ব্রেকিং নিউজ

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ছবি: সংগৃহীত

Advertisement

গাজার অবরোধ ভাঙতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক মানবিক নৌবহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এ নৌবহরে ছিলেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার সমুদ্রবন্দর ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফ্লোটিলার নয়টি জাহাজ এবং সব যাত্রীকে আটক করে একটি ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরও একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। জাহাজ ও যাত্রীরা একটি ইসরায়েলি বন্দরে পৌঁছেছে। তারা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন, এবং দ্রুত বহিষ্কারের প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) আয়োজিত নয়-জাহাজের এই নৌবহরে প্রায় ১০০ জন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। এর মধ্যে ‘কনসিয়েন্স (Conscience)’ নামের একটি জাহাজ প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার তাদের ওপর আক্রমণ চালায় এবং সব জাহাজ অবৈধভাবে জব্দ করে। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজে উঠে অভিযান চালাচ্ছে।

নৌবহরে থাকা ত্রাণের মধ্যে ছিল প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুষ্টিসামগ্রী, যা গাজার হাসপাতালগুলোতে পাঠানোর কথা ছিল।

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস’ অভিযানের অংশ হিসেবে এই মিশনে যোগ দিয়েছিল নয়টি জাহাজ। FFC ইতিপূর্বে ডজনাধিক মানবিক মিশন পরিচালনা করেছে গাজাবাসীর সহায়তায় এবং অবরুদ্ধ উপত্যকার মানবিক সংকট তুলে ধরতে।

Advertisement

এর আগের সপ্তাহে গাজামুখী ৪০টিরও বেশি নৌকা আটক করে ইসরায়েল, যাতে প্রায় ৪৫০ জন কর্মী ছিলেন। পূর্বেও ইসরায়েল এ ধরনের ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে সামগ্রী জব্দ ও কর্মীদের আটক করেছিল।

প্রায় ২৪ লাখ মানুষের বাস গাজা উপত্যকায়। গত ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল অঞ্চলটিতে কঠোর অবরোধ বজায় রেখেছে। চলতি বছর মার্চে সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, ফলে অঞ্চলটি মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান হামলায় গাজায় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। অব্যাহত বোমাবর্ষণে এলাকা এখন কার্যত অবাসযোগ্য হয়ে পড়েছে।


Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×