মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর

আবাসন নিউজ২৪-অনলাইন ডেস্কঃ

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারিভাবে রাশিয়াক্রোয়েশিয়া সফরে গিয়েছেন। রবিবার, ৬ এপ্রিল, তিনি এই সফর শুরু করেন, এবং প্রথমে রাশিয়া সফর করবেন। সফরের পর, তিনি ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া যাবেন। সফরকালে, তিনি উভয় দেশের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং সামরিক সহযোগিতা উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।

এছাড়া, সেনাপ্রধান সামরিক স্থাপনা এবং সমরাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করবেন, যা বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক এবং প্রযুক্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এই সফরটি ১২ এপ্রিল তার দেশে ফেরার মাধ্যমে শেষ হবে।

এটি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং সামরিক সফর হতে পারে, বিশেষ করে রাশিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে।

এই সফরের কিছু সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যা বাংলাদেশের সামরিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  1. রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সাথে সামরিক সম্পর্কের উন্নয়ন:

    • বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধানের সফরের মাধ্যমে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সাথে সামরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হতে পারে। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তি এবং ক্রোয়েশিয়া ইউরোপীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই সফর বাংলাদেশকে তাদের সামরিক ক্ষমতা এবং প্রযুক্তিতে উন্নতি ঘটানোর সুযোগ দিতে পারে।

  2. সামরিক স্থাপনা ও সমরাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন:

    • সেনাপ্রধানের সফরের সময় সমরাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বাংলাদেশ নতুন প্রযুক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য এসব সফরকে কাজে লাগাতে পারে, যা দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

  3. দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা:

    • সফরকালে সেনাপ্রধানের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং আলোচনা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। রাশিয়া, বিশেষ করে, অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, এবং বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে।

  4. সামরিক প্রশিক্ষণ ও যৌথ মহড়া:

    • এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও এই দেশগুলির মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যৌথ মহড়া আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।

  5. কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ:

    • সেনাপ্রধানের এই সফর কেবল সামরিক সম্পর্ক নয়, বরং কূটনৈতিক সম্পর্কও আরো উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি সাধনে সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন  কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী শোক পালিত

এই সফরটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারে, যা সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে লাভজনক হতে পারে।

WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram