| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

জুলাই মাসজুড়ে সারাদেশে অনুষ্ঠিত “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচি শেষ করে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আগামী ৩ আগস্ট, রোববার, রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবেন।

শনিবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এনসিপি জানায়, বিগত এক মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন জনপদ ঘুরে সাধারণ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশা সংগ্রহ করেছে দলটি। সেই নাগরিক ভাবনা, চাওয়া-পাওয়া ও সমস্যার ভিত্তিতেই গঠন করা হয়েছে “নতুন বাংলাদেশের” ইশতেহার।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই পদযাত্রায় শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে এনসিপি। নেতাকর্মীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—এই কথাগুলোই তুলে ধরা হবে জাতীয়ভাবে। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই আগামীকাল ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একই স্থানে ২০২৪ সালের এক দফা ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। সেই শহীদ মিনারে এবার নতুন প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হবে এনসিপি।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি ঘোষণা করবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে পরবর্তী করণীয় ও আন্দোলনের রূপরেখা। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আ’গু’ন কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিট

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের পাঁচ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মার্কেটের পাঁচ তলায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিতে বিপরীত পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

মার্কিন শুল্ক নীতিতে ভারতের ওপর ট্যারিফ বাড়লেও পাকিস্তান পেয়েছে ছাড় ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি—ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী বাণিজ্যিক পরিস্থিতি।

বিশ্ব বাণিজ্য যখন মার্কিন শুল্ক ঝড়ে টালমাটাল, তখন দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান পড়েছে ভিন্নধর্মী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারবার ‘বন্ধু’ বললেও, ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। বিপরীতে পাকিস্তানের শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে ১৯ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে নতুন চুক্তিতে।

এর ফলে ভারতের ব্যবসায়ী মহলে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিলেও পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়েছে স্বস্তির বার্তা।

বিশেষ করে ভারতের পোশাক ও অলঙ্কার খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এক ভারতীয় ব্যবসায়ী জানান, “আমরা আশা করেছিলাম শুল্ক সর্বোচ্চ ২০ শতাংশে সীমিত থাকবে। এতে বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে সুবিধা হতো।”

অন্যদিকে অলঙ্কার খাতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে। “শ্রমিকরা মাসে ১৫-২০ দিন কাজ না করেই বসে থাকেন,” জানান এক অলঙ্কার শিল্পী।

পাকিস্তানের ক্ষেত্রে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনিজ খাতে আমেরিকান বিনিয়োগ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙা করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী বলেন, “এটি শুধু বাণিজ্য চুক্তি নয়—এতে আমদানি-রফতানি বাড়বে এবং কোম্পানির মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা গড়ে উঠবে।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত এই সংকট মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানিমুখী নীতিতে জোর দিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।

×