| ৬ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আবারও কক্সবাজারের ক্যাম্পেগুলোতে আলোচনা চলছে। কেননা রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ জায়গা আরাকান আর্মির দখলে থাকায়, দেশটির জান্তা সরকার তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিতে পারবে-এমন প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের।

কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০২৪ সালে রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপের মাংগালা গ্রাম থেকে পালিয়ে এপারে টেকনাফ সীমান্তে দমদমিয়া ক্যাম্পে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা নুর মোহাম্মদ (৫০)। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পরিবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে আমাদের নিয়ে কোথায় রাখবে, এটিও স্পষ্ট করেনি দেশটির জান্তা সরকার। সেদেশে (মিয়ানারে) কোথায় নেবে আমাদের, এ ঠিকানা যদি না পায় আমরা কেমন করে ফিরে যাব?
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের (জান্তা সরকার) এর নতুন কৌশল কিনা সেটি চিন্তা করা দরকার। কেননা সেময় তাদের দখলে থাকা রাখাইন থেকে আমাদের রোহিঙ্গাদের) বিতাড়িত করেছিল। এখনো সেখানে (রাখাইনে) আরকান আর্মির সাথে জান্তা সরকারের যুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য কিভাবে আমাদের তাঁরা (জান্তা) সেখানে নিয়ে যাবেন।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পর বসবাসকারী আজিজুল হক বলেন, ‘রাখাইনে আরকান আর্মির রাজত্ব চলছে। সেখানে কিভাবে ফিরব। আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেটা আগে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু শর্তও আছে। তার মধ্য, নিরাপত্তা, নাগরিকত, ভিটেমাটি ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা সুযোগ করে দিতে হবে।”

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘আট বছরের মধ্য মিয়ানমার জান্তা সরকার শুধু মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা তথ্য যাচাই-বাচাই শেষ করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে, এটি আসলে চিন্তার বিষয়। এত দিন পর কেন তাঁরা ছোট একটি দল নিয়ে যাচ্ছে এটার আমরা পরিস্কার না। এখানে অনেক শংসয় রয়েছে।’
বর্তমান নতুন পুরনো আর এদেশে এসে জন্মহার মিয়ে মোট ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে আরো কম-বেশি হতে পারে জানিয়ে এই রোহিঙ্গা বলেন, ‘এভাবে নিয়ে গেলে ৫২ বছরের বেশি সময় লাগবে বাংলাদেশ সকল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে। তাছাড়া আমাদের কোথায় নিয়ে রাখা হবে, বিয়টি কেউ পরিস্কার করেনি।’

এখনো রাখাইনে নির্যাতন!

বাংলাদেশে আশ্রিত হওয়ার পরও মিয়ানমারে এখনো চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসতির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্য আরাকান আর্মির দখলে থাকা রাখাইন রাজ্যের মধ্য দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসতি রয়েছে। সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের আরাকান আর্মি উপর নির্যাতন এবং হুমকি দমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা।

উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বসবাসকারী মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ‘রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে হুমকি-দমকি দিচ্ছে আরাকান আর্মি। সেদেশে থাকা আমার দুই স্বজন এখনো রয়েছে। তাঁরার মংডু টাউনশিপের রয়েছে। গতকাল তাদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তারা বলছে, ‘আরাকান আর্মি লোকজনকে কোথাও চলাফেলা করতে দিচ্ছিনা। তারা (আরাকান আর্মি) হঠাৎ করে মাইকিং করে ঘর থেকে সবাইকে বের হতে নির্দেশ দেন। তারপর তারা ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। কোন অভিযোগ ছাড়াই এ ধরনের কর্মকান্ডা চালাচ্ছে। ফলে অনেকে এপারে (বাংলাদেশে) পালিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভাসানচরে ৩৬ হাজার ৩৭৬ জনসহ কক্সবাজারের ৩৩ টি ক্যাম্পে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। দফায় দফায় আলোচনা এবং প্রতিশ্রæতির পরও গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। এরই মধ্যে আবার নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

জাতীয় পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কক্সবাজার সফরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করা হয়েছে, যা একেবারে প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং গোপনীয়তার কঠোর অবমাননা। তারা বলছেন, এই ধরনের ফুটেজ ফাঁসের ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

 

মঙ্গলবার তারা ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ সী পার্লে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তাদের অবস্থান নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছিল। কিন্তু গোপনীয়ভাবে তোলা সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এনসিপি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

 

এনসিপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

 

এদিকে, এই ঘটনায় উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন এমন গোপন ফুটেজ ফাঁসের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের তথ্য ফাঁস রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে।

হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামদের বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র: অভিযোগ ঢাবি শিবির সভাপতির

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

ফরহাদ বলেন,

আজকের মব সৃষ্টির ফ্রেমিংটা ১৯৭১ বনাম ২০২৪ নয়। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা। শাহবাগ ও বাকশালকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন,

আমরা শাহবাগ ও বাকশালের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। সামনে আবার এ ধরনের ষড়যন্ত্র হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

শিবির সভাপতি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসন টিকিয়ে রাখতে বাম সংগঠনগুলো নানা তকমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন,

মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যদের ফাঁসির আদেশ ছিল বিচারিক হত্যাকাণ্ড। এর দায় শুধু শেখ হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদীদের দোসরদেরও।

এ সময় তিনি দাবি করেন,

যারা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছে, তারা সবাই বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের পদধারী। ১০-১২টি সংগঠন থেকে মাত্র ২০-২৫ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

এর আগে ঢাবির টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবির আয়োজন করেছিল তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’। এ আয়োজনে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজনের ছবি রাখা হয়েছিল। বামপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আপত্তির মুখে সেসব ছবি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়।

বজ্রপাতরোধে শ্যামনগরে সড়কের পাশে তালের চারা রোপন

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

ছবি- শ্যামনগরে গ্রামীন সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুন।

সোমবার(৪ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বজ্রপাতরোধে গ্রামীণ সড়কের পাশে তালের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

শ্যামনগর পৌরসভা সদরের কালমেঘা ও হাটছোলা গ্রামীণ সড়কে তালের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা ঃ রণী খাতুন।

 

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর অসংখ্যা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তিনি এলাকাবাসীকে রোপনকৃত চারা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি সেখান থেকে নানা মুখি সুবিধা গ্রহণের আহব্বান জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী আরিফুল হক, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন,এস এম আহসান উল্যা, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম বিল্যা স্থানীয় কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।

 

জানা যায় খরিপ-২ এর কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় দুটি সড়কের পাশে দুই শতটি করে তালের চারা রোপন করা হয়েছে।

×