| ৪ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

Meta Description:

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি এবং সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি সকলকে গুজব ও উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য সতর্ক করেছেন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সম্প্রতি বলেছেন যে দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি এবং সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সেনাপ্রধান সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে (অফিসার্স অ্যাড্রেস) এসব কথা বলেন। বৈঠকটিতে উপস্থিত একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে যে, তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়েও কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবে না। কোনো জরুরি অবস্থা দেশের মধ্যে জারি করা হয়নি এবং সেনাবাহিনী দেশের জন্য সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছে।”

সেনাপ্রধান ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উসকানিদাতাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়।”

গুজব এবং অপতথ্য সম্পর্কে সতর্কতা:

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, “বিভিন্ন গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, কিন্তু জনগণকে বিভ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সেনাবাহিনী দেশ ও দেশের জনগণের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।”

জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রশংসা:

সেনাপ্রধান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তি মিশনে অবদান এবং ৫ আগস্ট–পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের সাক্ষাৎ:

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটারস সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতে সেনাপ্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেছেন এবং উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছেন।

ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি:

সেনাপ্রধান ঈদের সময় দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিক রাখতে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, তাহলে কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”


Focus Keyword:
দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান


Internal Linking Suggestions:

  1. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কিত তথ্য
    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস এবং ভূমিকা

  2. জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান
    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভূমিকা

  3. গুজব এবং অপতথ্য নিয়ে সচেতনতা
    গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

 জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট)সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একত্রিত করে সাতক্ষীরা -৪ আসনে পরিণত করায় উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের চক্রান্ত করা হয়েছে। এই দুই উপজেলা বহু ব-দ্বীপ ও দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উপজেলা দুটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও দুর্যোগ পীড়িত উপজেলাকে এক আসনে অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। পূর্বের ন্যায় শ্যামনগরকে একটি একক আসন অথবা  শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একত্র করে আলাদা একটি আসন গঠন করা হলে জনগণের উপকারে আসবে।

তিনি বলেন সাতক্ষীরা জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমে শ্যামনগরের বা আশাশুনির লোকজন একে অপরের উপজেলায় যেতে হয় না। বরং কালিগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়ক দিয়ে যেতে হয়। ইতিপূর্বে শ্যামনগরের পৃথক আসন ছিল এবং পরবর্তীতে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়ন কালিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন গঠিত হয়। সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেটটি সংশোধন করে জনগণের স্বার্থে আশাশুনির সাথে শ্যামনগর উপজেলাকে কোন অবস্থাতে সংযুক্ত না করার দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও জামায়াতের উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি সাইদী হাসান বুলবুল প্রমূখ।

ছবি- শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম।

৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’: পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা বিজিএমইএর

দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান

আসন্ন ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ঘোষিত জাতীয় ছুটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং ওই দিনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলো বছরের নির্ধারিত ১১ দিনের উৎসব ছুটির বাইরে সাধারণ ছুটিতে বাধ্য নয়, তবুও ৫ আগস্টের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা দেশের সব কারখানাকে ওই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

আইনগত দিক: বিজিএমইএ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এর বিধি ১১০ অনুযায়ী এই ছুটি বাধ্যতামূলক না হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এটি পালন করা উচিত।

 শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: এই দিনটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বিজিএমইএ’র এই পদক্ষেপকে পোশাক খাতের সামাজিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

×