| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ড. আলী রিয়াজ: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাবে

ড. আলী রিয়াজ: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাবে

৩ দিনের মধ্যে ঐকমত্যের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো: ড. আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আগামী তিন দিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটবে এবং ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. রিয়াজ বলেন, “আজ থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আমি আশা করছি, আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারবো এবং প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবো। রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মিলিত চেষ্টার ফলেই সফলতা আসবে। এই আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে।”

তিনি আরও জানান, আলোচনায় এখনো কোনো খসড়া উত্থাপন করা হচ্ছে না। যদি মৌলিক কোনো আপত্তি উঠে আসে, তবেই তা সভায় তোলা হবে। নতুবা রাজনৈতিক দলগুলোর আলাদা মতামত বিবেচনায় নিয়ে তৎপরবর্তীভাবে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হবে। সেই সনদে থাকবে পটভূমি, প্রক্রিয়া ও দলগুলোর প্রতিশ্রুতির বিবরণ।

এদিনের আলোচ্য বিষয়ে ‘নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ’ একটি উল্লেখযোগ্য অথচ এতদিন আলোচিত না হওয়া বিষয় হিসেবে সামনে আসে। ড. রিয়াজ জানান, সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল সংবিধানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগে উল্লিখিত অধিকারের ধারাগুলোকে একত্র করে ‘বিল অফ রাইটস’ আকারে উপস্থাপন করার। যদিও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি। তারা মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের পক্ষে হলেও, সেই সম্প্রসারণের ধরন ও কাঠামো নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।

পুলিশ কমিশন সংযোজন প্রসঙ্গে ড. রিয়াজ বলেন, “প্রথম পর্যায়ে যে ১৬৬টি সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল, সেখানে পুলিশ কমিশনের উল্লেখ ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন পক্ষ থেকে এ নিয়ে প্রশ্ন এসেছে—গত ১৬ বছরে পুলিশের ভূমিকাই এই আলোচনাকে জরুরি করে তুলেছে। তাই এটি এবার আলোচ্য বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার এবং পুলিশ কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।

টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া

ড. আলী রিয়াজ: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাবে

মাঠে দাপট দেখানো শুরু থেকেই ছিল কলম্বিয়ার পক্ষেই—বল দখল, আক্রমণ কিংবা শটের দিক দিয়ে এগিয়ে থেকেও মূল সময়ে গোলের দেখা পায়নি তারা। ইকুয়েডরের কুইটো শহরে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারেই মিলেছে ম্যাচের মীমাংসা।

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কলম্বিয়া নারী ফুটবল দল। এর ফলে তারা শুধু ফাইনালেই ওঠেনি, নিশ্চিত করেছে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের টিকিটও।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ক্যাথরিন তাইপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান। আর্জেন্টিনার পাউলিনা গ্রামালিয়ার শট ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। যদিও পরেই কলম্বিয়ার মারিয়া রামিরেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তবে বাকিরা ছিলেন নির্ভুল।

সর্বশেষ শটে ওয়েন্ডি বোনল্লিয়া জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। আর এরপর আর্জেন্টিনার এলিয়ানা স্টাবিলি গোল করতে ব্যর্থ হলে কলম্বিয়ান শিবিরে শুরু হয় উল্লাস। এই জয়ে ফাইনাল ও অলিম্পিক—দুই মঞ্চেই নিজেদের নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই শক্তিশালী দলটি।

ম্যাচ শেষে তাইপে বলেন, “এই মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দল হিসেবে আমরা যা চেয়েছি, সেটাই পেয়েছি। এবার লক্ষ্য ট্রফি জেতা।”

উল্লেখ্য, আগের আসরেও ফাইনালে উঠেছিল কলম্বিয়া, তবে সেখানে ব্রাজিলের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল। এবার তারা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে ট্রফির স্বাদ নিতে চায়।

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বুধবার, যেখানে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও চমক দেখানো উরুগুয়ে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩ আগস্ট, ইকুয়েডরের কুইটো শহরে।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

ড. আলী রিয়াজ: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাবে

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে মৃ’ত্যু ৩০ ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

ড. আলী রিয়াজ: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য প্রক্রিয়া চূড়ান্তে পৌঁছাবে

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বেইজিং ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বেইজিংয়ের মিয়ুন জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রাণ হারান ২৮ জন এবং ইয়াংচিং জেলায় আরও ২ জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি।
এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হ্যবেই প্রদেশে ভূমিধসে আরও ৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।

টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও অবকাঠামো। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অন্তত ১৩৬টি গ্রামে। নিরাপত্তার কারণে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু মিয়ুন জেলা থেকেই সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাদামি বন্যার পানি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলছে, এবং রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বেইজিং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল, পর্যটন কেন্দ্র ও ক্যাম্পসাইটের কার্যক্রম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ দুর্যোগকে ‘গুরুতর প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনকে নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

×