| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এখনো বিমানের দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারেনি। সহপাঠীদের সামনে দগ্ধ হতে দেখে শিশুমনগুলো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারছে না, বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে, খাওয়ার রুচি কমে গেছে—এই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এখন ভরসা রাখছে স্কুলের কাউন্সেলিং সেন্টারে।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকের পাশেই তিনটি কক্ষে চালু করা হয়েছে এই কাউন্সেলিং সেন্টার। সকাল থেকে অভিভাবকের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ভেতরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে, যাদের মধ্যে শিক্ষকও আছেন।

কাউন্সেলিং সেন্টারে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দায়িত্ব পালন করছেন—এর একজন প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব চিকিৎসক এবং বাকি দুইজন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে আসা বিশেষজ্ঞ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা সেবা দিচ্ছেন।

সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. শাহপারনেওয়াজ ইশা জানান, গতকাল প্রায় ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী এসেছিল, আর আজ প্রায় ৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ট্রমার বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছে—যেমন বিকট শব্দে ভয় পাওয়া, দম বন্ধ হয়ে আসা, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, কান্না বা হঠাৎ আতঙ্কে ভেঙে পড়া।

এক শিক্ষার্থীর মা জানান, দুর্ঘটনার সময় তার ছেলে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে মাঠে ছিল। বিমানের ধ্বংসস্তূপ তার মাথার ওপর দিয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন কানে শুনতে পায়নি, এখন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঘুমাতে পারছে না এবং খাওয়া-দাওয়া কমে গেছে। কাউন্সেলিং সেন্টারে সেবা নিয়ে কিছুটা ভালো অনুভব করছে।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মাসুদ আলম বলেন, “আমাদের আগে থেকেই কাউন্সেলিং সেন্টার ছিল। দুর্ঘটনার পর সেটার পরিসর বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসক বাড়ানো হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মানসিক সহায়তা দেওয়া হবে।”

এ উদ্যোগে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে আতঙ্কগ্রস্ত শিশুরা। তবে মানসিক সুস্থতায় দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা অব্যাহত রাখার তাগিদও উঠে এসেছে অভিভাবক ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

স্বামীর পরকীয়া ফাঁস করে মানহানি মা’ম’লার মুখে অভিনেত্রী রিয়া

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় : ছবি-সংগৃহীত

ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ও পরকীয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে নিজেই মানহানি মামলায় জড়িয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি রিয়া ফেসবুক লাইভে এসে জানান, কয়েকদিন আগে তিনি নিজের স্বামীকে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরেন। সেই নারীও বিবাহিত বলে দাবি করেছেন রিয়া, এবং তিনি তার পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

এই ঘটনার পরপরই মানহানির মামলা হয় রিয়ার বিরুদ্ধে। শুধু স্বামীই নয়, পরকীয়ায় জড়িত সেই নারীও রিয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।

রিয়া বলেন, “তিন বছর ধরে অনেক কিছু সহ্য করেছি সন্তানের মুখ চেয়ে। কিন্তু এখন আর পিছপা হব না। এই লড়াই শেষ অবধি চালিয়ে যাব।” তিনি আরও দাবি করেন, সেই নারী তার স্বামীর সঙ্গে টাকার লোভে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

রিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, স্বামীর বিরুদ্ধে তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এমনকি সেই নারীর স্বামীর সঙ্গেও তার ফোনালাপের অডিও লাইভে শুনিয়েছেন, যেখানে ওই ব্যক্তি জানান, সব জানলেও স্ত্রীর ভয়ে চুপ ছিলেন এতদিন।

অভিনেত্রী জানান, বিচ্ছেদের সময় তিনি কোনও ভরণপোষণ দাবি করেননি। নিজের উপার্জনের টাকায় সন্তানদের বড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে হঠাৎ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর মুখ বন্ধ রাখেননি তিনি।

রিয়া আরও জানান, “প্রয়োজনে নিজের কিডনি বিক্রি করেও আমি এই লড়াই চালিয়ে যাব। সত্যের জন্য লড়াই করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই আমার।”

টলিউডের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়। তবে চলমান আইনি জটিলতার কারণে এখন অভিনয় জীবনেও স্থবিরতা নেমে এসেছে তার।

ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে এমন বিশ্বাসঘাতকতা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রী। সর্বশান্ত হলেও এবার সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়।

টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

মাঠে দাপট দেখানো শুরু থেকেই ছিল কলম্বিয়ার পক্ষেই—বল দখল, আক্রমণ কিংবা শটের দিক দিয়ে এগিয়ে থেকেও মূল সময়ে গোলের দেখা পায়নি তারা। ইকুয়েডরের কুইটো শহরে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারেই মিলেছে ম্যাচের মীমাংসা।

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কলম্বিয়া নারী ফুটবল দল। এর ফলে তারা শুধু ফাইনালেই ওঠেনি, নিশ্চিত করেছে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের টিকিটও।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ক্যাথরিন তাইপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান। আর্জেন্টিনার পাউলিনা গ্রামালিয়ার শট ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। যদিও পরেই কলম্বিয়ার মারিয়া রামিরেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তবে বাকিরা ছিলেন নির্ভুল।

সর্বশেষ শটে ওয়েন্ডি বোনল্লিয়া জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। আর এরপর আর্জেন্টিনার এলিয়ানা স্টাবিলি গোল করতে ব্যর্থ হলে কলম্বিয়ান শিবিরে শুরু হয় উল্লাস। এই জয়ে ফাইনাল ও অলিম্পিক—দুই মঞ্চেই নিজেদের নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই শক্তিশালী দলটি।

ম্যাচ শেষে তাইপে বলেন, “এই মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দল হিসেবে আমরা যা চেয়েছি, সেটাই পেয়েছি। এবার লক্ষ্য ট্রফি জেতা।”

উল্লেখ্য, আগের আসরেও ফাইনালে উঠেছিল কলম্বিয়া, তবে সেখানে ব্রাজিলের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল। এবার তারা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে ট্রফির স্বাদ নিতে চায়।

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বুধবার, যেখানে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও চমক দেখানো উরুগুয়ে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ আগস্ট, ইকুয়েডরের কুইটো শহরে।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার ট্রমা কাটাতে কাউন্সেলিং সেন্টারে ভিড় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

×