| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

চাঁ’দা’বা’জি’র ঘটনায় যুব রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ: মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

চাঁ’দা’বা’জি’র ঘটনায় যুব রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ: মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন। সোমবার (২৮ জুলাই) জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজ যখন পত্রিকা খুললাম, বেদনায় নীল হয়ে গেছি। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা জোরপূর্বক সাবেক এক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা আদায় করেছে।”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “এই কি আমরা চেয়েছিলাম? দেশের মানুষ কি এমন ভবিষ্যৎ চায়?”

ফখরুল বলেন, “দেশের মানুষ আজ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এমন ঘটনার কারণে গর্ব করে বলা যাচ্ছে না—এই দেশ নতুনভাবে গড়ে উঠবে।”

সংস্কার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করছি, কিন্তু সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বরং নানা চাপ দিয়ে বিএনপিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু একটি দলের নয়, গোটা জনগণের অংশগ্রহণ ছিল। শহীদ হয়েছেন যুবদলের ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন। যার যা অবদান, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সাহস রাখতে হবে।”

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টার কথাও তুলে ধরেন ফখরুল।

ডিবি অফিসে ৬ সমন্বয়কের বাইরেও গু’ম ছিলেন আরো দুজন

চাঁ’দা’বা’জি’র ঘটনায় যুব রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ: মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

জুলাই-আগস্টে রাজধানীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থান দাবির আন্দোলনের সময় ডিবি পুলিশের হাতে গুম হওয়া নেতা ছিল ছয়জন নয়, বরং মোট আটজন—এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,

“ডিবি অফিসে ছয়জন মূল সমন্বয়কের বাইরেও আরো দুজন সমন্বয়ক গুম হয়েছিলেন। একজন আরিফ সোহেল, আরেকজন আল মাসনুন।”

জাহিদ আহসান জানান, ২৯ জুলাই রাতে মিরপুরের নিজ বাসা থেকে মাসনুনকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বাবা না থাকায়, বাবার মতো বড় ভাই হন্য হয়ে খুঁজেছেন মাসনুনকে। কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি।

তিনি আরও বলেন,

“মাসনুন ছিলেন মিরপুর এলাকার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ২০২১-২২ সাল থেকেই তার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”

ছাত্রনেতার দাবি, অনেকেই বলছেন,

“‘অভ্যুত্থানে মাসনুন কই ছিল?’ উত্তর: মাসনুন ছিলেন ডিবি অফিসে।”

উল্লেখ্য, এই তথ্য অনুযায়ী, ডিবি পুলিশের হাতে প্রথম সারির ছয় নেতা ছাড়াও গুম অবস্থায় ছিলেন আরিফ সোহেল ও আল মাসনুন। এর আগে জানা গিয়েছিল, সাত দিন ধরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় শীর্ষ সমন্বয়ক—নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুমকে।

জাহিদ আহসানের পোস্টটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন। এই ঘটনার বিষয়ে এখনো ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগে উদ্যোগ

চাঁ’দা’বা’জি’র ঘটনায় যুব রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ: মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার ১০৬টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য, বাকি পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত, ফলে মোট শূন্য পদ রয়েছে ৩৪,১০৬টি। এর মধ্যে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ ২,৬৪৭টি, যার ১০% সংরক্ষণ রেখে বাকি ২,৩৮২টি পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)-কে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে এবং খুব শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।

এ ছাড়া, ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তির পর নিয়োগযোগ্যতা কার্যকর হবে।

🔎 প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রয়েছে ৬৫,৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫,৫০২টি।

বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে মা’দ’ক ও কাস্টিং কাউচে জড়িত থাকার অভিযোগে

চাঁ’দা’বা’জি’র ঘটনায় যুব রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ: মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

বিজয় সেতুপতি : ছবি-সংগৃহীত

দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি নতুন এক বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ‘সুপার ডিলাক্স’, ‘৯৬’, ‘বিক্রম বেদা’ এবং ‘মহারাজা’র মতো প্রশংসিত সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করা এই তারকার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রাম্যা মোহন নামের এক নারী, যেটি ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাম্যা সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে দাবি করেন,

“বিজয় সেতুপতি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক বিষাক্ত সংস্কৃতির অংশ। কাস্টিং কাউচ, মাদক, ম্যানিপুলেশন ও নারীদের শোষণ এখানে অজানা কিছু নয়।”

তিনি বলেন,
“এক মেয়েকে আমি চিনি, যিনি বর্তমানে মিডিয়ায় পরিচিত মুখ। তাকে সেতুপতি দু’টি ভিন্ন প্রজেক্টের জন্য অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করেছেন। মেয়েটি বর্তমানে রিহ্যাবে আছেন।”

রাম্যার দাবি অনুযায়ী,

“সেতুপতি ‘কারাভ্যান ফেভার’-এর জন্য তাকে ২ লাখ ও ‘ড্রাইভ’-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা অফার করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় তাকে ব্যবহার করা হয়। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজয় সেতুপতি নিজেকে সাধু রূপে তুলে ধরেন।”

পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি তা মুছে ফেলেন এবং জানান,

“বন্ধুর গোপনীয়তা রক্ষা করতেই পোস্টটি ডিলিট করেছি।”

এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত বিজয় সেতুপতি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। এ ছাড়া ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশিত হয়নি কিংবা কোনো আইনি অভিযোগও করা হয়নি।

তবে ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিজয় সেতুপতি বলেছিলেন,

“কাস্টিং কাউচ ঘৃণ্য একটি বিষয়, এটা দুর্নীতিপূর্ণ মানসিকতার ফল।”

বিজয় সেতুপতি, যিনি ভক্তদের কাছে ‘মাক্কাল সেলভান’ নামে পরিচিত, পেশাগতভাবে সফল একজন অভিনেতা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী জেসি ও দুই সন্তানের জনক।

×