| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সরকারি বাসা বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে নির্দেশ

সরকারি বাসা বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে নির্দেশ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া খালি বাসা ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত চিঠি সম্প্রতি দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসাগুলো নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। বরাদ্দপত্র অনুযায়ী, কোনো বাসা খালি হলে তা ১০ দিনের মধ্যে দখলে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে, বেশ কয়েকজন বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও বাসা দখলে নিচ্ছেন না। এর ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সেই বাসা অন্য কারও বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

“বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে বাসার দখল নিতে হবে। কেউ বাসা নিতে ইচ্ছুক না হলে তা দ্রুত লিখিতভাবে আবাসন পরিদপ্তরকে জানাতে হবে।”

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারি বাসাগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

শাহবাগের ঘটনার প্রতি ব্যথিত এ্যানি ঐক্যের আহ্বান জানালেন বিএনপির নেতা

সরকারি বাসা বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে নির্দেশ

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি : ছবি-সংগৃহীত

শাহবাগে জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে-বিপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা হিসেবে দেশের সবাই সম্মানিত। কিন্তু কারও নামে এই সম্মানকে কলুষিত করা দুঃখজনক। এতে জনগণ আহত হয়, আর ফ্যাসিস্ট শক্তি সেই সুযোগ নেয়।’

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ্যানি আরও বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ঐক্য না হলে আমরা সবাই আবার নির্যাতনের শিকার হব। আমি-আপনি নির্যাতিত হওয়া আর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালানো এক কথা নয়। আমাদের কারণে যেন জনগণ কষ্ট না পায়।”

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চলুন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসি এবং একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করি।”

লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সরকারি কৌঁসুলি আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মোশাররফ করিমের অভিনয় ছাড়ার ভাবনা বিকল্প পেশা হিসেবে ভাবছেন সাংবাদিকতাকে

সরকারি বাসা বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে নির্দেশ

মোশাররফ করিম : ছবি-সংগৃহীত

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মোশাররফ করিম। মঞ্চ, নাটক, ওটিটি এবং চলচ্চিত্র—সব মাধ্যমেই সফলভাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে মাঝে মাঝে তার মনে হয়, অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, “অনেক সময় মনে হয় অভিনয় ছেড়ে দেব। কিন্তু কিছুদিন ঘরে বসে থাকলেই মন টেকে না। ১০-১২ দিনের বেশি অভিনয় ছাড়া থাকতে পারি না। তখন মনে হয় ভুল ভাবছিলাম।”

তিনি জানান, অভিনয়ের বাইরে অন্য কোনো চাকরি করার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তবে তার ভেতরে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি একটা টান সবসময়ই ছিল। এ নিয়ে তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা করতে ইচ্ছা করে। অনেক আগে থেকেই ভাবি, তারিক ভাইয়ের (তারিক আনাম খান) কিংবা হায়াত ভাইয়ের (আবুল হায়াত) ইন্টারভিউ নিই। সেই আগ্রহটা এখনও আছে।”

মোশাররফ সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র বিকল্প পেশা হিসেবে নয়, বরং এক ধরনের সৃজনশীলতা হিসেবেই দেখেন। “সাংবাদিকতার মাধ্যমে নতুন মানুষকে আবিষ্কার করা যায়, অন্যের ভাবনা জানা যায়। এটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেকে এবং অন্যদের সমৃদ্ধ করার পথ,”—বলেন এই অভিনেতা।

এদিকে, মোশাররফ করিম অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবর্ত-দ্য সার্কেল’ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘৮ম বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ডালাস ২০২৫’-এ প্রদর্শিত হবে। মাহমুদুল হাসান টিপুর পরিচালনায় এই ছবিতে মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তার স্ত্রী রেবেনা রেজা জুঁই।

রায়েরবাজারে ১১৪ অজ্ঞাত জুলাই শহীদের গণকবর ডিএনএ টেস্টে শনাক্তের উদ্যোগ

সরকারি বাসা বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে দখল নিতে নির্দেশ

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী : ছবি-সংগৃহীত

রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাতনামা ১১৪ জন শহীদের গণকবর রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে গণকবর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি পরিবারগুলো চায়, তাহলে মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন অনেকে এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”

তিনি আরো জানান, “১১৪ শহীদের মরদেহ গণকবরে সমাহিত রয়েছে, যাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শনাক্তের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবার চাইলে মরদেহ অন্যত্র সরিয়েও নিতে পারবে।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কবরস্থানের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “কতটা দুঃখজনক যে দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের কবরস্থানে দুর্নীতি হচ্ছে! ইট ও সুড়কির মান খুবই খারাপ। সাংবাদিকদের উচিত এসব দুর্নীতির খবর তুলে ধরা।”

এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নির্মাণে দুর্নীতিতে যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় আনা হবে।”

এছাড়া মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেশবিরোধী কোনো চক্রান্ত হলে, কিংবা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোনো অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

×