| ২৫ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের যেসব ভিডিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে

গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের যেসব ভিডিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে

হাতে সদাইপাতি নিয়ে বাজার থেকে ফিরছিলেন এক প্রৌঢ়। পথিমধ্যে একদল তরুণের সুরে নিজেকে জুড়ে নিলেন। লালনের ‘জাত গেল জাত গেল বলে’ গানে প্রাণ মেলানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মাগুরার মেয়ে নাফিসা নাওয়ার নিঝুম। তিনি লিখেছেন, ‘পথে নামলে বোঝা যাচ্ছে, আমরা লালনের মাটিতেই থাকি।…একজন অপরিচিত মানুষ যোগ দিলেন।’

মাগুরার তরুণদের সঙ্গে বাজারফেরত সেই প্রৌঢ়ের গান পরিবেশনার ভিডিওটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২১ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩৪ লাখেরও বেশিবার ভিডিওটি দেখা হয়েছে। সাবলীল পরিবেশনার গানের ভিডিওটি অনেকের হৃদয় ছুঁয়েছে। ভিডিওটি দেখে সায়ন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘অজান্তেই চোখের কোনায় পানি চলে এলো।’

ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের ১১ জেলার বন্যার্তদের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করছেন তরুণেরা। ত্রাণ সংগ্রহে ঢাকায় কনসার্টও হয়েছে; ঢাকার বাইরে মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের খবর মিলছে।

গত শুক্রবার থেকে মাগুরার মোড়ে মোড়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন জনা পঁচিশেক স্থানীয় তরুণ। তাঁদের বেশির ভাগ গান করেন, কেউ কেউ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

গান গেয়ে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগের পেছনের গল্প শোনালেন মাগুরার তরুণ শায়েখ উদ্দিন সোহান। আজ রাতে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এই ক্রান্তিকালে কীভাবে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা নিয়ে কয়েকজন মিলে আলাপ করছিলাম। আমরা গান করি। গানটাই তো আমাদের সম্বল। সেই গান নিয়ে কিছু করতে পারি কি না, সে ভাবনায় থেকেই এ উদ্যোগ নিয়েছি।’

গানকে সম্বল করে ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে রাস্তায় নেমেছেন তরুণেরা; কারও হাতে গিটার, কারও কণ্ঠে গান। ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে তহবিল সংগ্রহ করছেন। ত্রাণ দিতে ছোট্ট এই শহরের দোকানি, রিকশাচালক, অটোচালকসহ সাধারণ মানুষ সামর্থমতো এগিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা জমা পড়েছে তহবিলে।

মাগুরার তরুণদের সঙ্গে বাজারফেরত সেই প্রৌঢ়ের গান পরিবেশনার ভিডিওটি প্রশংসা কুড়িয়েছে
মাগুরার তরুণদের সঙ্গে বাজারফেরত সেই প্রৌঢ়ের গান পরিবেশনার ভিডিওটি প্রশংসা কুড়িয়েছেভিডিও থেকে

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ধারণ করেছেন জয় কুণ্ডু। শায়েখ উদ্দিন সোহান বলছেন, ভিডিওর সেই ব্যক্তি হয়তো মাগুরারই বাসিন্দা হবেন। তবে তাঁর নাম কিংবা ঠিকানা জানেন না; জানার চেষ্টা করছেন।শুক্র ও শনিবার দুই দিন শহরের চৌরঙ্গী মোড়, পুলিশ লাইনস বাজার, ঢাকা রোডসহ শহরের মোড়ে মোড়ে ঘুরেছেন তাঁরা।

উদ্যোগী এই তরুণদের মধ্যে শায়েখ উদ্দিন সোহান, নাফিসা নাওয়ার নিঝুম, পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, মাহাথির মোহাম্মদ, অদ্বিতীয়া আইচ তুলি, অমর্ত্য চক্রবর্তী, অরণ্য সাহা, উৎসব সাহা, প্রিন্স, পিয়াল, জারিন তাসনিম পুষ্প, তন্বী তনুলতা, প্রিয়ম সাহা, অভ্রদেব লস্কর, অন্তর বিশ্বাসসহ আরও অনেকে রয়েছেন।

ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করছেন মাগুরার তরুণেরা
ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করছেন মাগুরার তরুণেরাসোহানের ভিডিও থেকে
মাগুরার মোড়ে মোড়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন জনা পঁচিশেক স্থানীয় তরুণ
মাগুরার মোড়ে মোড়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন জনা পঁচিশেক স্থানীয় তরুণছবি: সোহানের সৌজন্যে

আরেক সংগীতপ্রেমীর দেখা

এর আগে শুক্রবার আরেক সংগীতপ্রেমীর দেখা পেয়েছিলেন মাগুরার স্বেচ্ছাসেবী তরুণেরা। সে ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে খালি গায়ে এক ব্যক্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ গাইছেন। পাশে গিটারে সঙ্গ দিচ্ছেন তরুণেরা।

ভিডিওটি নিয়ে শায়েখ উদ্দিন সোহান বলছিলেন, পারনান্দুয়ালী নতুন ব্রিজের দিকে যাওয়ার পথে বৃষ্টির ছাঁটে আটকা পড়েছিলেন তাঁরা। ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে; এর মধ্যে তিনি এগিয়ে এসে গানটা ধরেন। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তবে দারুণ গাইতে পারেন।

ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর মাগুরার অনেকেই লিখেছেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানে সেই অনুরাগীকে তাঁরা চেনেন; তাঁর নাম জগন্নাথ। তিনি মাগুরা শহরেই থাকেন।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ গাইছেন জগন্নাথ নামে একজন
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ গাইছেন জগন্নাথ নামে একজনভিডিও থেকে

ভিডিওটি দেখে শ্রাবণী মৈত্রী নামের একজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা মাঝে মাঝে শিল্পকলায় যাইতেন। একবার আমার গানের শেষে গানের খুব সূক্ষ্ম একটা ভুল সবার চোখ এড়িয়ে গেলেও তার কানে লেগেছিল। পরে সেটা বলেছিলেন, তবে বাইরে বেরিয়ে সবার আড়ালে। তখনই লোকটার সম্বন্ধে ধারণা হয়। সৃষ্টিকর্তা কোন মানুষকে কীভাবে সৃষ্টি করেন, একমাত্র তিনিই বলতে পারেন।’

ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে নেমে সাধারণ মানুষের এমন একাত্মতা অনুপ্রাণিত করছে তরুণদের। আজ রোববারও ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করবেন মাগুরার তরুণেরা।

ওবায়দুল কাদেরের আমলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, ফাঁস হলো কমিশনের খেলা

গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের যেসব ভিডিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ওবায়দুল কাদের ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের একজন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নিজের মুখে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়টি পরিণত হয়েছিল একটি শক্তিশালী কমিশন সিন্ডিকেটে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদের ঘুষ নয়, কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতির পথ তৈরি করেছিলেন। সড়ক ও সেতু বিভাগের যেকোনো কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো। এ কমিশন প্রকল্প বাজেটের মধ্যেই যোগ করা হতো, যাতে তা আইনগতভাবে ধরা না পড়ে। এমনকি ছোট কাজেও কমিশন বাধ্যতামূলক ছিল।

সড়ক বিভাগে ১২ বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সওজ বা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে নির্মাণকাজে। এর ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যারা কাদেরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং নিয়মিত কমিশন দিয়ে আসছিল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ খাতে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ভারত ও ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকল্প প্রস্তাবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হতো, যার বড় অংশ যেত কমিশন হিসেবে।

সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেখা যায় কমিশন না দিলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতো। শুধু ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কমিশনের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে।

মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ছিল এমনভাবে সাজানো, যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে অর্থ লেনদেন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। ডিপিপি প্রস্তুতের সময়েই ঠিক করে রাখা হতো কে কাজ পাবে, কোন খাতে কত টাকা যাবে এবং কত কমিশন বরাদ্দ থাকবে। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনেও ঘুষ দিতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়দের নামে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেবল অর্থ নয়, প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং অনুমোদনের প্রতিটি ধাপে দুর্নীতির বিস্তৃতি ছিল ভয়াবহ। কখনো হাওরের জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক বানানো হয়েছে, যার ব্যবহার নেই বললেই চলে। কোথাও আবার পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।

সবমিলিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন নির্ভর এক দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে যোগ্যতা নয়, কমিশনই ছিল কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত।

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের যেসব ভিডিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে

২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে। পরীক্ষাকে সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত, যান চলাচল ও নিরাপত্তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।

 

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ঢাকার ৮৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন এবং কোনো রকম যানজট বা বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন না হন, সেজন্য জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

 

যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও চলাচলের নির্দেশনা:

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে সতর্কতা:

যেসব পরীক্ষার্থী বা অভিভাবক ব্যক্তিগত গাড়িতে কেন্দ্রে আসবেন, তাদেরকে কেন্দ্রের সামনের সড়কে না নেমে, আশেপাশের কম ব্যস্ত সড়কে নেমে হেঁটে কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই নিয়ম পরীক্ষার পর ফেরার সময়েও মানতে হবে।

 

কেন্দ্রের আশেপাশে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ:

পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন পার্কিং সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

 

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ:

অভিভাবকদেরকে কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

সাধারণ যাত্রীদের জন্য নির্দেশনা:

পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকে শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্র এলাকার সড়কগুলো পরীক্ষা ব্যতীত অন্যান্য যাত্রীদের পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপির আহ্বান:

ডিএমপি বলছে, “পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

দুদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, অভিযোগে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ

গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহের যেসব ভিডিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের দাবি—সেই পোস্টে দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মানহানিকর অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যনির্ভর।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং স্পষ্টভাবে বলতে চায়—ফেসবুকে করা ওই পোস্টের তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

দুদকের ব্যাখ্যা:
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র দুদক চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় দুদক ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

“হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই না করেই ফেসবুকে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন”—বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার আহ্বান:দুদক জানায়, অতীতেও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবুও অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দুদক আরও বলেছে—কোনো ব্যক্তি যদি ফোন, মেসেজ বা ব্যক্তিগতভাবে দুদক কর্মকর্তার পরিচয়ে টাকা দাবি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে টোল-ফ্রি হটলাইন ১০৬-এ যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

×