| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

১৯৮০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পরিমাণ বেড়েছে সাত গুণ, হারিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাধার। একই সময়ে ভূমির গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এমনই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ পরিচালিত এক গবেষণায়।

রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার হলিডে ইন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সাবরিন সুলতানা ও মো. ফুয়াদ হাসান। ‘প্রকৃতিবিহীন ঢাকা? প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক টেকসই নগর ভাবনার পুনর্বিচার’ শীর্ষক এ গবেষণা ৪৪ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র ও তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় সবুজ আচ্ছাদন কমে এসেছে ২১.৬% থেকে মাত্র ১১.৬%-এ। শহরের অধিকাংশ এলাকাই আন্তর্জাতিক মান অনুসারে মাথাপিছু ৯ বর্গমিটার সবুজ জায়গা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। আদাবর, রামপুরা, কাফরুল, বংশাল ও ওয়ারী এলাকা ‘ট্রি-ডেজার্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে গাছপালা প্রায় অনুপস্থিত।

জলাধার সংকটও ভয়াবহ। ঢাকায় ৫০টি থানার মধ্যে ৪৪টিতে নেই ন্যূনতম জলাধার মান। শহরের মোট জলাধার এখন মাত্র ৪.৮% এলাকাজুড়ে। সূত্রাপুর, মিরপুর, গেন্ডারিয়া ও কাফরুল এলাকাগুলো প্রায় জলশূন্য হয়ে পড়েছে।

তাপমাত্রার দিক থেকেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ঢাকার কোনো এলাকাতেই এখন আর তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে থাকে না। শ্যামপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, রামপুরা ও দারুসসালাম—এই এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে শহরের ৩৭টি থানা ইতোমধ্যেই নিরাপদ নির্মাণসীমা অতিক্রম করেছে।

কংক্রিটের দখলে এখন ঢাকার প্রায় অর্ধেক অঞ্চল। বংশাল, সূত্রাপুর, কলাবাগান, হাজারীবাগ, মিরপুর ও রামপুরা এলাকাগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি জায়গা এখন কংক্রিটে ঘেরা।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, উত্তরখান ও তুরাগ তুলনামূলক প্রান্তিক অঞ্চল হওয়ায় এখনো কিছুটা সবুজ ও জলাধার ধরে রেখেছে। তবে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ওয়ারী, বংশাল, কোতোয়ালীর মতো এলাকাগুলো প্রায় পুরোপুরি প্রকৃতি-বিচ্ছিন্ন।

গবেষণার পরিচালক ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসাইন খান বলেন, “উন্নয়নের নামে আমরা ঢাকার প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেলেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঢাকা করাচির মতো বসবাসের অযোগ্য শহরে পরিণত হবে।”

তিনি বলেন, “দিল্লি ও জাকার্তা আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। আমরা এখন করাচির পথে হাঁটছি। এ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের মতো প্রকৃতি-ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করতে হবে, তবে সেটা হতে হবে স্থানীয় জ্ঞান, সাম্যতা ও জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে। পরিবেশের সঙ্গে শহরের সম্পর্কের মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির অধিকারকে শহর পরিকল্পনার কেন্দ্রে না আনলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঢাকায় কোনো বাসযোগ্যতা অবশিষ্ট থাকবে না। আমাদের এখনই রাষ্ট্র ও নাগরিক হিসেবে প্রকৃতির অভিভাবক হয়ে উঠতে হবে।”

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ঘোষণা দিয়েছেন, জার্মানি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে এবং এতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অংশ নেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াসের নেতৃত্বে এই সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে।

মের্ৎস বলেন, “এটি গাজার মানুষের জন্য খুবই সামান্য হলেও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান।”

এদিকে, স্পেনও গাজায় প্যারাশুটের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো জানান, জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয়ে আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৫,০০০ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, “এই প্যারাশুট ড্রপ সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো, কিন্তু এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, যেন জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে স্থলপথে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়।

মানুষের কল্যাণে না এলে সংস্কারের মূল্য নেই: মির্জা ফখরুল

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

সংস্কার যদি জনগণের উপকারে না আসে, তাহলে তার কোনো অর্থ নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই উচ্চপদে গেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কেউ স্মরণ করে না। শহীদ পরিবার বা নিখোঁজদের জন্য সরকার কিছুই করেনি।”

ফখরুল আরও বলেন, “গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, জানি না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে না দাঁড়ালে আমরাও দায়ী থাকব।”

তিনি জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়লেও বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

ঢাকার ৪৪ থানায় নেই ন্যূনতম জলাধার, কমেছে ৬০% জলাধার: গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার ৬ জন আসামিকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং সাবেক এএসআই আমির হোসেন।

এর আগে, সোমবার প্রথম দিনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও পুলিশ মিলে আবু সাঈদকে হত্যা করে। পরে, উল্টোভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সাঈদের সহযোদ্ধাদের।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আসল ঘটনা আড়াল করতে বারবার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পরিবর্তন আনা হয়।”

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশন। ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল থেকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৪ জনকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

মোট ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

×