| ৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য
গামছা তৈরীর মেশিন মানেই শত বছরের প্রচলিত হাতে ঘুরানো তাঁতের চাকা।প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এবার এর বদলে দেশে এসেছে আধুনিক মেশিন কোরিয়ার থেকে। দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাজার দখল করেছে।
ঝালকাঠির সারাদেশে যেসব পণ্যে সুনাম আছে তার মধ্যে গামছা অন্যতম। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমাদৃত এ ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা। ৪০ বছর আগে শুরু হওয়া এ শিল্প এখনো টিকে আছে আজও।

ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে সেই গনি মিয়া এখন আর নেই। গনি মিয়ার মৃত্যুর পরে তার ছেলে নাসির উদ্দিন কয়েকবছর তাঁতে গামছা বুনে প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখছিলেন।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে নাসির উদ্দিন পৈত্রিক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন গনি মিয়ার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া। এতদিন গামছা হাতে বোনা হতো। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন হতো কম। এছাড়া হাতে বোনা তাঁতের সংখ্যাও এখন অনেক কম। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য।পপরিস্থিতিতে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে গামছা শিল্প।
গামছা তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে ঐতিহ্যবাহী গনি মিয়ার গামছা। প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আধুনিক মেশিনে প্রস্তুত হচ্ছে গামছা।
পশ্চিম ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা সড়কের রামনগরে গিয়ে দেখা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গামছা তৈরি করছেন কারিগররা। প্রতিদিন এখন কারখানায় ২৫০টি গামছা উৎপাদন হচ্ছে।
কারিগররা জানান, ঝালকাঠির গামছা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝালকাঠির এ ঐতিহ্যবাহী গামছা দেশি-বিদেশি অতিথিদেরও দেওয়া হয় উপহার কিংবা উপঢৌকন হিসেবে। গামছা তৈরির কাঁচামাল আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসেই ডিজাইন করছে বাহারি রঙের গামছার।

স্থানীয় ফয়সাল সঙ্গে কথা হলে , শৈশবে দেখেছি বাসন্ডা গ্রামে ঘরে ঘরে তাঁতে শাড়ি লুঙ্গি আর গামছা বোনা হতো। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয় ছিল এ শিল্প। তাঁতের খট খট শব্দে দিন-রাত মুখরিত ছিল। তবে তা এখন অতীত স্মৃতি। মাত্র দু-তিনটি পরিবার কেবল গামছা তৈরি করে বাপদাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছে। দুই যুগে ধীরে ধীরে তাঁত বোনাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঝালকাঠির গামছা শিল্প।
উদ্যোক্তা খোকন হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় এ মেশিনে এখন প্রতিদিন কারখানায় ২৫০ গামছা উৎপাদন হচ্ছে খুব সহজেই। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
পাকা রঙ এবং টেকসইসহ গুণগতমানে ঝালকাঠির গামছা দেশ সেরা দাবি করে উদ্যোক্তা খোকন আরও বলেন, দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এখানকার এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।
ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আল-আমীন বলেন , জেলার এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছিল। নতুন করে আধুনিক মেশিনের যাত্রায় তা আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে মেশিনে উৎপাদন লাভজনক হয় ও সময় বাঁচায়। স্থানীয় এই প্রাচীন শিল্পটির প্রসারে উদ্যোক্তা ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে

৫০টি রাজনৈতিক দলের কাছে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য

রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৫০টি নিবন্ধিত দলের কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

সোমবার (৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, ২০২৪ সালের পঞ্জিকা বছরের হিসাব চেয়ে এবার ৫০টি দলের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিবালয় থেকে এসব চিঠি দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার আওয়ামী লীগের কাছে হিসাব চাওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এই প্রথম দলটি বাদ পড়ল। অন্যদিকে প্রায় একযুগ পর জামায়াতে ইসলামী পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এবার দলটিকেও বার্ষিক লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

 

বর্তমানে দেশে ৫০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে একটির নিবন্ধন স্থগিত এবং চারটি দলের নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।

 

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোকে প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের (এই ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) সমস্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এজন্য স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

 

আইনটি আরও বলছে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি টানা তিন বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন না জমা দেয়, তাহলে তার নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য

মিডিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সোমবার (৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ আজ সেই অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য স্পষ্ট প্রতিবন্ধক।’

তারা বলেন, রবিবার রাজশাহীতে এনসিপির এক শীর্ষ নেতা যে হুমকি দিয়েছেন, তা এক ধরনের ফ্যাসিবাদী পদধ্বনি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে এই ধরনের হুমকিতে দমন করা যাবে না। সাংবাদিক সমাজ অতীতেও অন্যায় হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি, এখনও নেবে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষাই ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য। সেই চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাই। মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আদালত ও প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া উচিত, হুমকি নয়।’

৮ ঘণ্টা কেন সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করব দীপিকাকে ঘিরে মন্তব্য রাশমিকার

ঝালকাঠিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গামছার ঐতিহ্য

সম্প্রতি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং না করার শর্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন। তবে এবার তার বিপরীতে ভিন্ন সুর শোনা গেল দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার মুখে।

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল দীপিকার, তবে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্তে তাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় তৃপ্তি দিমরিকে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে রাশমিকা বলেন, “আট ঘণ্টা নয়, সিনেমার স্বার্থে প্রয়োজনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।”

রাশমিকা আরও বলেন, “আমি তেলুগু, কন্নড়, তামিল — সব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। সেসব জায়গায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করেছি। কিন্তু বলিউডে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। কখনও কখনও টানা ৩৬ ঘণ্টাও শুটিং করতে হয়েছে।”

তার মতে, কাজের সময় ঠিক করা উচিত সিনেমা ও টিমের প্রয়োজন অনুযায়ী। রাশমিকার বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি দীপিকার মতো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নন। বরং কাজের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিতে রাজি।

×