
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য
সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন এর কার্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ একাধিক সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করে আসছে।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলছে এক বিশাল প্রতারণার চক্র! সহজ-সরল মানুষদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়, অথচ বাস্তবে তাদের দেওয়া চাকরিগুলো সাময়িক এবং চুক্তিভিত্তিক।
সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে জনবল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড-এর পরিচালক (অপারেশন) আবু নাছের সজরুল হক ও তার স্ত্রী পরিচালক (এডমিন) লিনা বারিকদার। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তারা চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি জানান—
“আমি সরকারি চাকরির আশায় আবু নাসের স্যারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিই। চাকরিতে যোগদানের মাত্র তিনদিনের মধ্যে জানতে পারি, এটি আসলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া একটি সাময়িক চাকরি, যা ভবিষ্যতে সরকারি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই! আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই, কিন্তু আমার টাকা ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।”
ভুক্তভোগী আরও জানান, ৫ আগস্টের আগে টাকা চাইতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, মামলা দিয়ে তার ভবিষ্যত নষ্ট করে দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে আবু নাছেরের প্রতিক্রিয়া
এই প্রতারণার বিষয়ে জানতে আবু নাছের সজরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রথমে বলেন,
“আমি বিষয়টি সমাধান করছি, ভুক্তভোগীর সাথে কথা হয়েছে।”
কিন্তু এরপর আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রাজনীতির আড়ালে দুর্নীতির পাহাড়!
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আবু নাছের সজরুল হক রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। তিনি ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে সাধারণ মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে, এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণ ও তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের দুর্নীতির আরো তথ্য শিগগিরই ফাঁস হতে চলেছে!
(বিস্তারিত আসছে…)