গোয়ালন্দে ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য পদ্মার চরে নেওয়ার সময় ৩জন আটক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সবুজ আলী (২৭) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্য পদ্মার চরে নেওয়ার সময় ৩জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। সবুজ আলী পাবনা জেলার সাথিয়া থানার বড় সোনাতলা গ্রামের মৃত মাদু বেপারীর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আইনুদ্দিন বেপারী পাড়ার লুৎফর বেপারীর ছেলে সাহিদুল ইসলাম (২৯), সামচু মাষ্টার পাড়ার মৃত সামচু মন্ডলের ছেলে সুমন মন্ডল (২৯), ঝিনাইদহ সদর থানার নারায়নপুর গ্রামের জালাল বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০)।
রবিবার (০৬ এপ্রিল) রাত ৮টার সময় গোয়ালন্দঘাট থানার চর মহিদাপুর বালু চরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে চর মহিদাপুর তিন রাস্তার মোড়ে পৌছালে রাস্তার পাশে একটি মুদি দোকানের সামনে থেকে আটক করে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার সাথিয়া থানার বড় সোনাতলা গ্রামের মৃত মাদু বেপারীর ছেলে সবুজ আলী ব্যবসায়ীক কাজে গোয়ালন্দ আসে। সেখান থেকে দৌলতদিয়া গেলে তাকে কৌশলে দৌলতদিয়া পতিতালয় এলাকার বোডিংয়ে ২লক্ষ টাকা দাবীতে আটকে রাখে। তার কাছে থাকা ১১ হাজার ৩শত টাকা নিয়ে নেয়। আরও ২লক্ষ টাকা দাবীতে আটকে রেখে নির্যাতন করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অটোতে করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার চর মহিদাপুর বালু চরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। রবিবার রাত ৮টার দিকে চর মহিদাপুর তিন রাস্তার মোড়ে পৌছালে রাস্তার পাশে একটি মুদি দোকানের সামনে সবুজ আলী চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন সাহিদুল ইসলাম, সুমন মন্ডল, নাজমুল হোসেনদেরকে একটি ইজিবাইক ও চাঁদার নগদ ১১ হাজার ৩শত টাকা সহ আটক করে। পরে থানা পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় সবুজ আলী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সোমবার ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামীকে রাজবাড়ী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।