স্যামসাং ভবিষ্যতে 5G, 6G, এবং AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে। তাদের গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিগুলি আরও শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে। এছাড়াও, নতুন ডিসপ্লে প্রযুক্তি এবং ফোল্ডেবল ফোন তাদের পণ্য পরিসরে এক নতুন স্তর যোগ করতে যাচ্ছে।
স্যামসাং পরিবেশ বান্ধব পণ্য তৈরির দিকে মনোযোগ দেবে। তারা সামগ্রিকভাবে কম কার্বন নিঃসরণ, স্থায়ী উপাদান এবং অদ্বিতীয় শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি চালু করবে। স্যামসাংয়ের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন পণ্যগুলির জন্য পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রিন টেকনোলজির পথ অনুসরণ করা।
স্যামসাং তাদের AI প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে পরিকল্পনা করছে, যা তাদের স্মার্টফোন, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলিতে কাজ করবে। রোবটিক্স ক্ষেত্রেও স্যামসাং নতুন ইনোভেশন নিয়ে আসবে, যেমন AI-powered robots এবং automated solutions যা গ্রাহকের জীবন আরও সহজ করবে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজ সহ নতুন স্মার্টফোন, গ্যালাক্সি ফোল্ড এবং অন্যান্য ডিভাইসের ইনোভেটিভ মডেল বাজারে নিয়ে আসবে। তারা পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডেবল ফোন এবং গ্যালাক্সি নোট সিরিজের জন্য আরও উন্নত S Pen এবং প্রযুক্তি চালু করবে।
স্যামসাং তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রযুক্তি যেমন ওয়্যারেবল ডিভাইস এবং স্বাস্থ্য মনিটরিং সিস্টেমে নতুন উন্নতি আনবে। ভবিষ্যতে স্যামসাং বায়োমেট্রিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং এবং AI ড্রিভেন মেডিকেল সলিউশন নিয়ে কাজ করবে, যা ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডেটা বিশ্লেষণ করতে সহায়ক হবে।
স্যামসাং স্মার্ট হোম টেকনোলজি, ভিআর (ভাচুয়াল রিয়ালিটি), এবং এআর (অগমেন্টেড রিয়ালিটি) প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে যাতে গ্রাহকরা আরও উন্নত ও যুক্তিসঙ্গত অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
স্যামসাং আন্তর্জাতিক বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থান নিতে নতুন দেশ ও অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। উন্নত বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারেও তাদের পণ্য বিক্রি বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশল অনুসরণ করবে।
স্যামসাংয়ের ২০২৬ সালের পরিকল্পনা অত্যন্ত আগ্রহজনক, এবং তারা প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে প্রস্তুত। তাদের উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিবেশ বান্ধব প্রচেষ্টা বাজারে তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।