মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁধা পেরিয়ে হামুগুড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ ইউনূস।

মোহাম্মদ ইউনুছ অভি টেকনাফ প্রতিনিধিঃ

বাঁধা পেরিয়ে হামুগুড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ ইউনূস।

বাঁধা পেরিয়ে হামুগুড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ ইউনূস।

বাঁধা পেরিয়ে হামুগুড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ ইউনূস।
অদম্য শক্তিতে অনেক বাধাই পেরিয়ে গেলেন টেকনাফের পৌরসভার জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউনুছ। জন্মগতভাবে শারিরীক প্রতিবন্ধী হয়েও সে এবার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যাল কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। সে স্বপ্ন দেখে একদিন মানুষের জন্য কাজ করবে, নিয়োজিত থাকবে দেশের জন্য। পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরবে সে। শত বাধা তুচ্ছ করে এগিয়ে চলার এ উদাহরণ এলাকাবাসীর কাছেও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সমাজের আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক নয় মুহাম্মদ ইউনুছ। জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারেন না। তার দুই পা অপূর্ণ। হামুগুড়ি দিয়ে চলাফেলা করেন। তবুও জীবনযুদ্ধে থেমে যাননি তিনি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। ফলে প্রতিবন্ধী হয়েও সে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

ইউনুছের মা নুরুজ জামাল বলেন, ‘শত কষ্ট ও অভাব অনটনের মধ্যেও আমি সন্তানদের লেখাপড়া করাচ্ছি। আমি চাই ওরা মানুষের মতো মানুষ হোক। অর্থের কারণে ওদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে আমার খুবই কষ্ট হয়। তারপরও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি তাকে পড়ার।

ইউনুছ জানায়, জন্ম পর থেকে পা নিয়ে হাটঁতে পারিনা। প্রথমে কেউ ভাবেনি আমার পক্ষে লেখাপড়া করা সম্ভব হবে। তবে আমার বাবা-মায়ের আগ্রহ আর শিক্ষকদের সহযোগিতায় তা সম্ভব হচ্ছে। আমার চলফেলা করতে খুব কষ্ট হয়। আমার মতো অনেকে প্রতিবন্ধী বিক্ষোভ করে জীবন যাপন করছে। আমি প্রতিবন্ধী হলেও আমি একজন মানুষ। তারপরও আমি পড়ালেখা বাদ দিবো না। আমার ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমি উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মতো মানুষ হবো। এটাই আমার আসল স্বপ্ন। আমি মনে করি সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমি লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই, বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই সমাজে।’

আরও পড়ুন  মুক্তিপণে ব্যর্থ হলে পাচার করে দিচ্ছে মালয়েশিয়ায়

টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র সচিব মো.সব্বির আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার বা উন্নয়নে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মুহাম্মদ ইউনুছ আর তার পিতা-মাতা হতে পারে অনন্য উদাহরণ। মোহাম্মদ ইউনুস যেন ভালোভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারে, সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে অন্যদের চেয়ে ৩০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়

WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram