| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

টেস্টে রেকর্ডের পাহাড় গড়ছেন জো রুট ছাড়িয়ে গেলেন দ্রাবিড়-পন্টিং-ক্যালিসকে

টেস্টে রেকর্ডের পাহাড় গড়ছেন জো রুট ছাড়িয়ে গেলেন দ্রাবিড়-পন্টিং-ক্যালিসকে

জো রুট : ছবি-সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুট টেস্ট ক্রিকেটে একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছেন। ভারতের বিপক্ষে চলমান চতুর্থ টেস্টে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে তিনি পেছনে ফেলেছেন একাধিক কিংবদন্তিকে।

ক্রিকইনফো’র তথ্য অনুযায়ী, রুটের বর্তমান টেস্ট রান ১৩,৪০৯। তিনি এখন টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক—শীর্ষে আছেন কেবল শচিন টেন্ডুলকার (১৫,৯২১ রান)। এই ইনিংসেই তিনি ছাড়িয়ে যান রাহুল দ্রাবিড় (১৩,২৮৮), জ্যাক ক্যালিস (১৩,২৮৯) এবং রিকি পন্টিং (১৩,৩৭৮)-কে।

রুটের টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ৩৮টি, যা যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তার সমান শতক আছে কুমার সাঙ্গাকারার। এগিয়ে আছেন কেবল শচিন (৫১), ক্যালিস (৪৫) ও পন্টিং (৪১)।

রুটের ফিফটির সংখ্যা এখন ১০৪টি, যা পন্টিং ও ক্যালিসের চেয়ে বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে শচিন টেন্ডুলকার, যার ফিফটি-প্লাস ইনিংস সংখ্যা ১১৯।

ভারতের বিপক্ষে টেস্টে রুটের সেঞ্চুরি এখন ১২টি, যা এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। এই তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেছেন স্টিভ স্মিথকে (১১ সেঞ্চুরি)। পুরো টেস্ট ইতিহাসে কেবল ডন ব্র্যাডম্যান (১৯, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) এবং সুনীল গাভাস্কার (১৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) রয়েছেন তার সামনে।

ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে রুটের শতক সংখ্যা এখন ৯টি, যা এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হোম কন্ডিশনে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। আগে এই রেকর্ড ছিল ব্র্যাডম্যানের, যার ছিল ৮টি।

দেশের মাটিতে রুটের টেস্ট রান এখন ৭,১৯৫, যা ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার উপরে আছেন কেবল পন্টিং (৭,৫৭৮) ও টেন্ডুলকার (৭,২১৬)।

বিশেষ করে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রুটের রান ১,১২৮, যা এই মাঠে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। এছাড়া লর্ডসেও তার রান ২,১৬৬—যা ব্রিটিশ কিংবদন্তি হিসেবে তাকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছে।

একটি দারুণ রেকর্ড হলো, রুট রবীন্দ্র জাদেজার বিপক্ষে করেছেন ৫৮৮ রান—একজন ব্যাটারের পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট বোলারের বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রান।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা

টেস্টে রেকর্ডের পাহাড় গড়ছেন জো রুট ছাড়িয়ে গেলেন দ্রাবিড়-পন্টিং-ক্যালিসকে

রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ সরকারি হাসপাতাল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এখন স্বাস্থ্যসেবায় একটি অনন্য উদাহরণ। আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, ডিজিটাল সেবা ও রোগীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলে হাসপাতালটি দেশের অন্যতম শীর্ষ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সেবার মান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

অসাধারণ পরিসর ও রোগী সেবাঃ

বর্তমানে হাসপাতালটি ১,২০০ শয্যাবিশিষ্ট, যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ রোগী ভর্তি থাকে। আজকের হিসাবে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৪২ জন।বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন গড়ে ৫,৮০০ রোগী প্রতিদিন, যা সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে।বহির্বিভাগে ৮০% রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের (FCPS/MS/MD) পরামর্শ পান। মাত্র ১০ টাকার টিকিটে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করেছে।

 

 

