| ৩০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ঘোষণা দিয়েছেন, জার্মানি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে এবং এতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অংশ নেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াসের নেতৃত্বে এই সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে।

মের্ৎস বলেন, “এটি গাজার মানুষের জন্য খুবই সামান্য হলেও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান।”

এদিকে, স্পেনও গাজায় প্যারাশুটের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো জানান, জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয়ে আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৫,০০০ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, “এই প্যারাশুট ড্রপ সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো, কিন্তু এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, যেন জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে স্থলপথে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়।

৩০ জুলাই ২০২৪ একটি ইতিহাস গড়ার দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এই দিনে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত চত্বর ও দেশের প্রধান প্রধান সড়কে প্রতিবাদে মুখর হয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।

সামাজিক মাধ্যমে এই প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক জুড়ে প্রোফাইল পিকচারে লাল রঙের ছোঁয়া—প্রতীক হয়ে ওঠে প্রতিবাদের। শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সংস্কৃতিকর্মী—সবাই লিখেছেন, “শুধু কোটা নয়, গোটা দেশের সংস্কার দরকার।”

এই দিনটি শুধু প্রতিবাদের নয়, ছিল শোকাবহও। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু-শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা জাতি।

আহাদ—যিনি বাবামায়ের কোলেই প্রাণ হারান,

নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ—৬ বছর বয়সে বাড়ির ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিতে নিহত,

১৩ বছরের মোবারক—মিছিল দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান,

টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে জানালা বন্ধ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সামি (১১), হোসাইন (১০), তাহমিদ ও সাদ মাহমুদ (১৪), নাঈমা ও ইফাত (১৬)।

এই ঘটনাগুলো ছিল প্রতিবাদের আগুনে ঘি ঢালা। সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো গানে গানে প্রতিবাদ জানায় সহিংসতার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা আড়াই ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে।

একইদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত চত্বরে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি। প্রিজন ভ্যানে আটক প্রিয়জনকে এক নজর দেখতে উদগ্রীব স্বজনরা। এদিকে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন—এই সহিংসতার পরিকল্পনাকারী কারা, কারা অর্থ যুগিয়েছে—সবই সরকারের হাতে আছে।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধকরণ সরকারের ইস্যু ঘোরানোর কৌশল মাত্র।

এদিন হাইকোর্টে সহিংসতার ঘটনায় আটক ‘কোটা সংস্কার সমন্বয়কারীদের’ মুক্তি চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হয়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে প্রশ্ন করে, “তারা যদি নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে, তাহলে ডিবিতে আটক কেন?”

ডিএমপির তথ্যমতে, এই আন্দোলন ঘিরে মোট ২৬৪টির বেশি মামলা হয়, যার মধ্যে ৫৩টি হত্যা মামলা। গ্রেফতার হন ২৮০০ জনের বেশি।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, এই সহিংসতায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি এবং তাদের উত্তরসূরিরা জড়িত।

অভিভাবকেরা ঢাকা মেডিকেল চত্বরে মৌন অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একই সঙ্গে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’ ১১ দফা দাবি পেশ করে, যার মধ্যে রয়েছে হতাহতদের তালিকা প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের আহ্বান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যান। সরকারও সারাদেশে এক দিনের শোক পালন করে। তবে আন্দোলনকারীরা বলেন, “গুলি করে মানুষ মেরে পরে শোক পালন, এটা শোকের নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।”

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর ভুয়া বিজ্ঞাপনের ফাঁদ: বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সতর্কবার্তা

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

রাজধানীর আবাসন খাতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। নিজেদের জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প হিসেবে দাবি করে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—কাগজপত্রে এ ধরনের কোনো যৌথ বিনিয়োগের অস্তিত্ব নেই।

 

‘ফুজিসান গ্রীন সিটি’সহ একাধিক কথিত প্রকল্পঃ

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামে ‘ফুজিসান গ্রীন সিটি’ নামে একটি আবাসিক প্রকল্পের বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। পাশাপাশি তারা আরও দুটি প্রকল্পের প্রচারণা দিচ্ছে—
ফুজিসান টোকিও সিটি – কালিগঞ্জ
ফুজিসান ওসাকা সিটি – কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই কথিত তিনটি প্রকল্পের একটিরও কোনো সরকারি কাগজপত্র নেই।

 

নিবন্ধিত হলেও যৌথ বিনিয়োগের দাবি মিথ্যাঃ

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (RJSC) সূত্রে জানা গেছে, ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর ইনকর্পোরেশন নম্বরঃ সি-২০০৫১০/২০২৫ এবং ইস্যু নম্বরঃ৪৮৬১৮৮,
কোম্পানিটি ২০২৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধিত হয় মাত্র চারজন পরিচালক নিয়ে। তারা হলেন—

(১).মোঃ তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান,(২).মোঃ রেজাউল্লাহ রেজা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,(৩).মোঃ নাজমুল হোসেন, পরিচালক এবং (৪).খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, পরিচালক

কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল ২ কোটি টাকা, তবে পেইড-আপ ক্যাপিটাল মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা।
তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই মালিকরা তাদের  বিনিয়োগকৃত অর্থ কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেননি, যা বড় ধরনের অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।

