৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু

৩৭ বছর পর প্রথমবারের মতো দুই বাংলাদেশি সাঁতারু সফলভাবে পাড়ি দিলেন ইংলিশ চ্যানেল, যা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম কঠিন ওপেন-ওয়াটার সাঁতার হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলা৩৭ বছর পর প্রথমবারের মতো দুই বাংলাদেশি সাঁতারু সফলভাবে পাড়ি দিলেন ইংলিশ চ্যানেল, যা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম কঠিন ওপেন-ওয়াটার ই) স্থানীয় সময় ভোর ২টা ৩০ মিনিটে ইংল্যান্ডের ডোভার থেকে শুরু হয় এ ঐতিহাসিক যাত্রা। সাগর ও হিমেল ছিলেন ছয় সদস্যের আন্তর্জাতিক রিলে দলের অংশ, যেখানে আরও ছিলেন তিন ভারতীয় ও একজন মেক্সিকান সাঁতারু। এই ৩৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সাঁতার তারা সফলভাবে সম্পন্ন করেন মাত্র ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। দলের শেষ পর্যায়ে পানিতে নামেন মাহফিজুর রহমান সাগর এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর গৌরব অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবারিতা দাস এই খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশ সাঁতারের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।”
🏊 অতীত ইতিহাস: ব্রজেন দাস থেকে শুরু
বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ সালে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) তিনি প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। পরবর্তীতে আরও ছয়বার এই কঠিন পথ পাড়ি দেন তিনি।
এরপর ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদকজয়ী মোশাররফ হোসেন সর্বশেষ বাংলাদেশি হিসেবে চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছিলেন।
🌊 কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই সাঁতার?
ইংলিশ চ্যানেলকে “সাঁতারুদের এভারেস্ট” বলা হয়। কঠিন আবহাওয়া, প্রবল স্রোত এবং ঠান্ডা পানির কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং রুট হিসেবে বিবেচিত। এই পথে সাফল্য অর্জন মানেই একজন সাঁতারুর জীবনের অন্যতম বড় মাইলফলক।