| ২৫ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

অনাবিষ্কৃত সত্য নিয়ে কাজ করে বলে বোধ হয় পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। কয়েক দিন আগেও আমার একজন মেন্টর বললেন, ‘বুঝলি, ইউনিভার্সিটিটা ঠকিয়েছে।’ একাধিক গবেষণায় উঠেও এসেছে যে গ্র্যাজুয়েটরা মনে করছেন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাঁদের জীবনে খুব অবদান রাখতে পেরেছে।

বাংলাদেশ তার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কী ভাবছে? কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন ১৯৭৪ থেকে শুরু করে শিক্ষানীতি ২০১০ পর্যন্ত নীতিগতভাবে জ্ঞান অনুসন্ধানের সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি উৎপাদন আমাদের উচ্চশিক্ষার মূল অভিমুখ। তবে নীতির সঙ্গে বাস্তবতার মিল অল্পই। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা হয় নামমাত্র।

ছাত্ররা ব্যস্ত কর্মসংস্থানের চিন্তায়। বিশ্বজুড়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনাই মানুষের রুটিরুজির জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু এ দেশে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়লে আয়রোজগারের কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। ফলে সবাই ছুটছে অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি করতে। পাশের দেশেই দেখা গেছে করণিক পদে কয়েক হাজার ডক্টরেট আবেদন করেছেন। আমাদেরও সে অবস্থায় যেতে বেশি দেরি নেই। কোনো মৌলিক উদ্দেশ্যের সাপেক্ষেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে না।

কিন্তু কেন? উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা যে জ্ঞান-দক্ষতা-অভিজ্ঞতা দেওয়ার কথা, তা দিতে পারছে না বলেই উচ্চশিক্ষার ওপর এত চাপ? নাকি কর্মসংস্থান এত উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন হয়ে গেছে, যা উচ্চশিক্ষাও সরবরাহ করতে পারছে না?

আমাদের স্কুলব্যবস্থা বস্তুত ব্যর্থ। ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক পর্যায়ের পরেও বাংলা পড়ে বুঝতে বা যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে পারে না। উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর তুলতে হিমশিম খায়। তাহলে শিক্ষার স্তর অনুযায়ী যে যোগ্যতা অর্জিত হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না বলেই কি উচ্চশিক্ষার ওপর সব দায় বর্তাচ্ছে। এই ব্যর্থতার পেছনে কি সক্ষমতার অভাব, সদিচ্ছার অভাব, নাকি তা ইচ্ছাকৃত?

সক্ষমতা বা সদিচ্ছার অভাব থাকলে তা নিবারণের উপায় আছে। কিন্তু তা ইচ্ছাকৃত হলে তো রীতিমতো ভয়াবহ শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে। এটা খতিয়ে দেখা দরকার। ২০১০ থেকে ২০২০-এর মাঝে এক দশকে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটে। ২০২১ থেকেই বোঝা যেতে থাকে যে শিক্ষিত বেকার বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে। সরকারি কোনো নীতিমালায় গ্র্যাজুয়েটদের গন্তব্য নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়নি! তাহলে এত বিশ্ববিদ্যালয় কেন?

সোজা কথায়, সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে কালক্ষেপণ। কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। নব্য উদারবাদী নীতি গ্রহণকারী সরকারের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ নয়। তারা তাৎক্ষণিক আর্থিক লাভের দিকে বেশি মনোযোগী। উচ্চমাধ্যমিক পাস করা অনেক তরুণকে তাই উচ্চশিক্ষার লোভ দেখানো হয়। এতে সরকারের কয়েকটি লাভ।

এক. বহির্বিশ্বকে দেখানো যায় যে আমাদের বেকারত্ব নেই এবং দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী শিক্ষা, কর্ম বা প্রশিক্ষণের মাঝেই ব্যস্ত আছে। এতে কিছু সময়ও বিলম্ব করা যায়।

দুই. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদম অলাভজনক নয়। তিন. বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশি শিক্ষার্থী, তত বেশি দলীয় কর্মী!

কিন্তু এগুলো সবই শুভংকরের ফাঁকি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাকরি বা কর্মসংস্থানের বাজারের সঙ্গে সম্পর্কহীন। চাকরিপ্রাপ্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ও দক্ষতা উন্নয়নেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যর্থ। তাঁরা মনে করেন শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রাপ্তি তাদের মাথা ঘামানোর বিষয় নয়।

আরও ভয়ংকর তথ্য রয়েছে আমাদের দেশের যুবনীতিতে। একটি দেশের নীতিমালা অগ্রাধিকার দিচ্ছে তরুণদের বিদেশে প্রেরণ এবং তৈরি পোশাক খাতে কাজে লাগানোকে! শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা বা কর্মসংস্থানের বাস্তবিক উন্নয়ন তাদের উদ্বেগের জায়গা নয়! এতটা অবহেলা!

সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে! আমাদের প্রাপ্য জ্ঞান বা দক্ষতা কিছুই আমরা পাইনি। পেয়েছি অবহেলা, পেয়েছি দাসত্বের মানসিকতা, পেয়েছি বুলেট। তবে আজকের কিশোর-তরুণেরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল নয়। শেখার, উপার্জনের জন্য তাদের আছে নিজস্ব পথ।

এখন প্রশ্ন হলো, যা শেখা প্রয়োজন, তরুণেরা নিজেরাই যেহেতু তা শিখে ফেলছেন, তাহলে আমরা কি সব স্কুল-কলেজ তুলে দেব? সেটি মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের মানুষের এবং তরুণদের কী আকাঙ্ক্ষা, সেটি গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। গভীরভাবে দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা নিয়ে কোন দিকে যেতে চাইছে। সেদিকে যেতে আমাদের কী পরিবর্তন দরকার, তাতে কত বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, কীভাবে সেই মহাযজ্ঞ সমন্বয় করা সম্ভব।

আগে আমাদের ঠিক করতে হবে জাতীয় দর্শন। আর তা থেকেই বেরিয়ে আসবে আমাদের শিক্ষাদর্শন। এরপর দরকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন। এই কমিশন দায়িত্ব নিয়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং বাস্তবায়নযোগ্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করবে। এই শিক্ষানীতির সঙ্গে সমন্বয় থাকবে যুব, ক্রীড়া, কর্মসংস্থানসহ সব সংশ্লিষ্ট নীতির।

অনীহা হোক বা ইচ্ছাকৃত, বিগত সব সরকারই শিক্ষা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায় থেকে আলোচনা শুরু করেছে এবং তা উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বেকারত্ব আমাদের চিরসঙ্গী হয়ে গেছে। আমি প্রস্তাব করতে চাই, শিক্ষা এবং তার সংশ্লিষ্ট সব নীতি একবার টপ-ডাউন অর্থাৎ ওপর থেকে নিচেও পর্যালোচনা করা হোক।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশের মানুষের অনেক আশা। তরুণদের উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন। আমরা আশা করছি যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য নিবেদিত একটি কমিশন খুব দ্রুতই গঠিত হবে। এই কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সত্যিকারের গবেষণালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং দেশের শিক্ষার সঠিক রূপায়ণের জন্য কাজ করবে।

  • আসিফ বায়েজিদ শিক্ষানীতি ও শিক্ষাক্রম গবেষক, যুক্তরাজ্য

ওবায়দুল কাদেরের আমলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, ফাঁস হলো কমিশনের খেলা

শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ওবায়দুল কাদের ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের একজন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নিজের মুখে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়টি পরিণত হয়েছিল একটি শক্তিশালী কমিশন সিন্ডিকেটে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদের ঘুষ নয়, কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতির পথ তৈরি করেছিলেন। সড়ক ও সেতু বিভাগের যেকোনো কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো। এ কমিশন প্রকল্প বাজেটের মধ্যেই যোগ করা হতো, যাতে তা আইনগতভাবে ধরা না পড়ে। এমনকি ছোট কাজেও কমিশন বাধ্যতামূলক ছিল।

সড়ক বিভাগে ১২ বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সওজ বা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে নির্মাণকাজে। এর ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যারা কাদেরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং নিয়মিত কমিশন দিয়ে আসছিল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ খাতে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ভারত ও ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকল্প প্রস্তাবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হতো, যার বড় অংশ যেত কমিশন হিসেবে।

সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেখা যায় কমিশন না দিলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতো। শুধু ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কমিশনের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে।

মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ছিল এমনভাবে সাজানো, যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে অর্থ লেনদেন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। ডিপিপি প্রস্তুতের সময়েই ঠিক করে রাখা হতো কে কাজ পাবে, কোন খাতে কত টাকা যাবে এবং কত কমিশন বরাদ্দ থাকবে। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনেও ঘুষ দিতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়দের নামে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেবল অর্থ নয়, প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং অনুমোদনের প্রতিটি ধাপে দুর্নীতির বিস্তৃতি ছিল ভয়াবহ। কখনো হাওরের জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক বানানো হয়েছে, যার ব্যবহার নেই বললেই চলে। কোথাও আবার পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।

সবমিলিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন নির্ভর এক দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে যোগ্যতা নয়, কমিশনই ছিল কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত।

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে। পরীক্ষাকে সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত, যান চলাচল ও নিরাপত্তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।

 

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ঢাকার ৮৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন এবং কোনো রকম যানজট বা বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন না হন, সেজন্য জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

 

যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও চলাচলের নির্দেশনা:

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে সতর্কতা:

যেসব পরীক্ষার্থী বা অভিভাবক ব্যক্তিগত গাড়িতে কেন্দ্রে আসবেন, তাদেরকে কেন্দ্রের সামনের সড়কে না নেমে, আশেপাশের কম ব্যস্ত সড়কে নেমে হেঁটে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই নিয়ম পরীক্ষার পর ফেরার সময়েও মানতে হবে।

 

কেন্দ্রের আশেপাশে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ:

পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন পার্কিং সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

 

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ:

অভিভাবকদেরকে কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

সাধারণ যাত্রীদের জন্য নির্দেশনা:

পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকে শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র এলাকার সড়কগুলো পরীক্ষা ব্যতীত অন্যান্য যাত্রীদের পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপির আহ্বান:

ডিএমপি বলছে, “পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

দুদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, অভিযোগে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ

শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের দাবি—সেই পোস্টে দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মানহানিকর অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যনির্ভর।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং স্পষ্টভাবে বলতে চায়—ফেসবুকে করা ওই পোস্টের তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

দুদকের ব্যাখ্যা:
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র দুদক চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় দুদক ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

“হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই না করেই ফেসবুকে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন”—বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার আহ্বান:দুদক জানায়, অতীতেও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবুও অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দুদক আরও বলেছে—কোনো ব্যক্তি যদি ফোন, মেসেজ বা ব্যক্তিগতভাবে দুদক কর্মকর্তার পরিচয়ে টাকা দাবি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে টোল-ফ্রি হটলাইন ১০৬-এ যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

×