| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল বর্তমানে তাদের রোগীদের জন্য নতুন একটি ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করেছে, যা আগের জটিল এবং সময়সাপেক্ষ টিকেট কাটার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে, রোগীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই তাদের পছন্দ অনুযায়ী সময় নির্বাচন করতে পারবেন এবং সেই সময়ের জন্য টিকিট কাটতে পারবেন।

কীভাবে কাজ করে এই নতুন সিস্টেম?

  1. ই-টিকেটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশন:
    কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সাইটে প্রবেশ করে প্রথমে রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে রোগী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন নাম, যোগাযোগের তথ্য, এবং রোগীর সমস্যা বা চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করবে।

  2. টাইম স্লট নির্বাচন:
    রোগী তার পছন্দ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট টাইম স্লট বেছে নিতে পারবেন। এটি রোগীর জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে, কারণ আগে অনেক সময় ডাক্তার দেখাতে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, যা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।

  3. টিকিট প্রিন্ট:
    নির্বাচিত সময় এবং ডাক্তারকে নিশ্চিত করার পর, রোগী ই-টিকেট সিস্টেমে টিকিট পেতে পারবেন। এটি তারা প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে আসতে পারবেন, অথবা হাসপাতালের তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

  4. ডাক্তারের রুমে প্রবেশ:
    টিকিট হাতে নিয়ে রোগীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। তবে, ঠিকই ডাক্তারের রুমের সামনে কিছুটা লাইন থাকতে পারে, কারণ নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কিছু রোগী আসবেন। তবে, এই ব্যবস্থা রোগীকে আরও সহজ করে দেবে, কারণ তারা লাইনে দাঁড়ানোর পরিবর্তে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ডাক্তার দেখাতে পারবেন।

  5. সহজতা এবং সুবিধা:
    এই সিস্টেমের অন্যতম বড় সুবিধা হলো রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী সময় এবং আরও দ্রুত সেবা। আগে যেখানে দীর্ঘ লাইন এবং অপেক্ষার সময় ছিল, এখন ই-টিকেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে রোগী আগেই নির্ধারিত সময় নিয়ে দ্রুত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল তাদের সেবা আরও উন্নত এবং রোগীদের জন্য আরো সুবিধাজনক করে তুলেছে। এটি হাসপাতালের কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল এবং সহজতর করবে, এবং রোগীদের আরও সন্তুষ্ট করবে।

পান্থ হত্যা মামলা মেনন ইনু ও পলককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সকালেই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় মেনন, ইনু এবং পলক—এই তিনজনই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ইনু জানান, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, ফলে কিছু সময় থেমে যান তারা। পরে আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় উঠে কাঠগড়ায় দাঁড়ান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করেন।

এরপর পুলিশের প্রহরায় তাদের পঞ্চম তলার লিফট হয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।

 মামলার পটভূমি: ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার কদমতলী এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাহাদীর মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে রাশেদ খান মেনন (৭ নম্বর), ইনু (৮ নম্বর), ও পলক (৯ নম্বর) হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি।

চাঁ’দা’বা’জি’র দায় স্বীকার আমি গরিবের ছেলে টাকার লোভ সামলাতে পারিনি জবানবন্দিতে রিয়াদ

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ঢাকার গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড শেষে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন,

“আমি গরিবের ছেলে। টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।”

এর আগে, ২৬ জুলাই গুলশানের নিজ বাসায় সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ: জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, তিনি ও তার সহকর্মীরা ১৭ জুলাই রাতে গুলশান থানার ডিসিকে ফোন করে শাম্মীর অবস্থান জানান। পরে পুলিশের অনুমতি পেয়ে তারা ফজরের আযানের পর অভিযান চালান। শাম্মী বাসায় না থাকলেও অভিযানে অংশ নেওয়া জানে আলম অপু তার বাসা থেকে একটি এয়ারপড নিয়ে আসেন, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়।

তবে পরবর্তীতে সকালে আবারও গিয়ে তারা শাম্মীর স্বামী আবু জাফরের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না থাকায় তিনি ১০ লাখ টাকা দেন, যা রিয়াদ ও অপু ভাগ করে নেন।

পরে বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায়ে ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সিয়াম, সাদমানসহ আরও তিনজনকে ওই বাসায় পাঠানো হয়। পুলিশের পরামর্শে রিয়াদ নিজেও সেখানে যান। তখনই পুলিশ হাতেনাতে টাকাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।

 আদালত নির্দেশনা ও আটক: রোববার চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাকিদের—মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব—কারাগারে পাঠানো হয় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদেশে। অভিযুক্ত সকলকে তাদের সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

পরিবর্তনের চেতনা বিলুপ্তির পথে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চলছে মোস্তফা ফিরোজের মন্তব্য

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

মোস্তফা ফিরোজ : ছবি-সংগৃহীত

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের যে চেতনা বিগত এক বছরে গড়ে উঠেছিল, তা আজ বিলুপ্তির পথে—এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,

“দেশে এখন কোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। একদল মনে করছে—পরিবর্তন তো ঘটিয়েছি, এখন যা ইচ্ছা তাই করবো।”

তিনি আরও বলেন,

“প্রতিশোধ, বলপ্রয়োগ, প্রতিহিংসা—এসবের মধ্য দিয়ে সমাজে এক ভয়াবহ আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।”

মোস্তফা ফিরোজের ভাষ্য অনুযায়ী,
গত এক বছরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সবচেয়ে চোখে পড়েছে হিংসা ও ভিন্নমতের উপর নির্যাতনের প্রবণতা।

“ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতভেদের কারণে মানুষ আজ সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হচ্ছে। এটি ‘মব কালচারে’র একটি স্পষ্ট প্রতিফলন,” — বলেন তিনি।

গণমাধ্যম ও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ মোস্তফা ফিরোজ আরও অভিযোগ করেন, “আজকের গণমাধ্যমগুলো মবের ভয়ে ভিন্নমতের মানুষকে স্টুডিওতে আনতে পারে না। টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলোকেও প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন,

“গুলশান, বনানী, বাড়িধারা—এই অভিজাত এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে চাঁদাবাজি চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ এলাকাতেও চুরি, ডাকাতি বেড়েছে।”

তারেক রহমানের শান্তির বার্তা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিহিংসাহীন রাজনীতির বার্তা নিয়েও কথা বলেন ফিরোজ।
তিনি বলেন,

“তারেক রহমানের বক্তব্য—‘প্রতিহিংসা নয়, শান্তির বার্তা’—একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের জন্য এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।”

×