| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য! প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য! প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য

সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন এর কার্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ একাধিক সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করে আসছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য

তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলছে এক বিশাল প্রতারণার চক্র! সহজ-সরল মানুষদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়, অথচ বাস্তবে তাদের দেওয়া চাকরিগুলো সাময়িক এবং চুক্তিভিত্তিক।

সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে জনবল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড-এর পরিচালক (অপারেশন) আবু নাছের সজরুল হক ও তার স্ত্রী পরিচালক (এডমিন) লিনা বারিকদার। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তারা চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য

ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি জানান—

“আমি সরকারি চাকরির আশায় আবু নাসের স্যারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিই। চাকরিতে যোগদানের মাত্র তিনদিনের মধ্যে জানতে পারি, এটি আসলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া একটি সাময়িক চাকরি, যা ভবিষ্যতে সরকারি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই! আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই, কিন্তু আমার টাকা ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।”

ভুক্তভোগী আরও জানান, ৫ আগস্টের আগে টাকা চাইতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, মামলা দিয়ে তার ভবিষ্যত নষ্ট করে দেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে আবু নাছেরের প্রতিক্রিয়া
এই প্রতারণার বিষয়ে জানতে আবু নাছের সজরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রথমে বলেন,

“আমি বিষয়টি সমাধান করছি, ভুক্তভোগীর সাথে কথা হয়েছে।”

কিন্তু এরপর আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রাজনীতির আড়ালে দুর্নীতির পাহাড়!
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আবু নাছের সজরুল হক রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। তিনি ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে সাধারণ মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে, এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণ ও তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের দুর্নীতির আরো তথ্য শিগগিরই ফাঁস হতে চলেছে!

(বিস্তারিত আসছে…)

৩ আগস্ট আসছে বড় চমক, নতুন বার্তা দিল এনসিপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য! প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিহাস রচনার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী ৩ আগস্ট হতে যাচ্ছে দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।

 

সারা দেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নতুন বার্তা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাতে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ঘোষণায় বলা হয়, জুলাই মাসব্যাপী সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’।

 

ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল—গ্রাম থেকে শহর, পাড়া থেকে মহল্লা—সর্বত্র মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন এনসিপির নেতারা। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহিণীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভাবনা ও চাওয়া তারা সরাসরি শুনেছেন।

 

দলটির ভাষ্যমতে, “যেখানে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট এক দফার ঘোষণা হয়েছিল, সেই শহীদ মিনারে আবারও আসছেন নাহিদ ইসলাম। সেখানে তুলে ধরা হবে বিগত এক মাস ধরে সংগৃহীত মানুষের মতামত, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং এনসিপির প্রতিশ্রুতি।”

 

এছাড়া জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।

 

পোস্টে আরও বলা হয়, আগামী ৩ আগস্ট দেশের জন্য হবে একটি ঐতিহাসিক দিন। এজন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের ঢাকায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সমন্বয় কমিটিকে এই কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা দিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

 

ঘোষণার শেষ বাক্যে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে:

“আগামী ৩ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য আসছে নতুন কিছু। দেখা হবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রান্তে।”

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য! প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়োগ বাণিজ্য! প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

×