| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

লেখা লেখি করে আয় করুন – সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম

লেখা লেখি করে আয় করুন – সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম

লেখালেখি করে আয়

আজকের ডিজিটাল যুগে লেখালেখি শুধু শখের বিষয় নয়, এটি একটি লাভজনক পেশাও হতে পারে। আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে লেখা লেখি করে আয় করুন এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা লেখালেখি করে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

লেখা লেখি করে আয় করার জনপ্রিয় উপায়

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করুনঃ Upwork, Fiverr, Freelancer.com এর মতো প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট রাইটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগ রাইটিং ইত্যাদি সার্ভিস অফার করে লেখা লেখি করে আয় করুন। ক্লায়েন্টদের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট লিখে দিতে পারলে মাসে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

 ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। গুগল অ্যাডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পনসরশিপের মাধ্যমে লেখা লেখি করে আয় করা যায়।

 কপিরাইটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্টঃ ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন বা টুইটারে ভাইরাল কন্টেন্ট লিখে ব্র্যান্ডগুলোর সাথে কাজ করতে পারেন। অনেক কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট রাইটার খোঁজে, যারা লেখা লেখি করে আয় করতে চান।

ই-বুক লিখে আয় করুনঃ Amazon Kindle Direct Publishing (KDP) বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ই-বুক প্রকাশ করে রয়্যালটি আয় করতে পারেন। ফিকশন, নন-ফিকশন, গাইডবুক – যে কোনো বিষয়ে লিখে লেখা লেখি করে আয় সম্ভব।

কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সিতে কাজ করুনঃ অনলাইন বা অফলাইনে অনেক কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সি রয়েছে, যারা নিয়মিত লেখক খুঁজে থাকে। আপনি চাইলে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম কাজ করে লেখা লেখি করে আয় করতে পারেন।

লেখালেখি করে আয় করতে কী দক্ষতা লাগে?

  • ভালো বাংলা বা ইংরেজি ভাষার জ্ঞান
  • গবেষণা করার দক্ষতা
  • বিভিন্ন টপিকে সৃজনশীলভাবে লিখতে পারা
  • SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) বেসিক জানা থাকলে ভালো

শুরু করবেন কীভাবে?

১. একটি নিচ প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন (ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ই-বুক ইত্যাদি)।
২. একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন (নমুনা লেখা জমা রাখুন)।
৩. ক্লায়েন্ট বা রিডারদের সাথে কানেক্ট করুন।
৪. ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যান।

লেখা লেখি করে আয় করুন – এটি এমন একটি স্কিল যা শিখে আপনি আজীবন উপার্জন করতে পারবেন। শুধু নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আজই শুরু করুন এবং লেখালেখির মাধ্যমে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করুন!

লেখালেখি করে আয়

আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি টেক প্রডাক্ট

পান্থ হত্যা মামলা মেনন ইনু ও পলককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

লেখা লেখি করে আয় করুন – সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সকালেই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় মেনন, ইনু এবং পলক—এই তিনজনই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ইনু জানান, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, ফলে কিছু সময় থেমে যান তারা। পরে আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় উঠে কাঠগড়ায় দাঁড়ান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করেন।

এরপর পুলিশের প্রহরায় তাদের পঞ্চম তলার লিফট হয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।

 মামলার পটভূমি: ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার কদমতলী এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাহাদীর মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে রাশেদ খান মেনন (৭ নম্বর), ইনু (৮ নম্বর), ও পলক (৯ নম্বর) হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি।

চাঁ’দা’বা’জি’র দায় স্বীকার আমি গরিবের ছেলে টাকার লোভ সামলাতে পারিনি জবানবন্দিতে রিয়াদ

লেখা লেখি করে আয় করুন – সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ঢাকার গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড শেষে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন,

“আমি গরিবের ছেলে। টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।”

এর আগে, ২৬ জুলাই গুলশানের নিজ বাসায় সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ: জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, তিনি ও তার সহকর্মীরা ১৭ জুলাই রাতে গুলশান থানার ডিসিকে ফোন করে শাম্মীর অবস্থান জানান। পরে পুলিশের অনুমতি পেয়ে তারা ফজরের আযানের পর অভিযান চালান। শাম্মী বাসায় না থাকলেও অভিযানে অংশ নেওয়া জানে আলম অপু তার বাসা থেকে একটি এয়ারপড নিয়ে আসেন, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়।

তবে পরবর্তীতে সকালে আবারও গিয়ে তারা শাম্মীর স্বামী আবু জাফরের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না থাকায় তিনি ১০ লাখ টাকা দেন, যা রিয়াদ ও অপু ভাগ করে নেন।

পরে বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায়ে ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সিয়াম, সাদমানসহ আরও তিনজনকে ওই বাসায় পাঠানো হয়। পুলিশের পরামর্শে রিয়াদ নিজেও সেখানে যান। তখনই পুলিশ হাতেনাতে টাকাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।

 আদালত নির্দেশনা ও আটক: রোববার চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাকিদের—মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব—কারাগারে পাঠানো হয় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদেশে। অভিযুক্ত সকলকে তাদের সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

পরিবর্তনের চেতনা বিলুপ্তির পথে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চলছে মোস্তফা ফিরোজের মন্তব্য

লেখা লেখি করে আয় করুন – সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম

মোস্তফা ফিরোজ : ছবি-সংগৃহীত

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের যে চেতনা বিগত এক বছরে গড়ে উঠেছিল, তা আজ বিলুপ্তির পথে—এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,

“দেশে এখন কোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। একদল মনে করছে—পরিবর্তন তো ঘটিয়েছি, এখন যা ইচ্ছা তাই করবো।”

তিনি আরও বলেন,

“প্রতিশোধ, বলপ্রয়োগ, প্রতিহিংসা—এসবের মধ্য দিয়ে সমাজে এক ভয়াবহ আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।”

মোস্তফা ফিরোজের ভাষ্য অনুযায়ী,
গত এক বছরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সবচেয়ে চোখে পড়েছে হিংসা ও ভিন্নমতের উপর নির্যাতনের প্রবণতা।

“ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতভেদের কারণে মানুষ আজ সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হচ্ছে। এটি ‘মব কালচারে’র একটি স্পষ্ট প্রতিফলন,” — বলেন তিনি।

গণমাধ্যম ও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ মোস্তফা ফিরোজ আরও অভিযোগ করেন, “আজকের গণমাধ্যমগুলো মবের ভয়ে ভিন্নমতের মানুষকে স্টুডিওতে আনতে পারে না। টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলোকেও প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন,

“গুলশান, বনানী, বাড়িধারা—এই অভিজাত এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে চাঁদাবাজি চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ এলাকাতেও চুরি, ডাকাতি বেড়েছে।”

তারেক রহমানের শান্তির বার্তা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিহিংসাহীন রাজনীতির বার্তা নিয়েও কথা বলেন ফিরোজ।
তিনি বলেন,

“তারেক রহমানের বক্তব্য—‘প্রতিহিংসা নয়, শান্তির বার্তা’—একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের জন্য এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।”

×