| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, সেনাপ্রধান যতবার আহতদের দেখতে গেছেন, তা অন্যান্য সব উপদেষ্টার সম্মিলিত সফরের চেয়েও বেশি।

সারজিস আলম লিখেছেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় প্রতিটি শনিবার সেনাপ্রধান সিএমএইচে গিয়ে সেখানে ভর্তি থাকা জুলাই আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুতর আহতদের উন্নতমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা সিএমএইচেই ব্যক্তি প্রতি সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিস্তা প্রকল্পে প্রস্তুত চীন, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই নীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত “ডিক্যাব টক” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী চীন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ কোনো তৃতীয় পক্ষবিরোধী জোট নয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

তিস্তা নদী পুনর্গঠন প্রকল্প প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেন, “এই প্রকল্পে চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা বাংলাদেশের।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে তিনি জানান, রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়, তবে চীন এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—দুই পক্ষের সাথেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

সম্প্রতি ঢাকার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে চীনা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে খুব শিগগিরই চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে এবং চীন এ বিষয়ে আশাবাদী।

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ঘোষণা দিয়েছেন, জার্মানি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে এবং এতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অংশ নেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াসের নেতৃত্বে এই সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে।

মের্ৎস বলেন, “এটি গাজার মানুষের জন্য খুবই সামান্য হলেও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান।”

এদিকে, স্পেনও গাজায় প্যারাশুটের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো জানান, জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয়ে আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৫,০০০ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, “এই প্যারাশুট ড্রপ সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো, কিন্তু এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, যেন জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে স্থলপথে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়।

মানুষের কল্যাণে না এলে সংস্কারের মূল্য নেই: মির্জা ফখরুল

জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা সারজিস আলমের

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

সংস্কার যদি জনগণের উপকারে না আসে, তাহলে তার কোনো অর্থ নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই উচ্চপদে গেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কেউ স্মরণ করে না। শহীদ পরিবার বা নিখোঁজদের জন্য সরকার কিছুই করেনি।”

ফখরুল আরও বলেন, “গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, জানি না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে না দাঁড়ালে আমরাও দায়ী থাকব।”

তিনি জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়লেও বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।

×