|
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ও এফআইডিএইচ সভাপতির বৈঠক
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ও এফআইডিএইচ সভাপতির বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস এফআইডিএইচ সভাপতির সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
“দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
“আমি তাদের সবাইকে বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানিয়েছি, কারণ দেশটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে,” বলেন প্রফেসর ইউনূস।
তিনি যোগ করেন, “প্রতিটি সফর অবহেলিত বিষয়গুলো সামনে আনে এবং আমাদের সেগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।”
বৈঠকে তিনি প্রয়াত বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর স্মৃতিচারণ করেন এবং ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি তাদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় গাজার চলমান মানবিক সংকটও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
অ্যালিস মগওয়ে জানান, গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে এফআইডিএইচ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি গাজা ইস্যুতে প্রফেসর ইউনূসের অবিচল সংহতি ও মানবিক অবস্থানের প্রশংসা করেন।
মগওয়ে বলেন,“প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি এবং আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।”
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও ভিন্নমত দমনের ঘটনায় এফআইডিএইচ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে তিনি আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন।
“তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে,” বলেন মগওয়ে।
মানবাধিকার নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশ সবসময় আমার চিন্তায় থাকে। আমি প্রতিদিন সকালবেলার প্রার্থনায় দেশটিকে স্মরণ করি।”
বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা উপস্থিত ছিলেন।
