| ২৫ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

জাহাঙ্গীরনগরে কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে হল, গেস্টরুম, ক্যানটিনের চিত্র

জাহাঙ্গীরনগরে কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে হল, গেস্টরুম, ক্যানটিনের চিত্র

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অতিথিকক্ষটি (গেস্টরুম) পরিপাটি করে সাজানো। একদিকে দুই শিক্ষার্থী একাডেমিক পড়ালেখায় ব্যস্ত, অন্যদিকে সোফায় বসে পাঁচ শিক্ষার্থী কী নিয়ে যেন আলাপ করছিলেন। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা ‘গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট’ করছেন। দক্ষিণ দিকের নতুন যে সোফা, সেখানে বসে খোশগল্পে মেতে ছিল পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল। সবার মুখে হাসি।

১১ সেপ্টেম্বরের দৃশ্য এটি। গেস্টরুমে খোশগল্পে মেতে থাকা দলটির সঙ্গে যোগ দিই। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘মনের আনন্দে আড্ডা দিচ্ছি, তাই মন খুলে হাসছি। ম্যানার শেখার ভয় নাই।’

শিক্ষার্থীরা জানান, মাস দুয়েক আগে এই ‘গেস্টরুম’ সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছে ছিল এক আতঙ্কের নাম। রাত হলেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে চলত অমানুষিক নির্যাতন। পান থেকে চুন খসলেই শুরু হতো গালিগালাজ, হট্টগোল। নামে গেস্টরুম হলেও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ‘আড্ডাস্থল’ হিসেবেই ছিল পরিচিতি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনসংকটও কেটে গেছে বলে দাবি করলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভাষ্য, নামে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও জাহাঙ্গীরনগরে গত কয়েক বছর ছিল তীব্র আবাসনসংকট। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হতো গণরুমে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরুতেই ‘গণরুম সংস্কৃতিতে’ পড়ে অনেক শিক্ষার্থীই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতেন।

হলগুলোয় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে কৃত্রিম আবাসনসংকট ছিল প্রবল। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর চিত্রপট পাল্টেছে। ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে একধরনের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেশির ভাগ হল গণরুম-মিনিগণরুমমুক্ত হয়েছে। কোনো কোনো হলে ‘রাজনীতিমুক্ত হল’ ব্যানার টানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এখন নেই র‍্যাগিং বা গেস্টরুম সংস্কৃতি।

হাওয়াবদল

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকতেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। নিজে অছাত্র হলেও এই হলের একাত্তর ব্লকের তিনতলায় চার আসনের দুটি কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। শুধু হাবিবুর নন; ওই হলে অন্তত ৩০টি কক্ষ অছাত্ররা দখল করে রেখেছিলেন। বেশির ভাগ কক্ষেই নেতারা একা থাকতেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরাম-আয়েশে থাকলেও একটি সিটের আশায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বর্ষ পেরিয়ে গেলেও একটি সিট জুটত না। বাধ্য হয়ে অনেকে বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই চিত্রও এখন পাল্টেছে। যে হলে শিক্ষার্থীরা আসন না পেয়ে বাইরে থাকতেন, গণরুমে থাকতেন, সেই হলে সব শিক্ষার্থীকে তাঁর ন্যায্য আসন বুঝিয়ে দেওয়ার পরও অন্তত ১০০টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

শুধু বঙ্গবন্ধু হল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হলেই একই রকম চিত্র চোখে পড়ল। মওলানা ভাসানী হলের তিনতলায় থাকতেন ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল। চারজনের কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। টিভি, ফ্রিজ, আয়েশি বিছানা, কী ছিল না তাঁর ঘরে! ওই হলেও অন্তত ২৫টি ঘর নেতা-কর্মীরা দখল করে রেখেছিলেন। আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসন না পেয়ে ৪ জনের ঘরে ১০ থেকে ১২ জন থাকতেন। শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে এখন আসন বণ্টন হয়েছে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ‘ম্যানার শেখানোর’ নামে পোশাক পরিধানে নিয়ম বেঁধে দিতেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জিনস প্যান্ট ও ফুলহাতা শার্ট পরে চলাফেরা করতে হতো। এমনকি হলের ভেতরের খাবারের দোকানগুলোয় খাওয়ার ‘অনুমতি’ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ছিল না। এখন তাঁরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন। প্রথম বর্ষের আবাসিক ছাত্র তারেক মুহাজির বলেন, ‘আগে হলের ওয়াশরুমে যেতে হলেও জিনস প্যান্ট আর ফুলহাতা শার্ট পরে যেতে হতো। অন্য পোশাকে দেখলেই ছাত্রলীগের ভাইয়েরা শাস্তি দিতেন। এখন আর সেই সমস্যা নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর এলাকায় আড্ডা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর এলাকায় আড্ডা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাছবি: প্রথম আলো

