
শেয়ারবাজারের সংকট উত্তরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, নেতৃত্বে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বর্তমানে নানাবিধ সংকটে রয়েছে। নেগেটিভ ইক্যুইটি, জনবল সংকট, আইপিও না আসা এবং করপোরেট বন্ড মার্কেটের অগ্রগতির অভাব—এসব সমস্যা সমাধানে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাল্টিপারপাস হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যেসব সমস্যা আলোচিত হয়:

নেগেটিভ ইক্যুইটি: দীর্ঘদিন ধরে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজির নিচে অবস্থান করছেন। কীভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
আইপিও স্থবিরতা: ভালো মানের কোম্পানিকে কীভাবে বাজারে আনা যায়, তা নিয়ে প্রস্তাবনা দেন ড. আনিসুজ্জামান।
বন্ড মার্কেট: সঞ্চয়পত্রের উচ্চ রিটার্নের কারণে করপোরেট বন্ডে বিনিয়োগে অনীহা তৈরি হয়েছে, যা বাজারের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএসইসির জনবল সংকট: দক্ষ জনবল না থাকায় নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে বলেও আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন:
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সিডিবিএল, সিসিবিএল, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, আইসিএবি, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এবং বিএপিএলসির প্রতিনিধিরা।
বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, শেয়ারবাজারের চলমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হবে, যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শেয়ারবাজার শক্তিশালী করার উপায় নির্ধারণ