পরীমণির বাসায় শেখ সাদী আসেন এবং তারা একই বিছানায় থাকেন বলে দাবি করেছেন গৃহকর্মী পিংকী আক্তার। শনিবার (৫ এপ্রিল) সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে তিনি এই তথ্য জানান।
অন্যদিকে, গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তবে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি পিংকীকে তার গৃহকর্মী হিসেবে অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ করেন যে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছেন।
গৃহকর্মী পিংকী আক্তারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। গত বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পিংকীর অভিযোগ অনুযায়ী, পরীমণির এক বছর বয়সী দত্তক কন্যাকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরীমণি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
পিংকী জানান, একটি এজেন্সির মাধ্যমে এক মাস আগে তিনি পরীমণির বাসায় কাজ নেন। তার দায়িত্ব ছিল পরীমণির মেয়ের দেখাশোনা করা এবং তাকে খাবার খাওয়ানো। বাচ্চাটিকে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর খাওয়ানোর নিয়ম ছিল। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য গৃহস্থালির কাজও করতেন। গত ২ এপ্রিল পিংকী বাচ্চাটিকে পাশে বসিয়ে বাজারের তালিকা করছিলেন। এ সময় বাচ্চাটি কান্না শুরু করলে পরীমণির পরিচিত সৌরভ নামের একজন বাচ্চাকে ‘সলিড খাবার’ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
পিংকী বলেন, “সলিড খাবার দেওয়ার সময় না হওয়ায় আমি বাচ্চার জন্য দুধ তৈরি করছিলাম। এমন সময় পরীমণি মেকআপ রুম থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। তিনি একের পর এক আমার মাথায় আঘাত করতে থাকেন। তার মারধরে আমি তিনবার মাটিতে পড়ে যাই। এরপর তিনি আমার বাম চোখে সজোরে থাপ্পড় মারেন, যাতে আমার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে পরীমণির প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাদের প্রায়ই একসাথে দেখা যায় এবং একে অপরের বাসায় তাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। এমনকি সাদীর মা পরীমণির জন্য পিঠা বানিয়ে পাঠিয়েছেন যা পরীমণি ফেসবুকে শেয়ারও করেছেন।
বিভিন্ন সময় শেখ সাদীকে গাড়ি চালাতে এবং পাশে পরীমণিকে বসে থাকতে দেখা গেছে। এত কিছুর পরেও শেখ সাদী তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পরীমণি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
