দেশের জনগণের অভিমত অনুযায়ী, ড. মুহাম্মদ ইউনুস আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকলে দেশ উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাবে। বিস্তারিত পড়ুন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনমত উঠে এসেছে—দেশের অধিকাংশ মানুষ আগামী পাঁচ বছরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতায় দেখতে চান। প্রভাবশালী সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং তরুণ প্রজন্মের অনেকেই মনে করেন, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পথে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস শুধু একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ নন, তিনি একজন দূরদর্শী চিন্তাবিদ এবং গ্লোবাল নেতৃত্বের প্রতীক। তাঁর মাইক্রোক্রেডিট মডেল আজ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

রাজনৈতিক ভারসাম্যের অনন্য উদ্যোগ
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে ড. ইউনুসের উপস্থিতি ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকেও সুপারিশ করা হচ্ছে যেন আরও প্রতিনিধিত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়, যেখানে সব দলের অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগ রাজনৈতিক মতপার্থক্য কমিয়ে ঐক্যের এক নতুন ধারা তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিশ্লেষকরা।

দেশের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বিশেষজ্ঞদের মতে, ড. ইউনুস যদি আগামী পাঁচ বছর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয় থেকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে একটি শক্তিশালী ভিত্তি পাবে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হবে আরও গতিশীল।

জনসাধারণের অভিমত
সম্প্রতি একটি অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিশ্বাস করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে দেশে একটি কার্যকর ও নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব। তারা আরও মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো তার নেতৃত্বে সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। দেশবাসী একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা চায়, যেখানে রাজনৈতিক বিভাজনের বদলে সমন্বয় থাকবে। সেই লক্ষ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উপদেষ্টা পরিষদ গঠন এবং আগামী পাঁচ বছর তাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতায় রাখা হলে, তা দেশের জন্য এক নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করবে—এমনটাই বিশ্বাস করছেন জনগণ।

আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি ল্যাপটপ