| ৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

চিকিৎসক ও নার্স সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা সেবা প্রার্থীরা। দাতা সংস্থার বাজেট ও লোকবল সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা।

এছাড়া দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, হ্নীলা সাব সেন্টার ও ডেলিভারি সেন্টারও বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে এক্সরে মেশিন ও ইসিজি আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় মানুষ সেবা পাচ্ছে না, যার কারণে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত কষ্টে আছে। এছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চালক নেই।
তবে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্রের প্রচেষ্টায় স্থানীয়ভাবে চালক ম্যানেজ করে এ সেবাটি কোনোমতে চালু রাখা হয়েছে। তাছাড়া নেই পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সিকিউরিটি গার্ড। নবজাতক শিশু পরিচর্যা ইউনিট (এনআইসিইউ) বন্ধ রয়েছে গত জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে।

তাছাড়া হাসপাতালে ২৯ জন নার্সের মধ্যে ৭ জন নার্স রয়েছেন। মিডওয়াইফ আছেন চারজনের মধ্যে ১ জন। এমএলএসএস আছেন মাত্র দুই জন, তার মধ্যেও একজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

এদিকে হাসপাতালটিতে কোনো ধরনের ফার্মাসিস্ট নেই। সাধারণ মানুষ সকালে গিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করে যে চিকিৎসা নেবে, সেখানেও কোনো লোকজন নেই। টেলিমেডিসিন সেবা বন্ধ রয়েছে। ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও কিশোরী বান্ধব কেন্দ্রও বন্ধের পথে।

অপরদিকে সেন্টমার্টিনে এনজিওর সহযোগিতায় ১৬ জন স্টাফ নিয়ে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে একটি ডেলিভারি সার্ভিস সেন্টার ছিল। এনজিও সংস্থার বাজেট ও লোকবল না থাকায় সেটিও বর্তমানে বন্ধ আছে। আর হ্নীলা উপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন লোকবল নিয়ে একটি ডেলিভারি সেন্টার ছিল, কিন্তু বাজেট না থাকায় লোকবল সংকটে আপাতত সেটিও বন্ধ।

এ বিষয়ে সিপিপির জাতীয় পদকপ্রাপ্ত নারীনেত্রী কুলসুমা বেগম বলেন, হাসপাতালে আগে ভালো সেবা পাওয়া যেত। সম্প্রতি চিকিৎসক ও নার্স সংকটে তা বন্ধের পথে। সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি উদ্যোগ নিতে আমরা জেলা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি সহযোগিতা কামনা করছি।

 

চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন, আগে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেত। এখন দেখি শত শত মানুষ আসে চিকিৎসা নিতে কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সের অভাবে আমরা সঠিক সেবা পাচ্ছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্স সংকট নিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শেখ এহসান উদ্দিনকে জানিয়েছি। উনি কিছু লোকবল দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক বলেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব সমস্যা উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে শিগগিরই টেকনাফ হাসপাতালে নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। আশা করছি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। সব মিলিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন

৫০টি রাজনৈতিক দলের কাছে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন

লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৫০টি নিবন্ধিত দলের কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

সোমবার (৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, ২০২৪ সালের পঞ্জিকা বছরের হিসাব চেয়ে এবার ৫০টি দলের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিবালয় থেকে এসব চিঠি দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার আওয়ামী লীগের কাছে হিসাব চাওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এই প্রথম দলটি বাদ পড়ল। অন্যদিকে প্রায় একযুগ পর জামায়াতে ইসলামী পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এবার দলটিকেও বার্ষিক লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

 

বর্তমানে দেশে ৫০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে একটির নিবন্ধন স্থগিত এবং চারটি দলের নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।

 

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোকে প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের (এই ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) সমস্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এজন্য স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

 

আইনটি আরও বলছে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি টানা তিন বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন না জমা দেয়, তাহলে তার নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ

লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

মিডিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সোমবার (৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ আজ সেই অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য স্পষ্ট প্রতিবন্ধক।’

তারা বলেন, রবিবার রাজশাহীতে এনসিপির এক শীর্ষ নেতা যে হুমকি দিয়েছেন, তা এক ধরনের ফ্যাসিবাদী পদধ্বনি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে এই ধরনের হুমকিতে দমন করা যাবে না। সাংবাদিক সমাজ অতীতেও অন্যায় হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি, এখনও নেবে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষাই ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য। সেই চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাই। মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আদালত ও প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া উচিত, হুমকি নয়।’

৮ ঘণ্টা কেন সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করব দীপিকাকে ঘিরে মন্তব্য রাশমিকার

লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত, ভোগান্তিতে টেকনাফের জনগণ

সম্প্রতি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং না করার শর্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন। তবে এবার তার বিপরীতে ভিন্ন সুর শোনা গেল দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার মুখে।

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল দীপিকার, তবে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্তে তাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় তৃপ্তি দিমরিকে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে রাশমিকা বলেন, “আট ঘণ্টা নয়, সিনেমার স্বার্থে প্রয়োজনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।”

রাশমিকা আরও বলেন, “আমি তেলুগু, কন্নড়, তামিল — সব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। সেসব জায়গায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করেছি। কিন্তু বলিউডে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। কখনও কখনও টানা ৩৬ ঘণ্টাও শুটিং করতে হয়েছে।”

তার মতে, কাজের সময় ঠিক করা উচিত সিনেমা ও টিমের প্রয়োজন অনুযায়ী। রাশমিকার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি দীপিকার মতো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নন। বরং কাজের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিতে রাজি।

×