| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করেই আটার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গমের দামে সামান্য বৃদ্ধিকে কারণ দেখিয়ে মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি ১৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা ভোক্তাদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাহিনী বটতলানগর মোহাম্মদপুরে সাব্বির অটো ফ্লাওয়ার মিল ৩৭ কেজির এক বস্তা আটা বিক্রি করছে ১,৪০০ টাকায়। একই ওজনের আটা বড় বাজারের সি আর পি ফ্লাওয়ার মিলে বিক্রি হচ্ছে ১,৪২০ টাকায় এবং সাতরানী ফ্লাওয়ার মিলের ‘সাতরানী’ ব্র্যান্ডের বস্তা মিলছে ১,৪৩০ টাকায়। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এসব আটার দাম ছিল ২০০ টাকা কম।

গমের বাজারে প্রতি মণে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০-৬০ টাকা। কিন্তু মিলগুলো কেজিপ্রতি ৫ থেকে সাড়ে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

জেলার পরিচিত গম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ মোল্লা বলেন, “গমের দাম সামান্য বেড়েছে, তবে একইসঙ্গে ভুসির দাম বস্তাপ্রতি ৫০-৬০ টাকা কমেছে। সব মিলিয়ে কেজিপ্রতি দাম ২-৩ টাকার বেশি বাড়ার কথা নয়। এর বেশি দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”

ভুসি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “এটি বাজারের ওপর সরাসরি অরাজকতা। যথাযথ মনিটরিং না থাকায় মিলমালিকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে।”

সি আর পি ফ্লাওয়ার মিলের একজন কর্মকর্তা দাম কিছুটা বাড়ার কথা স্বীকার করলেও অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

জেলা কৃষি বিপণন ও বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, গমে কেজিপ্রতি এক থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ভুসির চাহিদা কমে যাওয়ায় মিলগুলো আটার উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়েছে। ফলে আটা সামান্য বেশি দামে বিক্রি হতে পারে। তবে তার দাবি, কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ দুই টাকা পর্যন্তই দাম বাড়ানো হয়েছে।

তবে বাজারে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা—যেখানে দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি হারে। সাধারণ মানুষ তাই প্রশ্ন তুলছে, এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আসলেই কি কেবল গমের দামের প্রভাব, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বাজার নিয়ন্ত্রণে গাফিলতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি?

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সভাপতি জাকির আহমেদ খান, ২৩ সদস্যের বিশাল কমিটি গঠিত

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও সুবিধা পর্যালোচনার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন করেছে। সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ১৫ অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যালোচনার পাশাপাশি সময়োপযোগী সুপারিশ প্রণয়ন করবে এই কমিশন।

কমিটির গঠন:

  • পূর্ণকালীন সদস্য: ড. মোহাম্মদ আলী খান (সাবেক সচিব), মো. মোসলেম উদ্দীন (সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক), মো. ফজলুল করিম (সাবেক রাষ্ট্রদূত)

  • খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে আছেন: ড. জাহিদ হোসাইন, ড. জিশান আরা আরাফুন্নেসা, মেজর জেনারেল (অব.) এআইএম মোস্তফা রেজা নূর, ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক মাকছুদুর রহমান সরকার, প্রফেসর ড. শামসুল আলম ভূঁইয়া, ড. এ কে এম মাসুদ, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ড. এ কে এনামুল হক প্রমুখ।

এছাড়া জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ মন্ত্রণালয়, ফেডারেশন অব চেম্বারস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

কমিশনের কার্যপরিধি:

  • সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণ

  • কর প্রভাবসহ নতুন স্কেল সুপারিশ

  • বেতন বহির্ভূত সুবিধার (যেমন: বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, উৎসবভাতা ইত্যাদি) যৌক্তিকীকরণ

  • মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন সমন্বয়ের কৌশল

  • অবসর ও পেনশন সুবিধার পর্যালোচনা

  • রেশন, মোবাইল, গাড়ি, ইনক্রিমেন্টসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধার যৌক্তিকতা নির্ধারণ

সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচ্য বিষয়:

  • একটি পরিবারের মৌলিক জীবনযাত্রার ব্যয় (পিতা-মাতা ও ৬ সদস্যের গড় পরিবার)

  • সন্তানের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়

  • দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, সরকারি সম্পদের বাস্তবতা

  • প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যয় ও আয় পরিস্থিতি

  • দক্ষ জনবল ধরে রাখা ও জনপ্রশাসনের মান উন্নয়ন

কমিশন প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে। প্রয়োজনে খণ্ডকালীন সদস্য কো-অপ্ট করার সুযোগও থাকবে।

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিমে থাকার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন যাত্রা শুরু করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর রাতুলের ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এ কে রাতুল কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি রক সংগীতজগতের একজন দক্ষ প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ডের অ্যালবাম তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

কুষ্টিয়ায় আটার বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

সেন্টমার্টিনের চারপাশে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়ে গেছে। ঢেউয়ের তীব্রতায় দ্বীপের গাছপালা, বসতবাড়ি ও চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টানা চারদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্যোগ প্রতিবছরই হয়। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে। দ্বীপ রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সেন্টমার্টিনের জেলে একরাম হোসেন বলেন, “সাগরে এখন আর মাছ ধরতে যাওয়া যায় না। স্রোত এতই প্রবল যে, বাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে যাচ্ছে। সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, সেন্টমার্টিন টিকবে না।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম জানান, “পানি আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপটি একদিন সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।”

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি অবনতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হবে দ্বীপবাসীর জন্য।

দ্বীপ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

×