"বাংলাদেশের স্বার্থ আগে" ভারত প্রসঙ্গে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের বিরতির পর গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলা শো-র সঙ্গে নেওয়া এক দ্বিপার্বতার সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আজ প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনের কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার, এবং দেশের বাইরের—বিশেষ করে ভারতের—সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তার বক্তব্য উঠে এসেছে।
তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থ সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবেই: “আমি আমার দেশের মানুষ ও তাদের স্বার্থের পাশে থাকবো।” তিনি বলেন, কোনো বাহ্যিক শক্তি যদি here (স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে) বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে জনগণের ক্ষতিগ্রস্ত অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ হবে।
বিবিসি বাংলার প্রশ্নে—ভারতের সঙ্গে বিগত সময়ে যে সম্পর্ক ছিল, তা বদলালে বা শীতল হলে আপনার নীতি কী হবে—তারেক বলেন, সার্বিক নীতির মাপকাঠি হবে বাংলাদেশের স্বার্থ। কোনো নির্দিষ্ট দেশের কারণে নীতি নির্ধারণ করা হবে না; তিনি বারবার জোর দিয়েছেন যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাই প্রথম বাধ্যবাধকতা।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই—আমাদের ন্যায্য অংশ চাই। একইভাবে সার্বভৌম সীমানায় নিরীহ মানুষের ওপর হত্যাকাণ্ডে আমরা সাড়া না দিলে চলে না।” সাক্ষাৎকারে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে হওয়া মানবিক ক্ষতির প্রশ্নও উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন।