণ ছাড়া স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়, কিন্তু এখন সেই ধারা দেখা যাচ্ছে না।’

×