রবিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খাগড়ছড়িতে ফুল ভাসিয়ে বর্ষবরণ : পাহাড়ে শুরু হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

জাকির হোসেন, দীঘিনালা প্রতিনিধি:

খাগড়ছড়িতে ফুল ভাসিয়ে বর্ষবরণ : পাহাড়ে শুরু হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

খাগড়ছড়িতে ফুল ভাসিয়ে বর্ষবরণ : পাহাড়ে শুরু হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাবুপাড়া মেলার মাঠে আয়োজিত বৈসাবি উৎসবের অংশ হিসেবে “ফুল ভিজু”র শুভ উদ্ভোদন করেন ০৪ ইস্ট বেঙ্গল দি বেবী টাইগার্স দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ওমর ফারুক পিএসসি।

 

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় দীঘিনালা বাবুপাড়া মাঠে ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিঝু, বিহু ও পাতা- ১৪৩১ উপলক্ষে মেলায় ফুল ভিজুর শুভ উদ্ভোদন করেন দীঘিনালা জোন অধিনায়ক।

খাগড়ছড়িতে ফুল ভাসিয়ে বর্ষবরণ : পাহাড়ে শুরু হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

উদ্ভোদনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোন অধিনায়ক ওমর ফারুক স্যারের সহধর্মিনী, টু আই সি মোঃ মেহেদী হাসান ও তাঁর সহধর্মিনী, দীঘিনালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তরুণকান্তি চাকমা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মেলা উৎযাপন কমিটি অতিথিদের ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেয়। তারপর অতিথিদের সম্মানে জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ওমর ফারুক পিএসসি সহ বিশেষ অতিথিদের ক্রেস্ট উপহার দেন। ৮ এপ্রিল শুরু হওয়া মেলার আজ ছিল শেষ দিন। বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিঝু, বিহু ও পাতা উৎসবের একত্রিত রূপ বৈসাবি-১৪৩১ উপলক্ষে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্ভোদনী বক্তব্যে জোন অধিনায়ক মোঃ ওমর ফারুক পিএসসি বলেন, দীঘিনালা উপজেলার সকল জাতিগোষ্ঠী যে ঐক্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এই মেলা উৎযাপন করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং মেলা উৎযাপন কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

দীঘিনালা জোন অধিনায়ক মেলা উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাবু প্রফুল্ল কুমার চাঁকমা এবং বোয়ালখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাতে আয়োজিত মেলার শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।

এরপর দীঘিনালা জোন অধিনায়ক ও বিশেষ অতিথিদের অংশগ্রহণে র‍্যালি হয়, যা বাবুপাড়া মাঠ থেকে শুরু হয়ে দীঘিনালা মাইনি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে এসে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে অতিথিসহ সকলে নদীতে ফুল ভাসিয়ে “ফুল ভিজু” উৎসবে অংশ নেন।

এই সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়ে, যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ সহ সকলেই নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে, আনন্দে উল্লাসে নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানান। পুরোনো দিনের দুঃখ-কষ্ট ভুলে তারা প্রার্থনা করে আগত দিনের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির।

বৈসাবি ১৪৩১ উৎযাপন কমিটির উপদেষ্টা সমীর চাকমা বলেন ফুল ভিজু আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই দিনে আমরা ফুল ভাসিয়ে প্রকৃতি ও স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি। আগামীকাল বাংলা নববর্ষ ও মূল বিজু—এদিন আমরা সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নতুন বছরকে বরণ করে নেই।

পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন “ফুল ভিজু” উৎসব স্থানীয় জনগণের মনে এক অন্যরকম আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের রঙ ছড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি ল্যাপটপ

পাঠক প্রিয়,

আপনিও আবাসননিউজ২৪.কম-এ ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি নিয়ে লিখতে পারেন।

আপনার লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ abasonnewsfeature@gmail.com