| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

বিএনপি নির্বাচন চায় ফেব্রুয়ারির মধ্যেই: ফখরুল

বিএনপি নির্বাচন চায় ফেব্রুয়ারির মধ্যেই: ফখরুল

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি কোনোভাবেই ক্ষমতার জন্য অস্থির নয় বরং জনগণের মালিকানা জনগণের হাতেই ফিরিয়ে দিতে চায়—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান” উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের অনেক সংকট কেটে যাবে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পক্ষে।”

রাজনৈতিক সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, “১২টি মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। যেসব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না, সেগুলো বাদ দিয়ে মূল সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত।”

গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, “কাঁদা ছোড়াছুড়ি থাকতেই পারে, কিন্তু তার একটা সীমা থাকা জরুরি। না হলে ভবিষ্যতে সমাজে বিভেদ ও তিক্ততা বাড়বে।”

তিনি আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে সবাইকে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

৩ আগস্ট আসছে বড় চমক, নতুন বার্তা দিল এনসিপি

বিএনপি নির্বাচন চায় ফেব্রুয়ারির মধ্যেই: ফখরুল

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিহাস রচনার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী ৩ আগস্ট হতে যাচ্ছে দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।

 

সারা দেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নতুন বার্তা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাতে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ঘোষণায় বলা হয়, জুলাই মাসব্যাপী সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’।

 

ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল—গ্রাম থেকে শহর, পাড়া থেকে মহল্লা—সর্বত্র মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন এনসিপির নেতারা। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহিণীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভাবনা ও চাওয়া তারা সরাসরি শুনেছেন।

 

দলটির ভাষ্যমতে, “যেখানে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট এক দফার ঘোষণা হয়েছিল, সেই শহীদ মিনারে আবারও আসছেন নাহিদ ইসলাম। সেখানে তুলে ধরা হবে বিগত এক মাস ধরে সংগৃহীত মানুষের মতামত, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং এনসিপির প্রতিশ্রুতি।”

 

এছাড়া জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।

 

পোস্টে আরও বলা হয়, আগামী ৩ আগস্ট দেশের জন্য হবে একটি ঐতিহাসিক দিন। এজন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের ঢাকায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সমন্বয় কমিটিকে এই কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা দিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

 

ঘোষণার শেষ বাক্যে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে:

“আগামী ৩ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য আসছে নতুন কিছু। দেখা হবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রান্তে।”

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত

বিএনপি নির্বাচন চায় ফেব্রুয়ারির মধ্যেই: ফখরুল

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস”। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) আয়োজিত এই পাঠচক্রে আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনের সদস্যদের মাঝে জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি তুলে ধরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন ছিল দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আলোচনায় মুক্তচিন্তা ও ইতিহাসের স্পর্শ

পাঠচক্রের আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের দুই সদস্য আইরিন আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান, তৎকালীন গণহত্যা ও নির্মম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষের আত্মত্যাগের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আলোচনা পর্বে অনেক সদস্য নিজেদের মতামত শেয়ার করেন, যা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সর্বাধিক সঠিক উত্তর দেন, তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রীন ভয়েসের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিতি ও উৎসাহ

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্নসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মুহূর্ত।
গ্রীন ভয়েস কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার সাপ্তাহিক পাঠচক্র “প্রয়াস”-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা।

আয়োজন শেষে সবার মধ্যে গ্রীন ভয়েসের সামাজিক ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। উপস্থিত সদস্যরা জানান, এই ধরনের আয়োজন তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি করছে।

গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আরও বিভিন্ন সমসাময়িক ও ইতিহাসভিত্তিক বিষয়ে পাঠচক্র আয়োজন করা হবে।

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

বিএনপি নির্বাচন চায় ফেব্রুয়ারির মধ্যেই: ফখরুল

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

×