| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির আওতা থেকে সরিয়ে স্বতন্ত্র বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৭ জুলাই) ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান কারিগরি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দ্বৈত কাঠামো শিক্ষার্থীদের জন্য বিপর্যয়কর হয়ে উঠেছে।

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী সালমান সাব্বির জানান, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও সিলেট সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২০ মে থেকে ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে এবং ২৪ জুন প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তার আগেই, ১৮ মে কম্বাইন সিস্টেমের চাপে এক শিক্ষার্থী ধ্রুবজিত মারা যায়, যা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরা এরইমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। বরং ঢাবি প্রশাসন শিক্ষাবান্ধব আচরণ না করে প্রাইভেট অধিভুক্ত কলেজগুলোর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রতি অগ্রাধিকার দিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন—তারা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামোর আওতায় থাকতে চান না। তারা বিআইটির মতো একটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঠামোর দাবি জানান।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, প্রশ্নপত্রে অনিয়ম, সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন, ফল প্রকাশে দীর্ঘ বিলম্ব এবং শিক্ষক সংকট তাদের শিক্ষাজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি বিভাগে বর্তমানে একজন শিক্ষকও নেই। এছাড়া ল্যাব সুবিধা ও অবকাঠামোগত সমস্যাও প্রকট।

তারা আরও বলেন, ল্যাব টেকনিশিয়ানরা অনেক সময় জানেন না যন্ত্রপাতির সঠিক নাম বা ব্যবহার। এর ফলে ল্যাব কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এই সমস্যাগুলোর পেছনে মূল কারণ।

দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে থেকে আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দেন—যদি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেন, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

মাঠে দাপট দেখানো শুরু থেকেই ছিল কলম্বিয়ার পক্ষেই—বল দখল, আক্রমণ কিংবা শটের দিক দিয়ে এগিয়ে থেকেও মূল সময়ে গোলের দেখা পায়নি তারা। ইকুয়েডরের কুইটো শহরে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারেই মিলেছে ম্যাচের মীমাংসা।

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কলম্বিয়া নারী ফুটবল দল। এর ফলে তারা শুধু ফাইনালেই ওঠেনি, নিশ্চিত করেছে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের টিকিটও।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ক্যাথরিন তাইপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান। আর্জেন্টিনার পাউলিনা গ্রামালিয়ার শট ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। যদিও পরেই কলম্বিয়ার মারিয়া রামিরেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তবে বাকিরা ছিলেন নির্ভুল।

সর্বশেষ শটে ওয়েন্ডি বোনল্লিয়া জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। আর এরপর আর্জেন্টিনার এলিয়ানা স্টাবিলি গোল করতে ব্যর্থ হলে কলম্বিয়ান শিবিরে শুরু হয় উল্লাস। এই জয়ে ফাইনাল ও অলিম্পিক—দুই মঞ্চেই নিজেদের নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই শক্তিশালী দলটি।

ম্যাচ শেষে তাইপে বলেন, “এই মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দল হিসেবে আমরা যা চেয়েছি, সেটাই পেয়েছি। এবার লক্ষ্য ট্রফি জেতা।”

উল্লেখ্য, আগের আসরেও ফাইনালে উঠেছিল কলম্বিয়া, তবে সেখানে ব্রাজিলের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল। এবার তারা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে ট্রফির স্বাদ নিতে চায়।

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বুধবার, যেখানে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও চমক দেখানো উরুগুয়ে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ আগস্ট, ইকুয়েডরের কুইটো শহরে।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে মৃ’ত্যু ৩০ ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বেইজিং ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বেইজিংয়ের মিয়ুন জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রাণ হারান ২৮ জন এবং ইয়াংচিং জেলায় আরও ২ জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি।
এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হ্যবেই প্রদেশে ভূমিধসে আরও ৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।

টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও অবকাঠামো। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অন্তত ১৩৬টি গ্রামে। নিরাপত্তার কারণে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু মিয়ুন জেলা থেকেই সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাদামি বন্যার পানি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলছে, এবং রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বেইজিং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল, পর্যটন কেন্দ্র ও ক্যাম্পসাইটের কার্যক্রম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ দুর্যোগকে ‘গুরুতর প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনকে নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

×