| ৫ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) যেন আজ ভিন্ন এক সকালে জেগে উঠেছিল—পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধে আলোকিত হয়ে। ২ আগস্ট সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল চত্বর যেন মুখর ছিল এক আনন্দময়, দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে। বিজয় ২৪ হল থেকে শুরু করে একে একে এম কেরামত আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ ও ২, তাপসী রাবেয়া বসরী ছাত্রী হল এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই পরিচ্ছন্নতার মহোৎসব। দীর্ঘ দু’ঘণ্টার এই কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থাকা এই মানুষটি নিজ হাতে ঝাড়ু নিয়ে নামেন হলগুলোর করিডোর, ডাইনিং স্পেস, বাথরুম ও আবাসিক কক্ষগুলোতে। তার হাতে যখন ঝাড়ুর স্পর্শে উঠতে থাকে ধুলোবালির স্তর, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চোখে ভাসে সম্মানের আলো।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সম্পর্কে পবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানের কেন্দ্র নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মানবিক, দায়িত্বশীল ও নৈতিকভাবে গড়ে ওঠার একটি মঞ্চ। পবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা যেন পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে ওঠে। একজন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নয়, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি চাই এই ক্যাম্পাস হোক আমাদের সম্মিলিত গর্ব।”

ছাত্রদের কণ্ঠে তখন ঝরছে আবেগ আর কৃতজ্ঞতা। শহীদ জিয়াউর রহমান হল এর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সোহেল রানা জনি এবং এম কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী রিমন, তানজিম ও আকাশ বলেন,“স্যারকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আজ আমাদের চোখের সামনে যখন উনি নিজের হাতে ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করলেন, তখন আমরা বুঝতে পারলাম—নেতৃত্ব কাকে বলে।”

তাপসী রাবেয়া বসরী হলের ছাত্রী তাসলিমা এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী সুকন্যা বলেন, “আমরা তো শুধু শুনেছিলাম, ভাইস-চ্যান্সেলর স্যার একজন আদর্শিক মানুষ। কিন্তু আজ দেখলাম, উনি শুধু নির্দেশই দেন না, নিজেও সেই কাজ করেন। এই দৃশ্য আমাদের মনকে ছুঁয়ে গেছে।”

কর্মসূচিতে ভিসি এর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্টবৃন্দ, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নিরাপত্তা টিমের সদস্যবৃন্দ ও কর্মচারীরা।

সবার মধ্যে কাজ করছিল এক অপরূপ ঐক্য, এক অপার সম্মিলন—যেখানে বয়স, পদ কিংবা পরিচয়ের ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিশে গিয়েছিলেন পরিচ্ছন্নতার এক মহা-আহ্বানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম সজিব আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “আমরা কেবল পাঠ্যপুস্তক দিয়ে শিক্ষার্থী গড়ি না, আদর্শ দিয়ে মানুষ গড়ি। আজকের এই কর্মসূচি সেই আদর্শিক শিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”

পবিপ্রবিতে শুধুমাত্র ধুলোময়লাকে নয়, বরং নিরাসক্ততা, অবহেলা আর উদাসীনতাকেও ঝেঁটিয়ে বিদায় জানানো হলো। ক্যাম্পাস জুড়ে এখন পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার সুবাস—যেখানে নেতৃত্ব, মানবিকতা আর দায়িত্ববোধ মিলেমিশে সৃষ্টি করেছে এক নতুন অধ্যায়।

পবিপ্রবির এই ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি আজ শুধু একটি দিনের কর্মসূচি নয়—এ যেন একটি আন্দোলন, এক আদর্শচর্চা। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন—তা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী নৈতিক বার্তা। সত্যিই, নেতৃত্বের এমন নজির শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে থাকবে বহুদিন, হয়তো সারাজীবন।

দুমকিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা দমন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “এডিস মশা দমন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

 

সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধঃ

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না। তিনি ডেঙ্গুর কারণ, প্রতিরোধের উপায় ও এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

