| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

কুয়াকাটা পর্যটকদের ঢল,সমুদ্র সৈকতে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখর সৈকত, পরিবেশের অবস্থা উদ্বেগজনক

কুয়াকাটা পর্যটকদের ঢল,সমুদ্র সৈকতে  আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখর সৈকত, পরিবেশের অবস্থা উদ্বেগজনক

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঈদের পঞ্চম দিনেও ছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে পূর্ণ। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের বিপুল ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, তবে আজকের দিনটিতে সৈকত ছিল আরও প্রাণবন্ত। পর্যটকরা ছোট-বড় সবাই সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করেছেন। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে, সাগরের নোনা জলে গা ভাসাতে, আর বালিতে খেলার জন্য সৈকত ছিল উপভোগ্য। শিশুরা মেতে উঠেছিল সাগরের পানিতে, আর বড়রা আরাম-আলায় সমুদ্রের তাজা হাওয়ায় শান্তি খুঁজছিলেন।

যতটা আনন্দ ছিল, ততটাই সমস্যা দেখা গেছে সৈকতের পরিবেশে। সৈকতজুড়ে খাবারের প্যাকেট, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন ময়লা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমরান বলেন, “সাগর পাড়ে যথেষ্ট ময়লা ফেলার ডাস্টবিন না থাকার কারণে, পর্যটকরা যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে যাচ্ছেন, যা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।”

ডাব বিক্রেতা মো. মাহিদ বলেন, “আমরা ডাবের খোসাগুলো একত্রে রেখেদি পরে অনেক গবির রাতে পৌরসভার ট্রাকে ময়লা নিয়ে জায়, কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী সেগুলো এক জায়গায় রাখেন না, যার ফলে সৈকত ময়লা দিয়ে ভরে যায়।” তিনি আরও বলেন, “পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত যাতে তারা ময়লা যেখানে-সেখানে না ফেলে, পরিবেশের দিকে মনোযোগ দেয়।”

এদিকে, হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা মো. মিরাজ জানান, “ঈদের পর ব্যবসা ভালো চলছে, গত মাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।” আচার বিক্রেতা মো. ছানি বলেন, “বেচাকেনা ভালো হচ্ছে, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা বেশি আসায় বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।”

এদিকে কুয়াকাটা থেকে ফিরতে আসা পর্যটকদের জন্য বাস টিকিটের সংকট দেখা দিয়েছে। শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের মেসকাত হোসেন জানান, “৫ তারিখ পর্যন্ত সব টিকিট বুকিং হয়ে গেছে, ৬ তারিখ থেকে কিছু সিট খালি হবে, তবে সেগুলোও খুব দ্রুত বুক হয়ে যাচ্ছে।” টিকিট না পেয়ে অনেক পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন, ফলে বাস টিকিটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

স্থানীয় মো.আরিফ বলেন “কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন হতে হবে। সৈকতের চারপাশে ময়লা ছড়িয়ে পড়া, বিশেষত খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল ও ডাবের খোসা, পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। ব্যবসায়ীদের উচিত, ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং পর্যটকদের এই ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যদি সৈকতের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত না করা যায়, তবে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাতে পারে। তাই, প্রতিটি ব্যবসায়ীকে নিজস্ব উদ্যোগে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব আচরণে উৎসাহিত করতে হবে। এমনকি ময়লা ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে।”

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর: চালু হলো মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

কুয়াকাটা পর্যটকদের ঢল,সমুদ্র সৈকতে  আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখর সৈকত, পরিবেশের অবস্থা উদ্বেগজনক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়া সরকার অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (MEV) চালু করেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। এতে জানানো হয়, এই সুবিধা শুধু বৈধ পাস ল্যান কার্ড কেদাতাং সেমেন্টারা (PLKS) ধারকদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে ইমিগ্রেশন বিভাগ এর সমন্বয় করবে।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই উদ্যোগ অভিবাসী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া ও নিজ দেশে যাতায়াত আরও সহজ করবে, একইসাথে ইমিগ্রেশন পাসের অপব্যবহার কমাবে। তাছাড়া বিদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ার দূতাবাসগুলোতে নতুন ভিসা আবেদনের চাপও হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশি কর্মীরা এখন থেকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রয়োজনে সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন, যা আগে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার কারণে সীমাবদ্ধ ছিল।

গত ১৫ জুলাই কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক ফেসবুক পোস্টে এই ভিসা চালুর বিষয়ে অবহিত করেছিল।

বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে। আলোচনার পর ১০ জুলাই এ বিষয়ে সরকারি পরিপত্র জারি করা হয়।

এমইভি চালুর ফলে বর্তমানে ১৫টি শ্রমিক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মতোই একাধিকবার যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। এতে তাদের ভ্রমণ সুবিধা ও কর্মজীবনে স্বস্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দিল ইসলামী ছাত্র শিবির

কুয়াকাটা পর্যটকদের ঢল,সমুদ্র সৈকতে  আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখর সৈকত, পরিবেশের অবস্থা উদ্বেগজনক
তোমরা হবে স্বপ্নে রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়ায় বিশ্বময়” এই প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের ক‍্যারিয়ার গাইডলাইন এবং সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রশিবির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, ইসলামি সাহিত্য, সার্টিফিকেট, কলম, পরিবেশ বন্ধু গাছ এবং ছাত্রশিবিরের পরিচিতি উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়।
উপজেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আল মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপ জন মিত্র। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র শিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা সেক্রেটারি মোবাশ্বের রাশেদ্বীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ ও কুড়িগ্রাম -১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম।
অন‍্যান‍্যদের মধ্যে মিজানুর রহমান, ফেরদৌস হোসেন, আবু হেনা মাসুম, রোকনুজ্জামান ও রাজু আহমেদ প্রমখ বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ভূরুঙ্গামারী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া জান্নাতুন ফেরদৌসী ও জয়মনিরহাট মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের তানভীর হাসান তামিম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কথা এবং কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তারা।
বক্তারা বলেন, মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে বড়, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে চালিয়ে যেতে হবে সর্বোচ্চ চেষ্টা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ লালনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সমাজ ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে জিম্বাবুয়ের রুটিন ভিসা সাময়িক স্থগিত, উদ্বেগে নাগরিকরা

কুয়াকাটা পর্যটকদের ঢল,সমুদ্র সৈকতে  আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মুখর সৈকত, পরিবেশের অবস্থা উদ্বেগজনক

যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করেই জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের নিয়মিত (রুটিন) ভিসা আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ে সরকারের সঙ্গে কিছু ইস্যুতে উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই আলোচনার অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়েতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস শুক্রবার থেকে রুটিন ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রাখবে।

 

দূতাবাস জানিয়েছে, এটি সাময়িক পদক্ষেপ, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ভিসার অপব্যবহার ও সময়ের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান (Overstay) রোধ করা।

তবে, কূটনৈতিক ও সরকারি কাজে ব্যবহৃত ভিসাগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।

 

অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় থেকে চলা অভিবাসন নীতিরই একটি অংশ, যেখানে আফ্রিকার একাধিক দেশের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

 

চলতি বছরের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার মধ্যে ৭টি দেশ আফ্রিকায় অবস্থিত। এছাড়াও আরও ৭টি দেশের ওপর বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়, যাদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে, মালাউই ও জাম্বিয়া রয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা কী?

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ৩৬টি দেশের কাছে দাবি জানিয়েছে, যাতে তারা—

নিজেদের নাগরিক যাচাই প্রক্রিয়া উন্নত করে

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনে

ভিসা ব্যবস্থায় অনিয়ম ও অপব্যবহার রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়

 

×