| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গাদের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গাদের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী : ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করেন, তবে তাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থানরত কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে গ্রহণ করবে না সরকার—সাফ জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‍্যাব-১১ সদর দপ্তর, পুলিশ লাইন ও জালকুড়িতে বিজিবি-৬২ ব্যাটালিয়ন কার্যালয় পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,

“ভারত যেভাবে বাংলাদেশিদের পুশ-ইন করছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের দেশের নাগরিক হলে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করব। তবে রোহিঙ্গা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

⚖️ গণঅভ্যুত্থান মামলা ও তদন্তে গুরুত্ব
গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বহু মানুষকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন,

“এ ধরনের মামলার তদন্ত কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, সকল মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাসময়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

🛡️ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,

“আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। অভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্রও উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গাদের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ সরকারি হাসপাতাল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এখন স্বাস্থ্যসেবায় একটি অনন্য উদাহরণ। আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, ডিজিটাল সেবা ও রোগীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলে হাসপাতালটি দেশের অন্যতম শীর্ষ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সেবার মান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

অসাধারণ পরিসর ও রোগী সেবাঃ

বর্তমানে হাসপাতালটি ১,২০০ শয্যাবিশিষ্ট, যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ রোগী ভর্তি থাকে। আজকের হিসাবে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৪২ জন।বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন গড়ে ৫,৮০০ রোগী প্রতিদিন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে।বহির্বিভাগে ৮০% রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের (FCPS/MS/MD) পরামর্শ পান। মাত্র ১০ টাকার টিকিটে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করেছে।

 

 

ডায়ালাইসিস ও উন্নত কার্ডিয়াক সেবাঃ

হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারে প্রতিদিন ১৫৯ জন রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয় তিন শিফটে, যা সরকারি হাসপাতালে সবচেয়ে বড় ব্যবস্থাগুলোর একটি।এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ১০ জন রোগীকে এঞ্জিওগ্রাফি সেবা দেওয়া হচ্ছে।হৃদরোগীদের জন্য রয়েছে ২৩ শয্যার CCU ও ২০ শয্যার ICU। পাশাপাশি, ৫০ শয্যার নতুন ICU নির্মাণাধীন, যা সম্পন্ন হলে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা আরও উন্নত হবে।২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সেবা চালু রয়েছে, যা জরুরি চিকিৎসায় সহায়তা করছে।

 

 

ডিজিটাল সেবা ও রোগী-বান্ধব পরিবেশঃ

রোগীরা এখন অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা পাচ্ছেন। এতে লাইন ধরে অপেক্ষার ঝামেলা কমেছে এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানসম্মত খাবার এবং নিরাপত্তা রোগীদের আস্থা অর্জন করেছে।

 

রোগীদের অভিমতঃ

রুবেল হোসেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী বলেন—

এখন অনলাইনে সিরিয়াল বুক করতে পারি। ডাক্তাররা সময় দেন এবং ভালোভাবে শোনেন। সরকারি হাসপাতালে এত সুন্দর সেবা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

সাবিনা আক্তার, একজন ইনডোর রোগীর স্বজন জানান—

খাবারের মান অনেক ভালো। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ।

 

রবিউল ইসলাম, আরেকজন রোগী বলেন—

মাত্র ১০ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া যায়। আমি কল্পনাও করিনি সরকারি হাসপাতালে এত ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

 

 

পরিচালকের বক্তব্যঃ

হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বলেন—

“দায়িত্ব নেওয়ার পর চেষ্টা করেছি এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে যেখানে রোগীরা মর্যাদার সঙ্গে চিকিৎসা পায়। কোনো অনিয়ম যাতে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করাই আমার প্রথম লক্ষ্য। আমরা চাই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জাতীয় মানদণ্ডের রেফারেল সেন্টারে পরিণত হোক।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে জাতীয় মানের রেফারেল সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।পরিচালক এই লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সুন্দরবন নির্ভরশীল নারীদের চারদিনব্যাপী ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গাদের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুন্দরবনের উপকূলবর্তী অঞ্চলের জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ বননির্ভরতা কমিয়ে নারীদের বিকল্প জীবিকায় উদ্বুদ্ধ করতে “বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ” শনিবার (২৮ জুলাই) সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে।

কার্বন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় লিডার্সের আয়োজনে নিজস্ব হল রুমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন লিডার্স নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধনীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লিডার্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ.বি.এম. জাকারিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্লু কার্বন প্রকল্পের টিম লিডার রেখা খাতুন।

চার দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল একদল সাহসী ও সংগ্রামী নারী অংশ নিচ্ছেন, যারা নিজেদের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রনজিৎ কুমার মণ্ডল।

প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তারা বলেন অংশগ্রহণকারী নারীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জীবিকা গড়ে তুলতে পারেন। জানা যায় এই কর্মসূচির গবেষণা সহযোগী হিসাবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।

শুধু বিভাগ নয় এনবিআরের জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিগত সংস্কারও জরুরি: চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গাদের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আবদুর রহমান খান : ছবি-সংগৃহীত

শুধু এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) ভাগ করলেই কর ব্যবস্থার সব সমস্যা দূর হবে না, বরং পদ্ধতিগত কাঠামো ভাগের পাশাপাশি জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি’ বিষয়ক ছায়া সংসদে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বর্তমান অডিট পদ্ধতিতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে পারলে এ ভয় দূর হবে।” এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, কর ব্যবস্থাকে আরও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় কর শিক্ষার প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ কর শিক্ষায় এখনো অনেক পিছিয়ে। তাই শিক্ষার্থীদের মাঝে কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যবইয়ে কর শিক্ষা যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “একটি আধুনিক, জবাবদিহিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর এনবিআর গঠনের মাধ্যমেই টেকসই রাজস্ব আয় নিশ্চিত করা সম্ভব।”

×