| ২৬ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের চট্টগ্রামে জরুরি ল্যান্ডিং

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের চট্টগ্রামে জরুরি ল্যান্ডিং

দুবাই থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৮ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝপথ থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে ফ্লাইটটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পরে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড়িরচর উপকূলের কাছে পৌঁছে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে পাইলট বিমানটি আবার চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনেন।

ফ্লাইটরেডার২৪–এর তথ্য অনুসারে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটিকে ঘুরিয়ে আনতে হয়। পুরো ফ্লাইটে কিছু সময় আতঙ্ক ছড়ালেও সব যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন। বর্তমানে উড়োজাহাজটি বে নম্বর-৮ এ রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে।

মহিপুরে যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের চট্টগ্রামে জরুরি ল্যান্ডিং

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ মহিপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন সাবির সংগঠনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদ্য পদত্যাগ করা এই নেতা।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি দলের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। পদত্যাগপত্রে রিপন সাবির লেখেন, “আমি কিছু ব্যক্তিগত কারণে, আমার পদ থেকে দলের প্রতি সম্মান রেখে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পদত্যাগ করছি।”

মহিপুরে যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

পদত্যাগপত্র জমার বিষয়টি সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় বা থানা শাখার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের মহিপুর থানা শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পদত্যাগ পত্রটি জেলায় পাঠানো হয়েছে জেলা থেকে সময় নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি। কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

অভিনেত্রী মৌ শিখার কর্মহীনতার স্ট্যাটাস ভাইরাল পাশে দাঁড়ালেন মনিরা মিঠু

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের চট্টগ্রামে জরুরি ল্যান্ডিং

টেলিভিশন নাটকের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী মৌ শিখা বর্তমানে কর্মহীন সময় পার করছেন। গত আড়াই মাস ধরে তার হাতে নেই কোনো নাটকের কাজ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে নিজের অসহায়তা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ফেসবুকে দেওয়া সেই দীর্ঘ পোস্টে মৌ শিখা লেখেন, “আমি অভিনয় করেই সংসার চালাই। আগে যেখানে মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করতাম, এখন কাজ হয় মাত্র চার-পাঁচ দিন। বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

তিনি অনুরোধ করেন, “মৃত্যুর পর আমার জন্য আফসোস করে লাভ নেই। বেঁচে থাকতেই যেন মূল্যায়ন পাই।”

অভিনেত্রীর এই স্ট্যাটাস নেটিজেনদের মধ্যে আলোড়ন তোলে। সহকর্মী এবং ভক্তরা দুঃখপ্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন মন্তব্যে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু মৌ শিখার পাশে দাঁড়াতে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তিনি লেখেন—
“ভয় নেই শিখা, আমরা দুইজন মিলে চায়ের টং দোকান দিবো। সবাই আমাদের কাছে চা খেতে আসবে।”

এই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ভক্তদের মন জয় করেছে। কেউ বলছেন, “এই না হলে বন্ধুত্ব”, আবার কেউ লিখেছেন, “মনিরা মিঠু আপা একজন আদর্শ সহকর্মী, সবাইকে সমান গুরুত্ব দেন।”

প্রসঙ্গত, মৌ শিখা দীর্ঘদিন ধরে নাটকে কাজ করছেন। জনপ্রিয় নাটক ছাড়াও তিনি ‘জমজ ভূতের গল্প’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন, যা এখনো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

গ্রামবাংলার শিক্ষার নতুন দিগন্তে উলিপুর ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিজি-১৪৮ ফ্লাইটের চট্টগ্রামে জরুরি ল্যান্ডিং

উত্তরের প্রত্যন্ত জনপদ কুড়িগ্রামের উলিপুরে গড়ে উঠেছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—উলিপুর ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এম এ মডেল ইংলিশ ভার্সন স্কুল।

প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পাঠদান, কুরআনিক শিক্ষা, এবং মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে গড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

শনিবার (২৬ জুলাই ২০২৫) সকাল ১০টায় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় নাজীরা সবক প্রদান অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ। আয়োজনে ছিল শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও ভবিষ্যতের স্বপ্নময় পরিকল্পনার ছাপ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কচি কণ্ঠে সুরেলা সুরা কেরাত পরিবেশনা, পরে ছিল একাধিক ইসলামিক গজল, যেগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায় শ্রোতাদের।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল – চার ভাষায় (আরবি, বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু) কোরআন তেলাওয়াত। প্রতিটি তেলাওয়াত শেষে অনুবাদ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীরা।

ইংরেজি ভাষায় কুরআনের দাওয়াতভিত্তিক বক্তব্য ছিল অনুষ্ঠানটির অন্যতম দৃষ্টান্তমূলক অংশ, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইসলামের সৌন্দর্য আধুনিক বিশ্বের সামনে কীভাবে তুলে ধরা যায় তা তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আপুয়ার খাতা আলিম মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বজরা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইয়াহিয়া জুয়েল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন: মাওলানা মোঃ মসিউর রহমান, আমির, উলিপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, তবকপুর ফাজিল মাদ্রাসা ।
অনুষ্ঠানে ১০ জন শিক্ষার্থীকে কুরআন শরীফের নাজীরা ছবক প্রদান করা হয়। তাদের নাম—হুজাইফা ১, হুজাইফা টু, আরাফাত, শরিফুল, ছামি, সোহার্দ, আব্দুল্লাহ, সাজিদ ও আল ইমরান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়ন সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষায়।”
সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন,
“শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের হৃদয়ে ইসলামের আলো জ্বালানো প্রয়োজন, এবং এই প্রতিষ্ঠান সেটিই করছে।”

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার, ইংরেজি ও সাধারণ শিক্ষাতেও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছি।”

অভিভাবকদের মধ্যে একজন বলেন, “আমার সন্তান এখানে নিয়মিত নামাজ, নৈতিকতা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বড় হচ্ছে—এটাই একজন মায়ের সবচেয়ে বড় শান্তি।”
প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, “আমরা পাঠদানে স্মার্ট বোর্ড, ডিজিটাল কনটেন্ট, অনলাইন ক্লাসসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। পাশাপাশি ধর্মীয় ও চারিত্রিক শিক্ষাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”

প্রতিষ্ঠানটির স্বপ্ন ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি করা—যিনি ধর্মে অনুগত, সমাজে সেবক এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী।”

উলিপুর ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এম এ মডেল ইংলিশ ভার্সন স্কুল আজ শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়—এটি একটি আদর্শের নাম, একটি আন্দোলনের সূচনা। যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা পাচ্ছে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের প্রস্তুতি।

×