ডায়ালাইসিস ও উন্নত কার্ডিয়াক সেবাঃ

হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারে প্রতিদিন ১৫৯ জন রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয় তিন শিফটে, যা সরকারি হাসপাতালে সবচেয়ে বড় ব্যবস্থাগুলোর একটি।এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ১০ জন রোগীকে এঞ্জিওগ্রাফি সেবা দেওয়া হচ্ছে।হৃদরোগীদের জন্য রয়েছে ২৩ শয্যার CCU ও ২০ শয্যার ICU। পাশাপাশি, ৫০ শয্যার নতুন ICU নির্মাণাধীন, যা সম্পন্ন হলে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা আরও উন্নত হবে।২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সেবা চালু রয়েছে, যা জরুরি চিকিৎসায় সহায়তা করছে।

 

 

ডিজিটাল সেবা ও রোগী-বান্ধব পরিবেশঃ

রোগীরা এখন অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা পাচ্ছেন। এতে লাইন ধরে অপেক্ষার ঝামেলা কমেছে এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানসম্মত খাবার এবং নিরাপত্তা রোগীদের আস্থা অর্জন করেছে।

 

রোগীদের অভিমতঃ

রুবেল হোসেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী বলেন—

এখন অনলাইনে সিরিয়াল বুক করতে পারি। ডাক্তাররা সময় দেন এবং ভালোভাবে শোনেন। সরকারি হাসপাতালে এত সুন্দর সেবা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

সাবিনা আক্তার, একজন ইনডোর রোগীর স্বজন জানান—

খাবারের মান অনেক ভালো। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ।

 

রবিউল ইসলাম, আরেকজন রোগী বলেন—

মাত্র ১০ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া যায়। আমি কল্পনাও করিনি সরকারি হাসপাতালে এত ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

 

 

পরিচালকের বক্তব্যঃ

হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বলেন—

“দায়িত্ব নেওয়ার পর চেষ্টা করেছি এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে যেখানে রোগীরা মর্যাদার সঙ্গে চিকিৎসা পায়। কোনো অনিয়ম যাতে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করাই আমার প্রথম লক্ষ্য। আমরা চাই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জাতীয় মানদণ্ডের রেফারেল সেন্টারে পরিণত হোক।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে জাতীয় মানের রেফারেল সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।পরিচালক এই লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সুন্দরবন নির্ভরশীল নারীদের চারদিনব্যাপী ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

টেস্টে রেকর্ডের পাহাড় গড়ছেন জো রুট ছাড়িয়ে গেলেন দ্রাবিড়-পন্টিং-ক্যালিসকে

সুন্দরবনের উপকূলবর্তী অঞ্চলের জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ বননির্ভরতা কমিয়ে নারীদের বিকল্প জীবিকায় উদ্বুদ্ধ করতে “বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ” শনিবার (২৮ জুলাই) সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে।

কার্বন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় লিডার্সের আয়োজনে নিজস্ব হল রুমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন লিডার্স নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধনীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লিডার্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ.বি.এম. জাকারিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্লু কার্বন প্রকল্পের টিম লিডার রেখা খাতুন।

চার দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল একদল সাহসী ও সংগ্রামী নারী অংশ নিচ্ছেন, যারা নিজেদের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রনজিৎ কুমার মণ্ডল।

প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তারা বলেন অংশগ্রহণকারী নারীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জীবিকা গড়ে তুলতে পারেন। জানা যায় এই কর্মসূচির গবেষণা সহযোগী হিসাবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।

শুধু বিভাগ নয় এনবিআরের জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিগত সংস্কারও জরুরি: চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান

টেস্টে রেকর্ডের পাহাড় গড়ছেন জো রুট ছাড়িয়ে গেলেন দ্রাবিড়-পন্টিং-ক্যালিসকে

আবদুর রহমান খান : ছবি-সংগৃহীত

শুধু এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) ভাগ করলেই কর ব্যবস্থার সব সমস্যা দূর হবে না, বরং পদ্ধতিগত কাঠামো ভাগের পাশাপাশি জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি’ বিষয়ক ছায়া সংসদে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বর্তমান অডিট পদ্ধতিতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে পারলে এ ভয় দূর হবে।” এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, কর ব্যবস্থাকে আরও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় কর শিক্ষার প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ কর শিক্ষায় এখনো অনেক পিছিয়ে। তাই শিক্ষার্থীদের মাঝে কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যবইয়ে কর শিক্ষা যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “একটি আধুনিক, জবাবদিহিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর এনবিআর গঠনের মাধ্যমেই টেকসই রাজস্ব আয় নিশ্চিত করা সম্ভব।”

×