| ১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ওজন কমাতে একবেলা খাচ্ছেন?

ওজন কমাতে একবেলা খাচ্ছেন?

ওজন কমাতে কত রকম পদ্ধতিই তো জনপ্রিয় হচ্ছে আজকাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর ইউটিউবের মতো ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে ওজন কমানোর বহু পদ্ধতি সম্পর্কেই ধারণা পাওয়া যায়। তবে ভালোমন্দ দিক বা কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য, না জেনে যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ শুরু করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। একজন কোনো একটা পদ্ধতি অনুসরণ করে উপকার পেয়েছেন বলেই যে সেটি আপনার জন্যও উপকারী হবে, তেমনটা ধরে নেওয়া যাবে না।

আমরা সাধারণভাবে তিন বেলা খেয়ে অভ্যস্ত। বিকেলের চা-নাশতার পর্বটিকে হিসাবে ধরলে সেটি হয়ে দাঁড়ায় চার বেলা। সকালের নাশতা আর দুপুরের খাবারের মাঝের সময়টাতেও অনেকে টুকিটাকি নাশতা খেয়ে থাকেন। সারাদিনের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় ক্যালরিটুকু ধাপে ধাপে গ্রহণ করাই বিজ্ঞানসম্মত। একবেলায় যতটা পারা যায়, তা খেয়ে নেওয়ার পর সারা দিন, সারা রাত না খেয়ে থাকলে ওজন কমবে ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তা ভালো ফল বয়ে আনবে না। এমনটাই বলছিলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালট্যান্ট তাসনোভা মাহিন।

একবেলা খেয়ে যে উপকার পাবেন

একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ সম্ভব হয় না বলে সারাদিনে ক্যালরি গ্রহণ হয় কম। তাই সারাদিনে মাত্র একবার খেলে ওজন কমতে পারে বেশ দ্রুত। তা ছাড়া আলাদা আলাদা বেলায় উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন নানা রকম খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তের সুগার এবং খারাপ চর্বির পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে। সারাদিনে একটা বেলা ইচ্ছামতো যেকোনো খাবার খাওয়া যাবে, আবার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে—এমন ভাবনা থেকে এই ধরনের পদ্ধতিতে ওজন কমাতে আগ্রহী হতে পারেন আপনি।

সমস্যা হতে পারে নানা রকম

আপনি একাহারী হতে চাইলে নানা দিক থেকেই বেশ মুশকিলে পড়তে পারেন। সারা দিনে আপনার ক্ষুধা তো লাগবেই। রক্তে সুগারের মাত্রা কমে আসতে থাকলে আপনি নিস্তেজ বোধ করবেন। সারা দিন ‘এনার্জি’ নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। কাজেকর্মে ধীর হয়ে পড়বেন। মনোযোগ ধরে রাখতে, নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে ‘ফোকাস’ করতে সমস্যায় পড়বেন। এ সময় একটা ভীষণ বিরক্তিকর অনুভূতি কাজ করতে পারে আপনার মধ্যে। মনের অজান্তেই আপনি অন্যের সঙ্গে খিটখিটে আচরণ করে ফেলতে পারেন। লম্বা সময় খাবার না খেলে পাকস্থলীতে জমা হবে অ্যাসিড। ফলে পেটে যন্ত্রণা হবে। দীর্ঘদিন এ অভ্যাস ধরে রাখলে পাকস্থলীতে আলসারও হতে পারে। আবার যে বেলা খাবার খাচ্ছেন, সেই বেলা অনেক বেশি পরিমাণ খাবার খেতে গিয়েও অসুস্থ বোধ করতে পারেন আপনি।

কষ্ট করে এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিয়ে একটানা লম্বা সময় এর চর্চা করতে গেলেও কিন্তু মুশকিল। কারণ, দীর্ঘদিন এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসের চর্চা করলে দেহের বিপাকক্রিয়ার হার কমে যায়, দেহে চর্বি জমার প্রবণতা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরতে গেলে তখন আবার বেশ দ্রুত ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

তা ছাড়া একবেলা হঠাৎ করে উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার খাওয়ার কারণে রক্তের সুগারের মাত্রাও হুট করে বেড়ে যেতে পারে (সুগার স্পাইক)। এর ফলে রক্তনালির ভেতরের দিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

ধীরে চলুন

ওজন যেমন কেবল এক মাসেই বাড়েনি, তেমনি স্বাভাবিকভাবেই তা এক মাসে কমবেও না। এই স্বাভাবিকতাকে মেনে নিন। ওজন কমাতে চাইলে রোজ আপনার কতটা ক্যালরি গ্রহণ এবং কতটা পোড়ানো প্রয়োজন, একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে তা জেনে নিন। এমনভাবে ধীরে ধীরে ওজন কমান, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যকর ওজনটা ধরে রাখতে পারেন আপনি।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

ওজন কমাতে একবেলা খাচ্ছেন?

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

ওজন কমাতে একবেলা খাচ্ছেন?

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

ওজন কমাতে একবেলা খাচ্ছেন?

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

×