
ঝিনাইদহ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের মদের আড্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে ‘ইয়াসির আরাফাত’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, এলমা খাতুন একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন এবং পরে ব্যাগটি রেখে মোবাইল ব্যবহার করেন। তার পাশে শুয়ে ছিলেন সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। কিছুক্ষণ পর, এলমা খাতুন একটি মদের বোতল হাতে নেন, যেখানে একাধিক ওয়ান টাইম গ্লাসও দেখা যায়।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা ও বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবিদার এই নেতারা নিজেরাই বিতর্কিত কার্যকলাপে লিপ্ত।
প্রতিক্রিয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, তিনি ভিডিওটির বিষয়ে অবগত নন এবং পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘যদি ভিডিওটি সত্যি হয়, তাহলে এদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি ভবিষ্যতে কিছুই আশা করতে পারে না। এটি সমাজের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে।’
কমিটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং ছয় মাসের জন্য কার্যকর থাকবে।
ঝিনাইদহ জেলা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ:
-
আহ্বায়ক: আবু হুরাইরা (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
-
সদস্য সচিব: সাইদুর রহমান (কেসি কলেজ)
-
মুখ্য সংগঠক: সাজেদুর রহমান
-
মুখপাত্র: এলমা খাতুন (ইডেন মহিলা কলেজ)
এছাড়া কমিটিতে ১৩ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৩ জন যুগ্ম সদস্য সচিব, ৯ জন সংগঠক ও ৬৪ জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি উঠেছে। তবে, এখনো কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
📌 আপনার মতামত কী? কমেন্টে জানান!