কোম্পানি নিবন্ধিত থাকলেও যৌথ বিনিয়োগের কোনো সরকারি নথি নেই। অর্থাৎ জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

ভুয়া বিজ্ঞাপনে জাপানি নাগরিকের নাম ব্যবহারঃ

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনে কোম্পানিটি দাবি করছে, তাদের চেয়ারম্যান জাপানের নাগরিক মিস্টার তমোকাজু মাকিনু। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই জাপানি নাগরিকের সঙ্গে কোম্পানির কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কোনো সরকারি নথিপত্রেও এর প্রমাণ মেলেনি।
শুধুমাত্র গ্রাহকদের আকৃষ্ট ও প্রতারণার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে।

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর চার পরিচালক ও ভুয়া চেয়ারম্যানের ছবি, জাপানি নাগরিকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ
ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর চার পরিচালক ও কথিত জাপানি চেয়ারম্যানের ছবি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই বিদেশি নাগরিকের কোম্পানির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

অনুমোদনহীন প্রকল্প ও প্রশাসনের অবস্থানঃ

দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিকদার আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ নামে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”

 

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, খ অঞ্চল) টিএম রাহসিন কবির বলেন—

“ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ কোনো জমি অধিগ্রহণের আবেদন করেনি বা অনুমোদন নেয়নি। অনুমোদন ছাড়া কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

 

 

কোম্পানির অবস্থানঃ

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ রেজাউল্লাহ রেজা-র সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

পরবর্তীতে কোম্পানির একজন পরিচালক খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“আমরা মাত্র কয়েক মাস হলো কার্যক্রম শুরু করেছি। এখনো গোছগাছ করছি। অনুমোদন নেওয়া হয়নি, তবে ভবিষ্যতে নেব।”

অনুমোদন ছাড়া কেন বিপণন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আর সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

রাজউক ও বিশেষজ্ঞদের কড়া মন্তব্যঃ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন—

“স্থানীয় সরকার ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম বেআইনি। আমরা শিগগিরই এ কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। পূর্বাচলে শত শত কোম্পানি নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সের আড়ালে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।”

 

বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) জানিয়েছে—

“ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ আমাদের কোনো সদস্য নয়।”

 

এছাড়াও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান—

“কোম্পানিটি কোনো ধরনের জমি ক্রয় বা উন্নয়নের জন্য অনুমতি নেয়নি।”

 

 

পরিবেশবিদদের উদ্বেগঃ

পরিবেশবিদ ড. আফসানা মজুমদার বলেন—

 “অনুমোদন ছাড়া জমি বিক্রির নামে প্রতারণা দেশের আবাসন খাতকে ধ্বংস করছে। প্রশাসনের উচিত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।”

 

স্থানীয় জমির মালিকদের গুরুতর অভিযোগঃ

স্থানীয় জমির মালিকরা অভিযোগ করেন—

“তারা কোনো জমি না কিনেই সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। মামলার ভয় দেখিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে।”

অভিযোগ আরও গুরুতর—

“সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির পিছনে এবং তার নিজস্ব জমির উপর শুধুমাত্র সাইনবোর্ড বসিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে। প্রকৃতপক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান ও আমরা কখনো এই জমি বিক্রি করবো না। এটি সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকেরা করেছে, আর এর সাথে সাবেক চেয়ারম্যানের যোগসাজশ রয়েছে।”

 

দুদকের মন্তব্যঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মীর মোঃ জয়নুল আবেদিন শিবলী আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে দুদক অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যদি এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে, অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে।”

 

আইন বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তাঃ

ব্যারিস্টার কামরুল হাসান বলেন—

 “জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ হলে তা সরকারিভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে হতে হবে। যেহেতু তাদের কোনো অনুমোদন নেই, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া। প্রতারণার দায়ে এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র মামলা করতে পারে এবং শাস্তি হতে পারে।”

সরকারি কলেজ ও স্থাপনায় শেখ পরিবারের নাম সরিয়ে নতুন নামকরণ ঘোষণা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

দেশের চারটি সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পরিবর্তনে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ আওয়ামী লীগ ঘরানার জাতীয় নেতাদের নাম সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক ভিত্তিক নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোট চারটি সরকারি কলেজ এবং ২১টি একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

পরিবর্তিত চারটি কলেজের নাম হলো:

  • শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল → সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল

  • সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা → খুলনা সরকারি কলেজ

  • জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব → ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ

  • রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা → ইটনা সরকারি কলেজ

এছাড়া বিভিন্ন ভবনের নামেও পরিবর্তন এসেছে। যেমন:

  • ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ → বিজয় ২৪

  • শেখ জামাল একাডেমিক ভবন → জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন

  • শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ → শহীদ মামুন ছাত্রাবাস

  • তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ → নতুন বিজ্ঞান ভবন

  • বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ → বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস

  • রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস

  • দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → ছাত্রীনিবাস-৩

নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের বিভিন্ন সরকারি কলেজেও একই ধরণের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

×