| ৭ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

জাতীয় পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কক্সবাজার সফরের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করা হয়েছে, যা একেবারে প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং গোপনীয়তার কঠোর অবমাননা। তারা বলছেন, এই ধরনের ফুটেজ ফাঁসের ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

 

মঙ্গলবার তারা ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ সী পার্লে হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তাদের অবস্থান নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছিল। কিন্তু গোপনীয়ভাবে তোলা সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এনসিপি নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

 

এনসিপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

 

এদিকে, এই ঘটনায় উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন এমন গোপন ফুটেজ ফাঁসের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের তথ্য ফাঁস রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে পারে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে।

মালয়েশিয়ায় পারমিটের অপব্যবহার: আটক ৩০৬ বাংলাদেশি

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

মালয়েশিয়ায় আবারও বড়সড় অভিযানে ধরা পড়ল পারমিট জালিয়াতি ও অপব্যবহারের চিত্র। বুধবার (৬ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুকিত মের্তাজামের সিম্পাং আমপাট এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩০৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, সমন্বিত এ অভিযানে মোট ৭৪৯ জনের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ৩০৭ জনকে বিভিন্ন অপরাধের কারণে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০৬ জন বাংলাদেশি এবং একজন নেপালি। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

তিনি জানান, অভিযানে পারমিট সেক্টরের অপব্যবহার, অনুমোদনহীন স্থানে কাজ করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পারমিট থাকা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকার মতো একাধিক অপরাধ ধরা পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক শ্রমিকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেক্টরের পারমিট থাকলেও তারা কারখানায় কাজ করছিলেন।

অভিযানে ইমিগ্রেশন বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (জেপিএন), সেবারাং পেরাই সিটি কাউন্সিল (এমবিএসপি) এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ (জেকেকেপি) অংশ নেয়। অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিকটবর্তী জাওয়ি ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

অভিযানের সময় আটক এক বাংলাদেশি জানান, তিনি ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় এসেছেন একজন এজেন্টের মাধ্যমে। এজন্য তাকে প্রায় ২০ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ) দিতে হয়েছে।

দাতুক জাকারিয়া সতর্ক করে বলেন, মালয়েশিয়ায় কেউ পারমিটের অপব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুন্দরবন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে লোকালয় থেকে হরিণ উদ্ধার

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

ছবি- শ্যামনগরে লোকালয় থেকে উদ্ধারকৃত হরিণ শাবক।

শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে লোকালয়ে এক ব্যক্তির পুকুর থেকে জীবিত একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেছেন সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের ফরেষ্টারবৃন্দ।

বুধবার (৬ আগষ্ট) সকালে শ্যামনগর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রামবাসির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির ফরেষ্টারবৃন্দ হরিণটি উদ্ধার ও অবমুক্ত করেন।

বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের আওতায় মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল জানান,গ্রামবাসির মাধ্যমে জানতে পারেন একটি জীবিত হরিণ শাবক পুকুরে ভাসতে দেখে তারা উদ্ধার করেছেন। তৎক্ষনাৎ কয়েকজন ফরেষ্টার সহ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে হরিণটি লোকালয় থেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান উদ্ধারকৃত হরিণটির বয়স অনুমান দুই বছর। এটি ছিল মেয়ে হরিণ।

তালবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মননজয় মন্ডল বলেন সকালে তারা হরিণটিকে একটি পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে বনবিভাগকে সংবাদ দেওয়া হলে বনবিভাগ কর্মকর্তাবৃন্দ হরিণটিকে নিয়ে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেন।

পটুয়াখালী ভার্সিটির, রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ এর মনোনয়ন।

নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস: এনসিপির প্রাইভেসি লঙ্ঘনের তীব্র অভিযোগ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে মনোনীত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১-এর ১৮(১)(এ) ধারা অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৩তম সভার সুপারিশক্রমে, ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতাবলে তাঁকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পদে ৪ আগস্ট ২০২৫ থেকে আগামী তিন বছরের জন্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।

ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পএের মাধ্যমে এ নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ বলেন, পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া আমার জন্য এক বিরাট সম্মানের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গঠনমূলক অবদান রাখতে পারব। শিক্ষা, গবেষণা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং এ দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ একজন মেধাবী, অভিজ্ঞ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক। তাঁর একাডেমিক দক্ষতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রিজেন্ট বোর্ডের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা আশা করি, তাঁর যোগদান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

পবিপ্রবি পরিবার নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে।

×