| ২৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও সুবিধা পর্যালোচনার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন করেছে। সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ১৫ অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যালোচনার পাশাপাশি সময়োপযোগী সুপারিশ প্রণয়ন করবে এই কমিশন।

কমিটির গঠন:

  • পূর্ণকালীন সদস্য: ড. মোহাম্মদ আলী খান (সাবেক সচিব), মো. মোসলেম উদ্দীন (সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক), মো. ফজলুল করিম (সাবেক রাষ্ট্রদূত)

  • খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে আছেন: ড. জাহিদ হোসাইন, ড. জিশান আরা আরাফুন্নেসা, মেজর জেনারেল (অব.) এআইএম মোস্তফা রেজা নূর, ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক মাকছুদুর রহমান সরকার, প্রফেসর ড. শামসুল আলম ভূঁইয়া, ড. এ কে এম মাসুদ, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ড. এ কে এনামুল হক প্রমুখ।

এছাড়া জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ মন্ত্রণালয়, ফেডারেশন অব চেম্বারস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

কমিশনের কার্যপরিধি:

  • সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণ

  • কর প্রভাবসহ নতুন স্কেল সুপারিশ

  • বেতন বহির্ভূত সুবিধার (যেমন: বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, উৎসবভাতা ইত্যাদি) যৌক্তিকীকরণ

  • মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন সমন্বয়ের কৌশল

  • অবসর ও পেনশন সুবিধার পর্যালোচনা

  • রেশন, মোবাইল, গাড়ি, ইনক্রিমেন্টসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধার যৌক্তিকতা নির্ধারণ

সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচ্য বিষয়:

  • একটি পরিবারের মৌলিক জীবনযাত্রার ব্যয় (পিতা-মাতা ও ৬ সদস্যের গড় পরিবার)

  • সন্তানের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়

  • দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, সরকারি সম্পদের বাস্তবতা

  • প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যয় ও আয় পরিস্থিতি

  • দক্ষ জনবল ধরে রাখা ও জনপ্রশাসনের মান উন্নয়ন

কমিশন প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে। প্রয়োজনে খণ্ডকালীন সদস্য কো-অপ্ট করার সুযোগও থাকবে।

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিমে থাকার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন যাত্রা শুরু করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর রাতুলের ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এ কে রাতুল কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি রক সংগীতজগতের একজন দক্ষ প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ডের অ্যালবাম তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

সেন্টমার্টিনের চারপাশে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়ে গেছে। ঢেউয়ের তীব্রতায় দ্বীপের গাছপালা, বসতবাড়ি ও চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টানা চারদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্যোগ প্রতিবছরই হয়। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে। দ্বীপ রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সেন্টমার্টিনের জেলে একরাম হোসেন বলেন, “সাগরে এখন আর মাছ ধরতে যাওয়া যায় না। স্রোত এতই প্রবল যে, বাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে যাচ্ছে। সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, সেন্টমার্টিন টিকবে না।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম জানান, “পানি আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপটি একদিন সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।”

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি অবনতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হবে দ্বীপবাসীর জন্য।

দ্বীপ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক সোহেল রানা (আসল নাম মাসুদ পারভেজ) চিকিৎসাসেবা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আজ (২৭ জুলাই) ফেসবুকে একাধিক পোস্টে তিনি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন:
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ। ধিক তোমাকে, ধিক তোমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট এবং মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ডকে।”

অন্য এক পোস্টে হাসপাতালের দুরবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন:
“দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কষ্ট করে টাকা জমা দেওয়ার জন্য। বসার জায়গা নেই। ২৫ জনের বসার জায়গায় ১০০ জন রোগী দাঁড়িয়ে আছে। সিনিয়র সিটিজেন বা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো মূল্য নেই। কেবিন ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কোনো কাজে আসে না—এটাই বাস্তবতা। কোনও অভিযোগ নেই, শুধু একটু দীর্ঘ নিঃশ্বাস।”

সোহেল রানার ছেলে নির্মাতা মাশরুর পারভেজ জানিয়েছেন, তার বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই ফুসফুসজনিত জটিলতায় ভুগছেন এবং গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন প্রযোজক হিসেবে। ১৯৭২ সালে নির্মাণ করেন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।

নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের সময় তিনি ‘সোহেল রানা’ নামে পরিচিতি পান। একই সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে, যা কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।

তিনি প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ‘লালু ভুলু’ (১৯৮৩), ‘অজান্তে’ (১৯৯৬), ‘সাহসী মানুষ চাই’ (২০০৩) – এই তিন ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে পান আজীবন সম্মাননা।

১৯৯০ সালে সোহেল রানা বিয়ে করেন ডা. জিনাত পারভেজকে। তাদের একমাত্র ছেলে মাশরুর পারভেজ জীবরান। অভিনেতা রুবেল (মাসুম পারভেজ) তার ছোট ভাই।

সোহেল রানার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, অবদান এবং বয়সজনিত দুর্দশার মধ্যেও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একরাশ যন্ত্রণার প্রতিফলন উঠে এসেছে।

×