জনমবাকি, নাকি জনমফাঁকি?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ক্যানটিনে নির্দিষ্ট একটা টেবিল ছিল, যেখানে লেখা থাকত—ছাত্রলীগের জন্য বরাদ্দ। সেই টেবিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বসতে পারতেন না। অন্যদিকে মওলানা ভাসানী হলের ক্যানটিনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে খাবার খেতেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেই একই খাবার খেতেন না। হলের ক্যানটিনে তাঁদের জন্য আলাদাভাবে ভালো মানের খাবার রান্না করা হতো। এখন সেই অবস্থা আর নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে ক্যানটিন ও নাশতার দোকান আছে। এর বাইরে হল এলাকায় শতাধিক দোকানপাট আছে। সব কটি থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাসিক হারে চাঁদা তুলতেন। ‘ফাও’ খেতেন। ‘জনমবাকি’ শব্দটির প্রচলনও তাঁদের জন্যই; অর্থাৎ আজীবনের জন্য তাঁরা বাকিতে খাবেন—এটাই ছিল অলিখিত নিয়ম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বকেয়া বিল চাইলে আবাসিক হলের কক্ষে নিয়ে করা হতো নির্যাতন। তবে এখন আর সেই চিত্র নেই। দোকানদারদের এখন মাসিক চাঁদা দেওয়া লাগে না। ‘জনমবাকি’র চলও নেই।

ওবায়দুল কাদেরের আমলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, ফাঁস হলো কমিশনের খেলা

জাহাঙ্গীরনগরে কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে হল, গেস্টরুম, ক্যানটিনের চিত্র

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ওবায়দুল কাদের ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের একজন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নিজের মুখে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়টি পরিণত হয়েছিল একটি শক্তিশালী কমিশন সিন্ডিকেটে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদের ঘুষ নয়, কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতির পথ তৈরি করেছিলেন। সড়ক ও সেতু বিভাগের যেকোনো কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো। এ কমিশন প্রকল্প বাজেটের মধ্যেই যোগ করা হতো, যাতে তা আইনগতভাবে ধরা না পড়ে। এমনকি ছোট কাজেও কমিশন বাধ্যতামূলক ছিল।

সড়ক বিভাগে ১২ বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সওজ বা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে নির্মাণকাজে। এর ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যারা কাদেরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং নিয়মিত কমিশন দিয়ে আসছিল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ খাতে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ভারত ও ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকল্প প্রস্তাবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হতো, যার বড় অংশ যেত কমিশন হিসেবে।

সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেখা যায় কমিশন না দিলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতো। শুধু ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কমিশনের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে।

মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ছিল এমনভাবে সাজানো, যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে অর্থ লেনদেন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। ডিপিপি প্রস্তুতের সময়েই ঠিক করে রাখা হতো কে কাজ পাবে, কোন খাতে কত টাকা যাবে এবং কত কমিশন বরাদ্দ থাকবে। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনেও ঘুষ দিতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়দের নামে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেবল অর্থ নয়, প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং অনুমোদনের প্রতিটি ধাপে দুর্নীতির বিস্তৃতি ছিল ভয়াবহ। কখনো হাওরের জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক বানানো হয়েছে, যার ব্যবহার নেই বললেই চলে। কোথাও আবার পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।

সবমিলিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন নির্ভর এক দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে যোগ্যতা নয়, কমিশনই ছিল কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত।

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

জাহাঙ্গীরনগরে কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে হল, গেস্টরুম, ক্যানটিনের চিত্র

২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে। পরীক্ষাকে সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত, যান চলাচল ও নিরাপত্তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।

 

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ঢাকার ৮৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন এবং কোনো রকম যানজট বা বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন না হন, সেজন্য জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

 

যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও চলাচলের নির্দেশনা:

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে সতর্কতা:

যেসব পরীক্ষার্থী বা অভিভাবক ব্যক্তিগত গাড়িতে কেন্দ্রে আসবেন, তাদেরকে কেন্দ্রের সামনের সড়কে না নেমে, আশেপাশের কম ব্যস্ত সড়কে নেমে হেঁটে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই নিয়ম পরীক্ষার পর ফেরার সময়েও মানতে হবে।

 

কেন্দ্রের আশেপাশে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ:

পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন পার্কিং সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

 

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ:

অভিভাবকদেরকে কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

সাধারণ যাত্রীদের জন্য নির্দেশনা:

পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকে শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র এলাকার সড়কগুলো পরীক্ষা ব্যতীত অন্যান্য যাত্রীদের পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপির আহ্বান:

ডিএমপি বলছে, “পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

দুদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, অভিযোগে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাহাঙ্গীরনগরে কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে হল, গেস্টরুম, ক্যানটিনের চিত্র

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের দাবি—সেই পোস্টে দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মানহানিকর অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যনির্ভর।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং স্পষ্টভাবে বলতে চায়—ফেসবুকে করা ওই পোস্টের তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

দুদকের ব্যাখ্যা:
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র দুদক চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় দুদক ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

“হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই না করেই ফেসবুকে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন”—বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার আহ্বান:দুদক জানায়, অতীতেও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবুও অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দুদক আরও বলেছে—কোনো ব্যক্তি যদি ফোন, মেসেজ বা ব্যক্তিগতভাবে দুদক কর্মকর্তার পরিচয়ে টাকা দাবি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে টোল-ফ্রি হটলাইন ১০৬-এ যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

×