| ৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়
রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশীদের অপহরণ ও নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের বন্দিশালায় আটকে রেখে মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে দালালরা অবৈধ সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করে দিচ্ছে।

জানা যায়,অপহরণকারীরা বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের বন্দিশালায়। মুক্তিপণ না পেলে অন্য চক্রের কাছে থেকে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় দালালরা।এরপর সশস্ত্র পাচারকারীরা তাদেরকে মিয়ানমার বা মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে বন্দিশালায় জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে, নির্যাতনের অডিও – ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠাই।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কক্সবাজারের টেকনাফের ঝর্ণা চত্বরে রয়েছে অপহরণ চক্রের একাধিক সিএনজি ও টমটম। অপরিচিত কেউ তাদের সিএনজিতে উঠলেই বিপদ।তারা অপরিচিত যাত্রীদের বিভিন্ন কৌশলে নিয়ে যায় ভয় ও আতঙ্কের জায়গায়। সিএনজি চালকরা বিভিন্ন মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিলে তখন সে আস্তানায় অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকে অপহরণকারী দল। তখন তাদের উপর মোটা অংকের টাকার জন্য তৃতীয় দফায় নির্যাতন করা হয়।

বান্দরবানের লাই চাকমা বলেন ,আমি কক্সবাজার ঘুরতে আসলে আমার বন্ধু রহিম আমাকে মোবাইল ফোনে বলছে টেকনাফে বেড়াতে আস। তখন আমি সিএনজি নিয়ে টেকনাফ শাপলা চত্বরে নামি। বন্ধু আব্দু রহিম বলে, বন্ধু চল বাড়িতে মা তোমার জন্য রান্না করে বসে আছে। তখন বন্ধুর মাকে সম্মান করে তার বাড়িতে চলে গেছি। মূলত আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়নি আরেকটি বাড়িতে নিয়ে গেছে। বন্ধু রহিম বলে, বন্ধু কেউ নেই তুমি বাড়িতে প্রবেশ কর। আমি বাড়িতে প্রবেশ করলে হঠাৎ এক মহিলা দা চুরি দিয়ে বলছে যা আছে সব কিছু বের করে দেয়।

পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা বলছে ,কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন পাঁচটি নৌ ঘাট থেকে মানুষ পাচার করা হয়। কচ্ছপিয়া করাচিপাড়া নৌঘাট, বড় ডেইলপাড়া ঘাট, শামলাপুর ঘাট, হাবিরচড়া ঘাট ও নোয়াখালীপাড়া ঘাট। এসব নৌঘাট দিয়ে বোটে ওঠানো হয়।প্রতিটি বোটে পাচারকারী চক্রের অন্তত ১০ জন করে সদস্য থাকে। যাদের কাজ হচ্ছে হুমকি দিয়ে ও মারধর করে বিদেশগামীদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও জিম্মি করে রাখা।বাহারছড়া কচ্ছপিয়া গ্রামেই পাচারকারী চক্রের বিশাল আস্তানা রয়েছে পাহাড়ে। এই গ্রামে আছে কমপক্ষে ছয়টি বন্দিশালা। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ধরে নিয়ে আটক করে রাখা হয় এসব বন্দিশালায়।

পাচারকারীদের নির্যাতনের গেল তিন মাসে দুজন মারা যায়। পাচারকারীদের মুক্তিপণ না দেওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন রহমতুল্লাহ। তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত (২২ মার্চ) মোহাম্মদ রাসেলকে মানবপাচারকারীদের নানা গোপন তৎপরতার তথ্য আইন-শৃংখলা রক্ষা সংস্থাগুলোর সদস্যদের জানানোয় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া)মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং আইজি অপহরণের ঘটনা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তবে অপহরণ দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি মাদকের লেনদেন আরেকটি জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে যদি মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয় তাদের পাচার করে দিচ্ছে।আমরা নানামুখী অপহরণের ঘটনা বন্ধের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং সামনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করব।

টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশপাশি বাংলাদেশী ও পর্যটক অপহরণের শিকার হচ্ছে। এখানে কিছু টমটম চালক ও সিএনজি চালক কৌশলে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে পেলে। তাদের অমানবিক নির্যাতন করে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দিছে। এগুলো বন্ধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান

সকালের নাশতায় কী করবেন ভুল না: পুষ্টি ও সময়মতো খাবারের গুরুত্ব

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়েদের প্রথম চিন্তা থাকে, নাশতায় কী রান্না করবেন। কিন্তু ব্যস্ততায় অনেক সময়ই সকালের নাশতার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন তা শুধু শরীরের জন্য নয়, পুরো দিনের কর্মক্ষমতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু পেট ভরে খাওয়া যথেষ্ট নয়, বরং সকালের খাবারে কিছু ভুল এড়িয়ে চলাও জরুরি। নাহলে হজমে সমস্যা, ওজন বাড়া, শক্তির অভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের অভাব হলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কারণ প্রোটিন পেট ভরে রাখে দীর্ঘ সময়। ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ও দই সকালের খাবারে রাখা উচিত।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে নাশতা না খেয়ে বা অল্প খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান, যা শরীরের পুষ্টি গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে।

সকালের নাশতার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ; দেরিতে খেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত।

সারাদিনের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে সকালের নাশতা পরিমিত, পুষ্টিকর ও সময়মতো হওয়া আবশ্যক।

ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন— চালকুমড়ার যত গুণ

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

চালকুমড়া আমাদের আশপাশে খুব সহজেই পাওয়া গেলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। এই স্বল্পক্যালরির সবজি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীর-সৌন্দর্যের যত্নেও সমানভাবে উপকারী।

চালকুমড়াতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও সামান্য শর্করা থাকে। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং রক্তনালিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য চালকুমড়া দারুণ একটি খাবার। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়।

ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
চালকুমড়ার রস নিয়মিত ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল, চুল হয় শক্ত ও চকচকে। বয়সের ছাপও কমায় এটি।

গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে চালকুমড়া খেলে আরাম মেলে। বিশেষ করে এর বীজ হজমে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর যত্নে ‘ব্রেইন ফুড’
এটি স্নায়ুকে শান্ত রাখে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়— এজন্য চালকুমড়াকে ‘ব্রেইন ফুড’ বলা হয়। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস চালকুমড়ার রস খেলে উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চালকুমড়া যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় চালকুমড়া রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবার নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?

মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

অনেকে রক্তচাপ ঠিক রাখতে খাবারে লবণ কমিয়ে দেন বা ওষুধ খান, তবুও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় না—এর বড় কারণ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু গোপন সোডিয়াম বোমা থেকে যাওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুধু লবণ নয়, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়াতে হবে। যেমন—সসেজ, নাগেট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই বেশি। ৮৫ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসেই থাকে প্রায় ৭৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম।

তাছাড়া সয়া সস, কেচাপ, রেডিমেড মশলা ও বারবিকিউ সসের মতো সসেও লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। চিজও বিপজ্জনক—১০০ গ্রাম চিজে প্রায় ৬০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

চিনিযুক্ত কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক ও অতিরিক্ত চা-কফি রক্তচাপকে আরও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে।

কী খাবেন:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, বিটের রস, তরমুজ ও ফার্মেন্টেড খাবার (দই, কিমচি, অ্যাপল সিডার ভিনেগার) খেলে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সঠিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও জরুরি।

×