বিশেষ অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরাঃ

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালার উদ্দেশ্যঃ

সভায় বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। এডিস মশা জন্ম নেয় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে। তাই বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। বক্তারা সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান।

নোয়াখালীতে ৪ ছিনতাইকারী আটক

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

‎নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

‎সোমবার ( ৪ আগস্ট ) নোয়াখালীর সেনবাগে ৪ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধৃত করে গণধোলাই দেওয়ার সময় সেনবাগ থানা পুলিশ আটক করে, নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । প্রকাশ, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক এর দিক নির্দেশনায় সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মিজানুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে এসআই(নিরস্ত্র) সনৎ বড়ুয়া, এসআই(নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, এএসআই(নিরস্ত্র) তরুণ কান্তি শর্মা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৩ আগস্ট তারিখে সেনবাগ থানাধীন ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপিস্থ ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে মেসার্স আলাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সামনে রাস্তার উপর সিএনজি যোগে যাত্রীবেশে ৪জন ছিনতাইকারী ভিকটিম বকুল নাহার প্রঃ মনোয়ারা বেগম এর নিকট হতে ১টি ৬আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান-৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা, ১টি OPPO স্মার্ট মোবাইল, মূল্য অনুমান-১৮,০০০/-(আঠার হাজার) টাকা, নগদ-২০০/-(দুইশত) টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়ে পালানোর সময় ভিকটিমের চিৎকারে  স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীদের পেছন পেছন ধাওয়া করে খলিল মিয়ার হাটে বেরিকেট দিয়ে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সংবাদ প্রদান করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনরোষ হইতে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার পূর্বক হেফাজতে নিয়ে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।


‎আটককৃতরা হলো- ১। মোঃ হক সাহেব প্রঃ খালেক(৪০), পিতা-মৃত আব্দুর সহিদ, মাতা-জাহানারা খাতুন, সাং-ধর্মপুর(রশিদ ড্রাইভারের বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), ২। মোঃ নুর নবী(৪৫), পিতা-তছির আহম্মেদ, মাতা-সোহাগের নেছা, সাং-পূর্ব চরখেলা কোপা(আালাউদ্দিন কোম্পানীর বাড়ী), থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুর, ৩। ফজলে রাব্বি প্রঃ রনি(২৮), পিতা-মৃত মানিক মিয়া, মাতা-হোসনে আরা বেগম, সাং-ধর্মপুর(হাজীরহাট, মজু মাস্টার বাড়ী), থানা-নোয়াখালী সদর(সুধারাম), সর্ব জেলা-নোয়াখালী, ৪। মোঃ জুয়েল হোসেন(৩৩), পিতা-মোঃ বাদশা মিয়া, মাতা-রিজিয়া বেগম, সাং-সিংহখালী (তহসিলদার বাড়ী), থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, বর্তমান সাং-পূর্ব কুলগাঁও(জাবেদের ভাড়া বাসা), অক্সিজেন, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।


‎সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান জানান, ছিনতাই এর ঘটনায় ভিকটিমের দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে সেনবাগ থানার মামলা রুজু পূর্বক আসামীদেরকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পান্থ হত্যা মামলা মেনন ইনু ও পলককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সকালেই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের কড়া প্রহরায় আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের।

আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় মেনন, ইনু এবং পলক—এই তিনজনই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ইনু জানান, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, ফলে কিছু সময় থেমে যান তারা। পরে আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় উঠে কাঠগড়ায় দাঁড়ান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করেন।

এরপর পুলিশের প্রহরায় তাদের পঞ্চম তলার লিফট হয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।

 মামলার পটভূমি: ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার কদমতলী এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাহাদীর মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে রাশেদ খান মেনন (৭ নম্বর), ইনু (৮ নম্বর), ও পলক (৯ নম্বর) হিসেবে এজাহারভুক্ত আসামি।

×