ঘুরতে গিয়েছিলাম, ভাবছিলাম ভবিষ্যৎ”—সাগরপাড়ে বসে আত্মচিন্তার কথা বললেন নাসীরুদ্দীন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে উদ্দেশ্য ছিল একান্তে বসে দেশের ভবিষ্যৎ, রাজনীতি এবং গণতন্ত্র নিয়ে গভীর চিন্তা করা।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সফরের পর সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব ছড়ায় এবং দলীয়ভাবে তাকে শোকজ করা হয়। বৃহস্পতিবার শোকজের জবাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। ইতিহাস সব সময় শুধু সভায় নয়, কখনো সাগরপাড়েও জন্ম নেয়।”
ওই দিনটি ছিল এনসিপির ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও স্বৈরাচার পতনের বার্ষিকী। এ উপলক্ষে দলের কয়েকজন নেতা কক্সবাজারে অবস্থান করলে গুজব রটে, তারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস–এর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। যদিও পরে স্পষ্ট হয়, ওই সময়ে পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।
সফরের ব্যাখ্যায় নাসীরুদ্দীন জানান, এটি ছিল তার ব্যক্তিগত সফর। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। দল থেকে কোনো সাংগঠনিক বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব না থাকায় তিনি মানসিক বিশ্রাম ও আত্মপ্রস্তুতির জন্য ওই ভ্রমণে যান।
তিনি আরও বলেন, “আমার সফরের সঙ্গে দলের কোনো প্রোগ্রামের সম্পর্ক ছিল না। কেউ চাইলে একে ঘোরাফেরা বলতে পারে, তবে আমি একে বলি আত্মচিন্তা। আমি কক্সবাজারে বসেই ভাবছিলাম গণতন্ত্র, নাগরিক কমিটি, গণপরিষদ এবং একটি নতুন সংবিধান নিয়ে।”
ভ্রমণকে ঘিরে ছড়ানো গুজবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে পিটার হাস সেখানে ছিলেন না।
সবশেষে, দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকজের জবাবে তিনি লেখেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীল চিন্তা করেছি। ঘুরতে যাওয়াকে অপরাধ ভাবার কিছু নেই। অনেক সময় নির্জনতা থেকেই ইতিহাস জন্ম নেয়।