| ৩১ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এই দিনে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত চত্বর ও দেশের প্রধান প্রধান সড়কে প্রতিবাদে মুখর হয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।

সামাজিক মাধ্যমে এই প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক জুড়ে প্রোফাইল পিকচারে লাল রঙের ছোঁয়া—প্রতীক হয়ে ওঠে প্রতিবাদের। শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সংস্কৃতিকর্মী—সবাই লিখেছেন, “শুধু কোটা নয়, গোটা দেশের সংস্কার দরকার।”

এই দিনটি শুধু প্রতিবাদের নয়, ছিল শোকাবহও। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু-শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা জাতি।

আহাদ—যিনি বাবামায়ের কোলেই প্রাণ হারান,

নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ—৬ বছর বয়সে বাড়ির ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিতে নিহত,

১৩ বছরের মোবারক—মিছিল দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান,

টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে জানালা বন্ধ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সামি (১১), হোসাইন (১০), তাহমিদ ও সাদ মাহমুদ (১৪), নাঈমা ও ইফাত (১৬)।

এই ঘটনাগুলো ছিল প্রতিবাদের আগুনে ঘি ঢালা। সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো গানে গানে প্রতিবাদ জানায় সহিংসতার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা আড়াই ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে।

একইদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত চত্বরে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি। প্রিজন ভ্যানে আটক প্রিয়জনকে এক নজর দেখতে উদগ্রীব স্বজনরা। এদিকে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন—এই সহিংসতার পরিকল্পনাকারী কারা, কারা অর্থ যুগিয়েছে—সবই সরকারের হাতে আছে।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধকরণ সরকারের ইস্যু ঘোরানোর কৌশল মাত্র।

এদিন হাইকোর্টে সহিংসতার ঘটনায় আটক ‘কোটা সংস্কার সমন্বয়কারীদের’ মুক্তি চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হয়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে প্রশ্ন করে, “তারা যদি নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে, তাহলে ডিবিতে আটক কেন?”

ডিএমপির তথ্যমতে, এই আন্দোলন ঘিরে মোট ২৬৪টির বেশি মামলা হয়, যার মধ্যে ৫৩টি হত্যা মামলা। গ্রেফতার হন ২৮০০ জনের বেশি।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, এই সহিংসতায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি এবং তাদের উত্তরসূরিরা জড়িত।

অভিভাবকেরা ঢাকা মেডিকেল চত্বরে মৌন অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একই সঙ্গে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’ ১১ দফা দাবি পেশ করে, যার মধ্যে রয়েছে হতাহতদের তালিকা প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের আহ্বান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যান। সরকারও সারাদেশে এক দিনের শোক পালন করে। তবে আন্দোলনকারীরা বলেন, “গুলি করে মানুষ মেরে পরে শোক পালন, এটা শোকের নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।”

পবিপ্রবিতে পশুপালন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবির পক্ষে একাত্মতা জানালেন ভিসি

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পশুপালন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী চিকিৎসা (ভেটেরিনারি সায়েন্স) ও প্রাণী উৎপাদন (অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) একীভূত করে সমন্বিত বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রায় সব পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু পবিপ্রবিতে এখনও পৃথক ডিগ্রি থাকায় পশুপালন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

 

তাদের দাবি, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে শুধু প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত উন্নয়নই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ভিসির একাত্মতাঃ

স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,

“তোমাদের এই দাবিটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনকে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের স্মারকলিপিটি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।”

 

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যঃ

শিক্ষার্থী তাহসিন হোসাইন বলেন,

“একজন খামারির যেমন দক্ষ প্রাণীচিকিৎসকের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উন্নত ব্যবস্থাপনার। এই দুই দিক একসঙ্গে শিখে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা সময়ের দাবি।”

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, বেসিক সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মামুন অর রশীদ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজ।

শ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি একনলা ব’ন্দু’ক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

 সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক।

তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার(৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন কৈখালীর একটি আভিযানিক দল শ্যামনগর উপজেলার মাউন্দে নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আভিযানিক দল আত্নসমপর্ণের আহব্বানে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পালানো সময় ঐ ব্যক্তি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় সুন্দরবনের মধ্যে।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাসি করে একটি একনলা ব্যক্তি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম উল হক আরও জানান দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি- বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কৈখালীর অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্ধুক ও তাজা কার্তুজ।

উপকূলীয় শ্যামনগরে মা ও শিশুর মৃ’ত্যু ঝুঁকি কমাতে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

মা ও শিশুর মুত্যু ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ফ্রেন্ডশিপের আয়োজনে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

সোমবার(২৮ জুলাই) উপজেলার সোয়ালিয়া ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন শ্যামনগর ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের প্রধান ডাঃ নাহিদ নজরুল।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন উপকূলীয় এলাকায় মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন।

ক্যাম্পের চিকিৎসক হিসাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহফুজা আলম এবং আল্ট্রাসনোলজিস্ট ও শিশু রোগি অভিজ্ঞ ডাঃ শাহরিয়ার হাসান।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা ও ব্যাবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

জানা যায় ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প উদ্বোধন পরবর্তী হাসপাতাল চত্তরে বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম করা হয়। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ,প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান বিভিন্ন সময়ে এই হাসপাতালে এলাকার মানুষের চিকিৎসাসেবা পেতে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, বিশেষ অপারেশন ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়।

ছবি- শ্যামনগর ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখছেন হাসপাতাল প্রধান ডাঃ নাহিদ নজরুল।

×